ঝালকাঠির আমড়া যাচ্ছে বিদেশে
ঝালকাঠির পেয়ারার সুখ্যাতি ছিল। এবার যোগ হলো আমড়ার নাম। জেলার ২ শতাধিক গ্রামে আমড়া গাছ লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানকার চাষিরা। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া, দাবি আমড়া চাষিদের।
-
ঝালকাঠি শহরতলির কীর্তিপাশা মোড় থেকে দুটি যাত্রীবাহী বাসের বাংকারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক বস্তা আমড়া চট্টগ্রাম হয়ে নৌপথে যাচ্ছে বিদেশে। ভীমরুলি, শতদশকাঠি, খেজুরা, আতাকাঠিসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে এখন আমড়া চাষ হয়। অন্য জেলার আমড়ার তুলনায় মিষ্টি হওয়ায় এই জেলার আমড়ার চাহিদা বাড়ছে। ছবি: মো. আতিকুর রহমান
-
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ৬০০ হেক্টর জমিতে আমড়া চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি প্রায় ১২ টন আমড়া পাওয়া গেছে। অর্থকরী ফসল হওয়ায় কৃষকরা আমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতি বছর ফলনও বাড়ছে।’ ছবি: মো. আতিকুর রহমান
-
ঝালকাঠির কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলির চাষি রিপন চৌধুরী। ২০১৭ সালে ১০ কাঠা জমি লিজ নিয়ে আমড়া গাছ লাগান তিনি। জানালেন, এবার প্রায় ৫০ মণের বেশি আমড়া বিক্রি করেছেন তিনি। শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস আমড়ার ভরা মৌসুম। তাই ওই সময়ে দামও ভালো থাকে। কিছু গাছে সারা বছর আমড়া ধরে। ছবি: মো. আতিকুর রহমান
-
বাগান থেকে সংগ্রহ করা আমড়া প্রথমদিকে ৩০০-৩৫০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। সেটা এখন সাড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার কাছাকাছি। পেয়ারার মতো দ্রুত পচনশীল নয় বলে আমড়া চাষে লাভ বেশি। সরকারিভাবে যদি সরাসরি আমড়া কেনা হয়, বড় ব্যবসায়ীরা যদি সেখান থেকে সরাসরি আমড়া নিয়ে যান, তাহলে আমড়ার ব্যবসাটা বাড়তো। বিদেশে রপ্তানিও বাড়তো। ছবি: মো. আতিকুর রহমান
-
আমড়া চাষের রয়েছে নানা সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে এক ধরনের লেদাপোকা পাতা খেয়ে গাছকে করে ফেলে পাতাশূন্য। এতে আমড়ার ক্ষতি হয়। যদিও চাষিরা কীটনাশকমুক্ত আমড়া চাষে আগ্রহী, তবু এসব পোকা দমনে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তা প্রয়োজন চাষিদের। অনেক সময় তাদের সাড়া পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন চাষিরা। ছবি: মো. আতিকুর রহমান