বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ নিয়ে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১৯৯৯ সালে মহাকাশে দেশের একটি নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর কথা প্রথম শুরু হয়। এরপর অনেক ধাপ পেরিয়ে এখন আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
-
প্রথম স্যাটেলাইট : ২০১৭ সালের জুনে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটলাইট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে নানা কারণে সম্ভব হয়নি।
-
প্রকল্প অনুমোদন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হচ্ছে ২,৯৬৮ কোটি টাকা। এর আগে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩,২৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ খরচ কমছে ২৮৫ কোটি টাকা।
-
নতুন সময়সীমা : প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুনে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটা এক দফায় বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন করা হয়।
-
নকশা তৈরি : যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপগ্রহের নকশা তৈরি করেছে।
-
বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে : সরকার বলছে, দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেয়া সম্ভব হবে। এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
-
চল্লিশটি ট্রান্সপন্ডার : বঙ্গবন্ধু কৃত্রিম উপগ্রহে ট্রান্সপন্ডার মোট ৪০টি থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১২টি ব্যবহার করবে। বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে। এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছে সরকার।
-
দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন : উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ করে হবে।
-
নতুন কোম্পানি গঠন : স্যাটেলাইটটি একবার উৎক্ষেপণ হয়ে যাওয়ার পর সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি কোম্পানি চালু করবে সরকার।