ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা
মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ীতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘কুম্ভমেলা’ বা কামনার মেলা।
-
মহামানব গণেশ পাগলের এ মেলায় ভক্তরা আসেন পুণ্য অর্জনের জন্য। মেলাকে ঘিরে পুরো মাঠজুড়ে বসেছে সারি সারি দোকান। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
মেলায় বসা সারি সারি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের জিনিসপত্র। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
আজ সকাল থেকেই দলে দলে জয় ডংকা ও নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জয় হরিবল ও জয়বাবা গণেশ পাগল ধ্বনি করতে করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু সন্ন্যাসী ও ভক্তবৃন্দ বাস, ট্রাক, ট্রলার ও হেঁটে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেছেন। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
জানা গেছে, মাদারীপুর রাজৈরের কদবাড়ীর দিঘীরপাড় এলাকার মহামানব শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমে দেশের ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা। এই কুম্ভমেলাকে অনেকেই কামনার মেলাও বলে থাকেন। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
হিন্দু ধর্মাম্বলীদের শাস্ত্রমতে সত্য যুগে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত সুধা উঠেছিল তা চারটি কুম্ভপাত্রে হরিদ্বার, প্রয়াগ, উজ্জয়িনী ও নাসিক এ চারটি স্থানে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে ভারতীয় মুনি ঋষিরা কুম্ভমেলার আয়োজন করে আসছেন। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
শত বছর আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখে ১৩ জন সাধু ১৩ সের চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় এলাকায় ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে এ মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে এখানে মহামানব শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
মূল মেলা হয় এক রাতের জন্য। যা আজ রাতে অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলা কখনো কখনো সপ্তাহব্যাপীও চলে। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
এ মেলায় আসা হাজার হাজার সাধু সন্ন্যাসী ও আর ভক্তরা একতারা আর দোতারায় সুর দিয়ে সারারাত মেতে থাকেন। আয়োজন করা হয় ছোট বড় অর্ধশতাধিক প্যান্ডেলে বাউল ও ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ভক্তদের মধ্যে ভক্তসেবা কমিটির প্রসাদ বিতরণ। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
এ মেলায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নিয়োজিত আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী