দিনাজপুরের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাজারে ধস
প্রচণ্ড গরম ও তীব্র দাবদাহে দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাজারে ধস নেমেছে। শুরুতে বিক্রি হওয়া ১১০০ টাকা মণের টমেটো এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা মণ হিসেবে।
-
একদিকে গরমে টমেটো ক্ষেতে রাখা যাচ্ছে না, অন্যদিকে পাইকাররা টমেটো কিনে দেশের বাজারে সরবরাহ করতে পারছেন না। রাস্তা ও ক্ষেতে দুই জায়গাতেই টমেটো গরমে পচে নষ্ট হচ্ছে। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের গোপালপুর (গাবুড়া) বাজারে টমেটোর বিশাল হাট বসেছে। পুরোদমে চলছে এই টমেটোর হাট। প্রতিদিন এই হাট থেকে দেড়শ এর অধিক ট্রাক টমেটো নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আগামী জুন মাস পর্যন্ত চলবে হাটটি। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
রাত ৩টা থেকে শুরু করে এই বাজার চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
পুরো দেশে চাহিদা রয়েছে দিনাজপুরের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু এই গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদনের পর এবার বিক্রিতে লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
প্রথম দিকে কৃষকরা টমেটো ১১০০ টাকা মণ পর্যন্ত আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু এখন সর্বোচ্চ দর ৪০০ টাকাও পাচ্ছেন না। আর এর কারণ তীব্র দাবদাহ। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
গরমের কারণে কৃষক ক্ষেতে টমেটো রাখতে পারছেন না। গরমে টমেটো আকারে ছোট থাকা অবস্থাতেই পেকে যাচ্ছে। এতে করে বাজারে টমেটোর আমদানি বেড়ে গেছে। আর তাই দামও কমে গেছে। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ হয়েছে ৯৬০ হেক্টর জমিতে। গত বছর ছিল ৯৩৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবিতে টমেটো সংরক্ষণের জন্য জেলার বীরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলায় দুইটি মিনি হিমাগার স্থাপনের কাজ চলছে। ছবি: এমদাদুল হক মিলন