খেলারাম দাতার মন্দির
খেলারাম দাতা সম্পর্কে বহু লোককথার প্রচলন আছে সমাজে। কেউ বলেন তিনি ছিলেন জমিদার, আবার কেউ বলেন তিনি ভয়ানক দস্যু ছিলেন। তিনি দস্যু নাকি জমিদার ছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তিনি যে দানশীল ছিলেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই কারোর। তার নাম নিয়েও আছে মতভেদ। কেউ বলেন, তার নাম ছিল ‘খেলারাম দত্ত’। কেউ বলেন ‘খেলারাম দাদা’।
-
লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, খেলারাম দাতা ধনীদের কাছ থেকে ডাকাতি করা টাকাপয়সা, মালামাল গরিবদের বিলিয়ে দিতেন। শেষ জীবনে তিনি ধার্মিক ব্যক্তিতে পরিণত হন। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
কথিত আছে, খেলারাম দাতার বাড়ি থেকে ইছামতীর পাড় পর্যন্ত সুড়ঙ্গ পথ ছিল। নদীপথে ধনসম্পদ এনে এ সুড়ঙ্গ পথেই বাড়ি নিয়ে আসতেন তিনি। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
এই ইছামতী নদীকে কেন্দ্র করেই উনিশ শতকে গড়ে উঠেছিলো ঐতিহাসিক কলাকোপা নগর। মূলত ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই পছন্দের জায়গা ছিল এই কলাকোপা। সেই কলাকোপারই এক ঐতিহাসিক স্থাপনা হলো এই খেলারাম দাতার মন্দির। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
ঢাকার নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়নে এই মন্দিরের অবস্থান। ঘাট বাঁধানো বিশাল এক পুকুর। চারপাশ ঘিরে রেখেছে বিভিন্ন গাছপালা। স্নিগ্ধ এক পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো পুকুরপাড় জুড়ে। সেই পুকুরের এক পাশে ঐতিহাসিক এই মন্দিরের অবস্থান। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
মন্দিরটিতে নির্মাণকৌশলে বঙ্গীয় বা গৌড়ীয় রীতির প্রতিফলন রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় ধারা। অতীতে মন্দিরটির মূল রং ছিল লালচে। পুরো মন্দিরটি আটকক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবন। বর্তমানে ভবনটির শুধু ওপরের দোতলা টিকে রয়েছে। নিচতলায় অনেকগুলো কক্ষ থাকলেও এখন প্রায় সবই মাটিতে ঢেকে আছে। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
ভবনের ভারী দেয়াল ও পিলার দেখে নির্মাণকৌশল সম্পর্কে ধারণা করা যায়। দোতলার চারপাশে ও চার কোণে রয়েছে বাংলা ঘরের আকৃতিতে এক কক্ষবিশিষ্ট আটটি ঘর। মাঝে মঠ আকৃতির আরেকটি ঘর রয়েছে। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল
-
বর্তমানে মন্দিরের অবস্থা ভালো কিন্তু এর দেখভালের অবস্থা শোচনীয়। মাদকের নিয়মিত আড্ডা বসে এই মন্দিরের নিচ তলায়। ছবি: বোহেমিয়ান ফয়সাল