অস্তিত্ব সংকটে মৃৎশিল্প
প্রায় দুই শতাব্দি ধরে চলা মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য রক্ষায় চেষ্টা করে যাচ্ছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বামুনিয়া পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। একসময় এলাকার মাটির তৈরি পণ্যগুলো ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয়। এই শিল্প নিয়ে লিখেছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত—
-
বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৃৎশিল্প। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া আর প্লাস্টিক, দস্তা, অ্যালুমিনিয়ামের আধিপত্যে মৃৎশিল্পের বাজারের অবস্থা নাজুক। তবে বামুনিয়া পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য রক্ষা করতে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: আব্দুর রাজ্জাক
-
এ অঞ্চলের প্রাচীন মৃৎশিল্পী পরিবারগুলো প্রায় ২৫০-৩০০ বছর ধরে এ কাজ করে আসছে। তাদের সবার মুখে একটা কথাই শোনা যায়—‘আগের মতো আর কোনো কাজ চলে না, শুধু দইয়ের হাঁড়ির ভরসায় দিন কাটছে’। ছবি: আব্দুর রাজ্জাক
-
মাটি সংকট এ শিল্প টিকে থাকার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাটি সংকটের কারণে মৃৎশিল্পীরা অনেক সময় নদী থেকে বিশেষ ধরনের আঁঠালো মাটি সংগ্রহ করেন, যা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। ছবি: আব্দুর রাজ্জাক
-
গ্রামের মৃৎশিল্পীরা মাটির পাট এবং দইয়ের হাঁড়ি তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। এতে চরম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাদের দাবি, মানুষ এখন বিলাসিতা ও আরামের দিকে ঝুঁকেছেন। তাই মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা দিন দিন কমছে। ছবি: আব্দুর রাজ্জাক
-
যদি সরকার তাদের সুদমুক্ত ঋণ দেয়, তাহলে তারা ব্যবসা আরও বাড়াতে পারবেন। সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে খুব দ্রুতই মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। হয়তো একসময় শুধু ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে। ছবি: আব্দুর রাজ্জাক