হাহাকার মানিকগঞ্জের তাঁতপল্লিতে
ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা শতবর্ষ পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মানিকগঞ্জের তাঁতপল্লি ঈদ এলেই তাঁতের খটখট শব্দ, আর ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠত। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ছবি: মো. সজল আলী
-
দফায় দফায় সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে ভারতীয় শাড়ির সহজলভ্যতার কারণে এক সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যময় তাঁতপল্লিতে এবার ঈদের আগেও নেই ব্যস্ততা।
-
ঈদ মৌসুমেও অলস সময় পার করছেন কারিগররা।
-
কিছুদিন আগেও দক্ষ কারিগরের নিখুঁত হাতে বুননের জন্য এখানকার তাঁতের তৈরি লুঙ্গি ও শাড়ির ব্যাপক কদর ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির পর দফায় দফায় সুতার দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট ও দেশীয় বাজারে ভারতীয় শাড়ির সহজলভ্যতায় তাঁতপল্লির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।
-
লোকসান গুনে গুনে দিশেহারা হয়ে এরইমধ্যে অনেকে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক কারিগর।
-
সুলাইমান নামের এক শ্রমিক বলেন বলেন, করোনার পর থেকেই আমাদের তাঁত ব্যবসা নেই বললেই চলে। সারা বছরে দুই মাস ভালো গেলো, ওই ব্যবসা আমাদের জন্য ভালো না। আমরা দিনমজুর, কাজ করবো হাটে গিয়ে বাজার করে খাবো।