পুরান ঢাকায় বসেছে বাহারি ঘুড়ির পসরা
রোববার পৌষ মাসের শেষ দিন ‘পৌষ সংক্রান্তি’। এই দিনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন পালন করা হয়। এই উৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকায় অলিগলিতে জমে উঠেছে বাহারি ঘুড়ি ও নাটাই-সুতা বেচাকেনা। বইছে উৎসবের আমেজ।
-
রাজধানীর শাঁখারী বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে রং-বেরঙের ঘুড়ি-নাটাই ও সুতার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। গত এক সপ্তাহ থেকে এ বাজারে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনা। পাওয়া যাচ্ছে বাজারে চশমাদার, ভোয়াদার, চক্ষুদার, দাবাদার, রুমালদার, চিলদার, রকেট, স্টার, টেক্কা, শিংদ্বার, রংধনু, গুরুদার, পান, লাভসহ নানার বাহারি নামের ঘুড়ি। ছবি: রায়হান আহমেদ
-
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আকার ও মানভেদে ঘুড়ির দাম ভিন্ন। সবচেয়ে বেশি চাহিদা বিভিন্ন রঙের কাগজের ঘুড়ির। সাধারণ ঘুড়ি পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। বিভিন্ন নকশাদার ঘুড়ির দাম ৫০ টাকা শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। একটি চক্ষুদার ঘুড়ি ১৫০ টাকা, চিলদার ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, রকেট ঘুড়ি ২০০ টাকা। ছবি: রায়হান আহমেদ
-
ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য প্রয়োজন নাটাই-সুতা। মানভেদের এসবের দামেও রয়েছে ভিন্নতা। সাধারণ বাঁশের তৈরি নাটাই ছোট-বড় অনুসারে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। চাবাডি নাটাই বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। সুতাও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। ড্রাগন সুতা, ভুত সুতা, বিলাই সুতা। সুতাভেদে দাম ১০০ থেকে থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ছবি: রায়হান আহমেদ
-
আজ দুপুরের পর থেকে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী এই সাকরাইন উৎসব। এদিন ৩টায় ধুপখোলা মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: রায়হান আহমেদ
-
জানা যায়, সাকরাইন মূলত পৌষ সংক্রান্তি ঘুড়ি উৎসব। বাংলাদেশে শীত মৌসুমের বাৎসরিক উদযাপনে ঘুড়ি উড়িয়ে পালন করা হয়। সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। ছবি: রায়হান আহমেদ
-
পৌষ ও মাঘ মাসের সন্ধিক্ষণে পৌষ মাসের শেষদিন সারা ভারতবর্ষে সংক্রান্তি হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে পুরান ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন সর্বজনীন ঢাকাইয়া উৎসবের রূপ নিয়েছে। ছবি: রায়হান আহমেদ