ঈদেও প্রাণহীন রেশম পল্লি
ঈদ ঘিরে খট খট শব্দে মুখর থাকার কথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হরিনগর রেশম পল্লি। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। তেমন কোনো কর্মচঞ্চলতা নেই সেখানে। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতা না বাড়ালে এ ব্যবসার মন্দাভাব কাটবে না। এমনকি একই গ্রামে দুই বছরে বন্ধ হয়েছে প্রায় ১ হাজার তাঁত ঘর। এতে হতাশায় দিন কাটছে তাঁত মালিকদের।
-
ঈদের সময়ও অলস সময় পাড় করছেন তাঁত শ্রমিকরা।
-
শিবগঞ্জের হরিনগর তাঁতিপাড়া গ্রামের গৌরর চন্দ্র দাস বলেন, রেশম পল্লির সুতো চিন থেকে আসে। দাম অনেক চড়া। কেজি প্রতি আমাদের এ সুতো কিনতে হয় সাড়ে ৯ হাজার টাকা দরে। এক কেজি সুতোয় তিনটি শাড়ি বানানো সম্ভব। আর শ্রমিক খরচতো আছেই। এতে একটি শাড়ির খরচ পড়ে যাচ্ছে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সে অনুযায়ী বাজারে বিক্রি নেই। এতে আমরা সুবিধা করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হচ্ছে কারখানা।
-
তাঁতি পল্লি শ্রমিক শফিল আলী বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার তেমন চাপ নেই। অর্ডার অনেকটা কম। এক গজ কাপড় বুনলে আমরা ৯০ টাকা পাই। সারাদিনে অন্তত ৪-৫ গজ কাপড় বুনানো যায়। এতে দিনে ৪০০-৪৫০ টাকা আয় হয়। এ দিয়েই চলে আমার সংসার।