ছবিতে বারো শিবালয় মন্দির
জয়পুরহাট সদর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর তীরবর্তী বেল-আমলা গ্রামে অবস্থিত বারো শিবালয় মন্দির। প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষ্য বহন করে আজো দাঁড়িয়ে আছে এ মন্দিরটি।
-
এ মন্দিরটি নির্মাণের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে লোকমুখে প্রচলিত আছে রাজা বল্লাল সেন শিবের উপাসক ছিলেন বলে তিনি এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
অনেকের মতে ইতিহাস পরিচিত জগৎ শেঠের মতো বিত্তবান ছিলেন রাজীব লোচন মণ্ডল নামের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি ছিলেন ধার্মিক কায়েস্থ । যিনি ১৭০০ সালে বারো শিবালয় মন্দিরটি নির্মাণ করেছেন। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
তবে মন্দিরের দেয়াল চিত্র, নকশা করা ইট এবং কারুকার্যময় পোড়ামাটির ফলকের ব্যবহার শৈলী দেখে অনুমান করা হয় এটি সেন যুগে নির্মিত একটি স্থাপনা। আর রাজা বল্লাল সেনের শিবের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা থাকার কারণে তাকে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয়। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
১২টি শিব মন্দিরের প্রতিটির অভ্যন্তরে আছে গণেশের চিত্র, নম শিবায় ও শ্রী গণেশয় দেবায় নম, বিভিন্ন দেব-দেবীর কাহিনী চিত্র এবং রাজলক্ষণ-সীতা, হনুমান ও মা কালীর প্রতিমা। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
মন্দির আঙ্গিনার মাঝখানে স্থান পেয়েছে একটি নন্দী মূর্তি। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
এছাড়া, বেল-আমলা থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য মতে এবং সেখান থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রকার চন্ডিমূর্তি, সূর্যমূর্তি, বাসুদেবমূর্তি দেখে ধারণা করা হয় এককালে এখানে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলীম্বদেরও তীর্থস্থান ছিল। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
রাজীব লোচন মণ্ডলের বংশের অধস্তন জ্ঞানেদ্রনাথ চৌধুরী একসময় এখানকার বিশাল জমিদারির মালিক ছিলেন। পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কার্তিক জমিদারি নিলামে উঠার পর থেকে বেল-আমলা গ্রামে জমিদারির পতন হয়। পর্যায়ক্রমে গতিনাথ দত্ত চৌধুরী ও তার পুত্র গিরিলাল দত্ত চৌধুরীর সময় জমিদারি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের শিব চতুর্দশীতে বার শিবালয় মন্দিরে দুদিন ব্যাপী শিবরাত্রি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার পাশাপাশি এখানে বাহারি পণ্যের মেলা বসে। তখন সারাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যমুনা নদীতে পুণ্যস্নান করতে আসেন। শিবরাত্রি পূজা উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ছাড়াও প্রায় সারা বছরই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভ্রমণকারীরা বারো শিবালয় মন্দির দেখতে আসেন। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী
-
রাজধানীর (ঢাকা) কল্যাণপুর/উত্তরা থেকে শ্যামলী, হানিফ, কেয়া, এসআরসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাসে জয়পুরহাট যাওয়া যায়। জয়পুরহাটে পৌঁছানোর পরে আপনাকে গদন শহর স্টপেজে যেতে হবে। সেখান থেকে ভ্যান ভাড়া করে বার শিবালয় মন্দির যেতে পারবেন। ছবি: আব্দুল্লাহ হেল বাকী