উত্তাল পদ্মা এখন মরা খাল
আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফারাক্কায় ভারতের বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ওপর বিরাট প্রভাব পড়ছে। তবে ফারাক্কার অভিঘাত সবচেয়ে বেশি প্রকট পদ্মা নদীতে। গত চার দশকে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। প্রমত্তা পদ্মা যেন এখন মরুভূমি।
-
নদী গবেষকরা বলছেন, গঙ্গা চুক্তির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে পদ্মা। পাশাপাশি বিলুপ্ত হয়ে যাবে অর্ধশতাধিক দেশীয় প্রজাতির মাছ। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিম সীমান্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার উজানে গঙ্গা নদীতে দেওয়া হয়েছে বাঁধ, যা ফারাক্কা বাঁধ নামে পরিচিত। ১৯৬১ সালে বাঁধের মূল র্নিমাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৭৪ সালে ডিসেম্বরে। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
ভাটি অঞ্চলে হওয়ায় উজানের যে কোনো ধরনের পানি নিয়ন্ত্রণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। ফলে নাব্য হারিয়েছে পদ্মা নদী, উত্তাল রূপ এখন ধূসর বালিয়াড়ি। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
সত্তরের দশকে উত্তাল পদ্মার গর্জন ছিল ভয়ঙ্কর। পদ্মর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখা যেত না। বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ মিলতো। তবে এখন সবই অতীত। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে প্রমত্তা পদ্মা এখন প্রায় পানিশূন্য। এ যেন এক মরা খাল। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া ২৬ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে পানির প্রবাহ। এছাড়া পদ্মা অববাহিকায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কমেছে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পদ্মায় প্রতি সেকেন্ডে পানি প্রবাহ ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৮ কিউসেক। ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর প্রবাহ নেমেছে এক লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ কিউসেকে। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন
-
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চারঘাটের সারদা পর্যন্ত পদ্মার ৭০ কিলোমিটার অংশের নয়টি পয়েন্টে ১২৯ প্রজাতির মাছের অর্ধেকের বেশি অস্তিত্ব সংকটে। একসময় পদ্মায় অনেক শুশুক বা ব্লাক ডলফিন দেখা গেলেও বর্তমানে তা বিলীনের পথে। মৃত পদ্মায় হুমকিতে জলজ উদ্ভিদ। ছবি: সাখাওয়াত হোসেন