ভোটকেন্দ্র ঘিরে জমজমাট খাবারের ব্যবসা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে রাজধানীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘিরে জমে উঠেছে খাবারের ব্যবসা। কেন্দ্রের আশপাশে বসা অস্থায়ী দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়।
-
অস্থায়ী দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গাড়া, ছোলা-বুট, খিচুড়ি, চা-কফি ও ফলমূল। এসব দোকানে ভিড় করছেন ভোটার ও প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী কাজ করা মানুষজন।রাজধানীর গুলশান, বাড্ডা, বনানী এলাকার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ছবি: হাসান আদিব
-
গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে সিঙ্গাড়া, ছোলা ও ডিম-খিচুড়ি বিক্রি করছেন আলাউদ্দিন। ভোটকে ঘিরে ছোট ভাই গোলাম রসুলকে নিয়ে দোকান বসিয়েছেন। ছবি: হাসান আদিব
-
আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাসে হেলপারি করি। বাস বন্ধ আছে আজ। এজন্য ছোট ভাইকে নিয়ে দোকান বসাইছি। ভালোই বেচাবিক্রি হচ্ছে। মিথ্যা কইবো না, সকাল থেকে আড়াই হাজার টাকারও বেশি বেচাবিক্রি করেছি।’ ছবি: হাসান আদিব
-
আলাউদ্দিনের ভাই গোলাম রসুল তিতুমীর কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, ‘ভাই বললেন চল বসে না থেকে আজ দোকান দেই। কাল সন্ধ্যা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আজকে দোকান দিলাম। ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। সবাই গরম গরম সিঙ্গাড়া খাচ্ছে, টাকা আয় হচ্ছে। কোনো ঝামেলা নেই।’ ছবি: হাসান আদিব
-
পাশেই আনারস বিক্রি করছেন আমিরুল ইসলাম। তিনি পেশায় তালা-চাবির মিস্ত্রি। আজকে ভোট ঘিরে আনারস বিক্রি করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তালা-চাবি বানানোর কাজ করি। কয়েকদিন কাজ নাই। আজকে ভোটের দিন। ভোটের সেন্টারে ভিড় হইবো ভাইবা দুইশো আনারস কিনে এনে বিক্রি করছি। সকাল থেকে ৬০-৬৫টা বিক্রি করছি।’ ছবি: হাসান আদিব
-
বাড্ডা হাই স্কুলের পাশে অস্থায়ী চা-পান, সিগারেটের দোকান দিয়েছেন আকতার হোসেন। তিনিও এ পেশার নন। তিনি বলেন, ‘ভোট তো গ্রামে। এখানে বইসা থাইকা কোনো লাভ নাই। সুযোগ তো সব সময় আসে না। আজকে সুযোগ কিছু কামাই করে নিই।’ ছবি: হাসান আদিব