মৌ চাষে সহজে বাড়তি আয়
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মৌ চাষ। বাড়তি খরচ ছাড়াই একবার পুঁজি খাটিয়ে আয় করা যায় এই খাত থেকে। মধু বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয় করছেন শতাধিক পরিবার।
-
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তেতুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা মেগ্য মার্মা রানী মৌমাছি সংগ্রহের জন্য খুঁজে বেড়ান পাহাড়ের বন-জঙ্গলে। স্থানীয়রা বন-জঙ্গলে মৌমাছির চাক দেখতে পেলেই খবর দেন মেগ্য মার্মাসহ তার দলকে। ছবি : সৈকত দাশ
-
মেগ্য মার্মা জানান, মৌ রানীকে বাড়িতে এনে একটি কাঠের বাক্সে রাখি। কয়েকদিনের মধ্যে সেই বাক্স ও বাক্সের আশপাশ মৌমাছির গুঞ্জনে সরব হয়ে ওঠে। ছবি : সৈকত দাশ
-
শুধু মেগ্য মার্মায় নয়, পরিবারের বাড়তি আয়ের জন্য ওই গ্রামের ক্যনুমং মার্মা, উসাইন মং, মেনুপ্র সহ ১৮টি পরিবার বাড়ির আঙিনায় বিশেষভাবে তৈরিকৃত বাক্সে রেখে মৌ চাষ করছেন। ছবি : সৈকত দাশ
-
রানী মৌমাছি বাক্সে আবদ্ধ করার পর কয়েক মাসের মধ্যেই বাক্স থেকে মধু আহরণ করা যায়। কৃষি কাজের পাশাপাশি এই চাষ করছি। ছবি : সৈকত দাশ
-
মৌ চাষের কাজের ব্যস্ত এক চাষি। ছবি : সৈকত দাশ
-
বান্দরবানের আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, তেতুলিয়া পাড়া, থানচি উপজেলার মরিয়ম পাড়া, আলীকদম উপজেলার নয়ামারমা পাড়া, চৈক্ষ্যং পান বাজার ত্রিপুরা পাড়াসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরের উঠানে কিংবা বাড়ির কোণায় বাক্সে রেখে মৌমাছি চাষ করছেন শতাধিক আদিবাসী-বাঙালি পরিবার বলে জানিয়েছে পার্বত্য মৌচাক সমিতি। ছবি : সৈকত দাশ
-
মৌ চাষের জন্য বাক্স তৈরি করা হচ্ছে। ছবি : সৈকত দাশ
-
মৌ চাষে তেমন খরচ নেই, মৌমাছিকে খাবার দিতে হয় না। সেই জন্য অসচ্ছলদের কাছে এই চাষ খুবই সুবিধাজনক। ছবি : সৈকত দাশ