ফুড কার্ভিং করে লাখ টাকা আয় ফারদিনের
চোখের দৃষ্টি শুধুই হাতে রাখা সবজি কিংবা ফলের উপর। যেন এক মুহূর্তের জন্য, অন্য কোথাও তাকানোর নেই একদণ্ড সুযোগ। সূক্ষ্ম আর নিপুণ হাতে ছোট ছোট ছুরি কাচির সাহায্যে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিটরুটকে তৈরি করে ফেলা হলো আস্ত একটি গোলাপ।
-
আর হাতের পেয়ারাটি হয়ে উঠলো সুন্দর ফুল। এমন সুন্দর ফুড কার্ভিং করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন শরীয়তপুরের যুবক ফারদিন খান। এমনকি ভিন্নধর্মী এ পেশা থেকে তার মাসিক আয় এখন লাখ টাকার উপরে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
ফুড কার্ভিং আর্টিস্ট ফারদিন খানের বাড়ি শরীয়তপুরের পালং ইউনিয়নের আটিপাড়া এলাকায়। আব্দুর রব খান আর আফরোজা খানমের ছোট সন্তান তিনি। পড়াশোনা করছেন শরীয়তপুর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল তার। আর এক আঁকাআঁকি গুলোকে একসময় ফুটিয়ে তোলা শুরু করে বাজার থেকে কিনে আনা বিভিন্ন সবজির উপর। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
তবে বাবা রব খান চাইতেন না তার ছেলে মেয়েদের মতো কাটাকুটির কাজ করুক। এসব থেকে দূরে রাখতে রীতিমত রাগারাগিও করে থাকতেন তিনি। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
ফারদিন নাছোড়বান্দা, বাবার ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে চালিয়ে যেতেন তার এই শিল্পকর্ম। সকল চড়াই-উতরাই পার করে একসময়ে বড় দুই বোন আর মায়ের সাপোর্ট পেয়ে তিনি তার এই প্রতিভাকে আরও বিকশিত করতে থাকেন। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
এরপর ২০১৭ সালে জুন মাসে তার বোনের বিয়েতে সুন্দর একটি ফুড কার্ভিং করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। তার এই কাজে মুগ্ধ হয়ে বাহবা দিতে থাকেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব আত্মীয়-স্বজনরা। অনেকেই তখন তাকে এই ফুড কার্ভিংটিকে ব্যবসা হিসেবে পরিধি বাড়াতে বলেন। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
২০১৮ সালে একটি ফেসবুক পেইজ খুলে সেখানে তার বিভিন্ন ফুড কার্ভিংয়ের ভিডিও আপলোড দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে তার অর্ডার আসা শুরু করে। এ থেকেই রীতিমতো রোজগার হওয়া শুরু হয় তার। বর্তমানে এই ফুড কার্ভিং থেকে তার প্রতিমাসে আয় এখন লাখ টাকা উপরে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
ফারদিন জানান, তিনি তার এ ফুড কার্ভিং করতে সবজির মধ্যে ব্যবহার করেন মিষ্টি কুমড়া, লাউ, পেঁপে, গাজর, শালগম, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, লেটুস পাতা, টমেটো ইত্যাদি। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
ফলের মধ্যে তরমুজ, আপেল, আঙ্গুর, পেয়ারা, এমনকি কাঁঠালও ব্যবহার করে থাকেন। সবজি আর ফলের বাইরে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয় সাবানে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
শীতকালে ফুড কার্ভিং করার এসব সবজি অল্প দামে পাওয়া গেলেও, বাকি মৌসুমে ঢাকার গুলশান ডিসিসি মার্কেট থেকে চড়া দামে কিনতে হয় এ সবজি। তার এ ফুড কার্ভিংয়ের বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৫০০ টাকা থেকে উপরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
প্রথমদিকে ফারদিনের বাবা আব্দুর রব খান তার এ কাজকে অপছন্দ করলেও এখন তিনি তার ছেলেকে নিয়ে গর্ব করেন। ছবি: বিধান মজুমদার অনি