বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ১১ নারী ব্যক্তিত্ব
এদেশের নারীরা এক সময় সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিলেন। ছিলেন সুবিধা বঞ্চিত। এসব নারীদের মানুষের মত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছন অনেক মহীয়সী নারী। তারা আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠ নারীর প্রতিরূপ হয়ে আছেন। বাংলা দেশের এমন ১১ নারীর সম্পর্কে জেনে নিই এবার।
-
বেগম রোকেয়া: তিনি নারী জাগরনের পথিকৃত। তার জন্ম ৯ডিসেম্বর ১৮৮০। বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে।
-
বেগম সুফিয়া কামাল: তিনি শুধু বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মহিলা কবিই নন, নারী আন্দোলন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্বও ছিলেন।
-
জাহানারা ইমাম: শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্যে তিনি ১৯৯১ সালে তিনি ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ লাভ করেন। জাহানারা ইমাম ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইয়ের জন্য তিনি বিখ্যাত। মুক্তিযুদ্ধে তার বড় ছেলে শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
-
নুরজাহান বেগম: তিনি মাহিলাদের জন্য পত্রিকা ‘বেগম’-এর সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। স্বামীর নাম রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই।
-
ইলা মিত্র: তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী, যিনি আদিবাসীসহ সকল মানুষের কাছে ‘রানী মা’ নামে পরিচিত ছিলেন ।
-
নীলিমা ইব্রাহিম: বাংলা একাডেমির প্রথম নারী মহাপরিচালক। ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০০০ সালে একুশে পদক লাভ করেন । সবচেয়ে আলোচিত বই ‘আমি বীরঙ্গনা বলছি’।
-
শেখ হাসিনা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য কন্যা। তিনি দেশের চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
-
আইরিন খান: মানবাধিকারের প্রবক্তা ও নেতা। পৃথিবীর বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব। তিনিই প্রথম নারী এবং এশিয়া ও বাংলাদেশি হিসেবে ২০০১ সালে এ দায়িত্ব পালন করেন ।
-
নভেরা আহমদ: বাংলাদেশের প্রথম নারী ভাষ্কর। ১৯৯৭ সালে ভাষ্কর্য শিল্পে অবদানের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয় ।
-
তারামন বিবি: বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী।
-
বেগম খালেদা জিয়া: বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার লাভ করেন।