স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ যেভাবে এগিয়েছে
বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ সম্পূর্ণ রূপে দৃশ্যমান। এবার জেনে নিন যেভাবে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়েছে।
-
২০১৪ সালের নভেম্বরে মূল সেতুর কাজ শুরু হয়। কাজ পায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। তাদের সঙ্গে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সেতুর কাজ চার বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরুর পরের বছরই মাওয়ায় স্থাপিত নির্মাণ মাঠের বেচিং প্ল্যান্টসহ একাংশ নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। ছবি: জাগো নিউজ
-
এরপর ২০১৭ সালে প্রতিটি খুঁটির নিচে মাটি পরীক্ষায় ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া যায়। তারপর নকশা সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়। দেরি হয় ফেরিঘাট স্থানান্তরেও । ছবি: জাগো নিউজ
-
প্রথমে প্রতিটি খুঁটির নিচে ছয়টি করে পাইল বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। যুক্তরাজ্যের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নকশা সংশোধন করে একটি করে পাইল বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ জন্য খুঁটি নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময় লাগে। ছবি: জাগো নিউজ
-
এসব কারণে সেতুর কাজে প্রায় এক বছর বাড়তি লাগে। এ জন্য মাঝে কাজে কিছুটা গতি কমে যায়। ঠিকাদারকে ২ বছর ৮ মাস বাড়তি সময় দেওয়া হয়। নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়। ছবি: জাগো নিউজ
-
সেতুর জন্য নদীশাসনের কাজও আরম্ব হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন। তাদের সঙ্গে চুক্তি ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চার বছরের মধ্যে। ২০১৭ সালের দিকে স্রোতের কারণে মাওয়ায় নদীর নিচে গভীর খাদ তৈরি হয়। ছবি: জাগো নিউজ
-
অন্যদিকে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিভিন্ন সময় ভাঙনও দেখা দেয়। ফলে নদীশাসনের কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এখন আড়াই বছর সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৭৬ শতাংশ। ছবি: জাগো নিউজ
-
পদ্মার দুই পারে সংযোগ সড়ক, টোল প্লাজা ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সেতুর কাজে জমি প্রদানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনও সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এখন অপেক্ষা সেতুর উদ্বোধনের। ছবি: জাগো নিউজ