উন্নয়নের নতুন দিগন্ত মাতারবাড়ি
দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। এ উপজেলার একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়ি, যা মূল উপজেলা থেকেও বিচ্ছিন্ন। এখান থেকেই আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এর কাজ শেষ হলে দেশ নতুন যুগে পদার্পণ করবে।
-
বিদ্যুৎ উৎপাদনের আগেই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প আলো ছড়াতে শুরু করেছে দুর্গম অঞ্চলটিতে। প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে চলছে এ বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের মহাযজ্ঞ। ছবি: জাগো নিউজ
-
এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। আগে যেখানে ছিল না কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাওয়া যেত না চায়ের দোকান। বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর সেখানেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবার হোটেল। পিছিয়েপড়া অঞ্চলটির জীবনযাত্রায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ছবি: জাগো নিউজ
-
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পাশাপাশি এই দ্বীপ অঞ্চলেই নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, যা মাতারবাড়ির উন্নয়নের গতি আরও বাড়ি দিয়েছে। একটা সময় কক্সবাজার থেকে দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে যেখানে যেতে হতো, সেখানেই এখন হবে চার লেনের রাস্তা। ছবি: জাগো নিউজ
-
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কল্যাণে কোটি টাকা খরচে বড় বড় রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সরকারের জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্যানুযায়ী, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশে কোহেলীয়া নদী, উত্তরে উজান টিয়া নদী এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। অত্যন্ত দুর্গম মাতারবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় ৮০ হাজার লোকের বসবাস। ছবি: জাগো নিউজ
-
‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি বাস্তবায়নাধীন এই দুই মেগা প্রকল্পের কিছু অংশ মাতারবাড়ির সঙ্গে ধলঘাটা ইউনিয়নেও পড়েছে। ছবি: জাগো নিউজ
-
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ নিলে এ অঞ্চলে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। পরিবেশ প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) প্রতিবেদন অনুমোদন হয় পরের মাসে, অর্থাৎ অক্টোবরে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট। ছবি: জাগো নিউজ
-
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয়দের চাকরি নয়, জীবিকা নির্বাহে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছিল। অনেকে বিভিন্ন ট্রেনিংও নিয়েছেন। কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে পারেননি। এখনো ট্রেনিং নেয়ার সুযোগ আছে। স্থানীয়রা চাইলেই প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রতিটি জমির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়েছে। ছবি: জাগো নিউজ
-
সম্প্রতি বিদ্যুৎ প্রকল্প অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১৬০৫ একর জমির ওপর চলছে ১২০০ মেগাওয়াটের আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মহাযজ্ঞ। স্থানীয়রা এ প্রকল্পের কাজ করার সুযোগ চাচ্ছে। ছবি: জাগো নিউজ
-
দেশের বাইরে থেকে জাহাজে প্রকল্পের মালামাল নিয়ে আসার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি স্থায়ী জেটি, যেখানে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রকল্পের কিছু মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ ভিড়েছে, যা মাতারবাড়িতে আসা প্রথম জাহাজ। আরও একটি স্থায়ী জেটির কাজ চলমান। যে জেটির কাজে ব্যবহার হচ্ছে ২০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন হ্যামার। ছবি: জাগো নিউজ