মার্কিন ছাত্র আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার প্রতিবাদে চলা মার্কিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
-
৫ মে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। ছবি: হাসান আলী
-
সংহতি সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ বলেন, মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমি এসেছি। সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে এখানে এসেছি। ফিলিস্তিনের গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা অতীতের যেকোনো নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। ছবি: হাসান আলী
-
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের জন্য এখানে আসিনি। আমরা এসেছি মানবতার জন্য। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বেশি সুসজ্জিত কোনো গণহত্যা আজ পর্যন্ত ঘটতে দেখিনি আমরা। তারপরও বিশ্বব্যবস্থাকে এই গণহত্যার কোনো সমাধান আমরা করতে দেখি না। ছবি: হাসান আলী
-
তিনি বলেন, আমরা এই বিশ্বব্যবস্থা এবং আমেরিকার বর্তমান অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত। যেসব আর্মিরা গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে অনলাইনে। ছবি: হাসান আলী
-
‘আমি অবাক হই, মস্তিষ্কে ঠিক কতটা ঘৃণা জমা করলে এই ধরনের অমানবিক কাজ করা যায়। আমি মানবতা নিয়ে শঙ্কিত। বাংলাদেশে যেন এমন ঘৃণার চাষ না হয়। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ ছবি: হাসান আলী
-
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর-অকুপেশন নে মোর’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। ছবি: হাসান আলী