‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’
টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত শিশুদের কাছে বেশি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’। সিসিমপুর হচ্ছে শিশুদের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠান সিসামি স্ট্রিটের বাংলাদেশি সংস্করণ। ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’ গানটি যখন বেজে ওঠে, টিভি সেটের সামনে শিশু-কিশোরদের ভিড় জমে যায়। মূলত শিশুদের খেলার মাধ্যমে স্বপ্ন দেখায় ‘সিসিমপুর’।
-
সেই সঙ্গে শেখানো হয় শিশুতোষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়। দিনে দিনে সিসিমপুর যেন হয়ে উঠেছে আমাদের পরিবারেরই অংশ। অনুষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ১৪ এপ্রিল ২০০৪ সালে। বাংলাদেশে সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো হলো শিকু, হালুম, ইকরি, টুকটুকি। এদের নিয়ে নিয়ে দিনের পর দিন কত কাহিনী। কত কিছু শেখায় তারা। তবে শুধু টিভির পর্দায় নয়। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর দেখা মেলে এখন বিভিন্ন জায়গায়। ছবি: ইমন ইসলাম
-
চলছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার দ্বিতীয় দিন ছিল শুক্রবার। ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের ছিল সরব উপস্থিতি। শিশুদের কোলাহলে যেন প্রাণ ফিরেছে শিশু চত্বরে। বইমেলার ফটক খুলতেই শিশুদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। বাবা-মা, অভিভাবকের হাত ধরে ভিড় করতে শুরু করে শিশু চত্বরে। বইমেলায় শিশুদের প্রধান আকর্ষণ এই ‘শিশুপ্রহর’। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার হয়ে ওঠে শিশুদের দিন। ছবি: ইমন ইসলাম
-
‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’ গানে শিশু চত্বরের স্টেজে আপন মনে নাচতে দেখা যায় শিশুদের। স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা ছোট ছোট শিশুদের হাসি, উল্লাস, দৌড়াদৌড়ি, খুনসুটি, আবদার, মান-অভিমান, বড়দের সঙ্গে আড়ি, ঝগড়া, কান্না, লাফালাফি-সব কিছুর মধ্যে যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, তা অন্য সব আনন্দকে ম্লান করে দেয়। ছবি: ইমন ইসলাম
-
সিসিমপুরের সবাইকে সামনে পেয়ে শিশুরা মেতে ওঠেছে আনন্দ উল্লাসে। তারা যেন দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিল। নিজের চোখে হালুম, ইকরি, শিকু আর টুকটুকিকে দেখতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে শিশুরা। ছবি: ইমন ইসলাম
-
বেলা বাড়তেই অন্যান্য স্টলগুলোর মতো উৎসব মুখর হয়ে উঠতে শুরু করে বইমেলার শিশু চত্বরও। বাবা-মায়ের হাত ধরে তারা প্রিয় বই খুঁজতে থাকে। কেউ কেউ তাদের পছন্দের গল্প, কবিতা, ছড়া বা কার্টুনের বই কিনছে। ছবি: ইমন ইসলাম
-
বই পড়লে শিশুরা আনন্দ পায়, তাদের কল্পনাশক্তি বাড়ে। বই পাঠ শিশুদের নিজস্ব চিন্তা ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায় । সেই সঙ্গে মনোযোগ ও যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে বই পড়ার গুরুত্ব তাই অপরিসীম। ছবি: ইমন ইসলাম