ছবিতে দেখুন ঢাকায় ‘হিউম্যান ডগ’
‘হিউম্যান ডগ’ মানে ‘মানব কুকুর’- তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ কেন কুকুরের মতো চলাফেরা করছে? এ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার জন্ম হয়েছে রাজধানীর হাতিরঝিলে।
-
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে।
-
জানা যায়, হিউম্যান ডগ সেজে হাতিরঝিলের রাস্তায় যিনি হাঁটছেন তার নাম টুটুল চৌধুরী। সেঁজুতি নামের এক নারী তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সে সময় তাদের কিছু ছবি তোলা হয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
-
ধারণাটি বাংলাদেশে প্রথম হলেও এটি একটি ‘পারফর্মিং আর্ট’।
-
পশ্চিমা ধারণার এ পারফর্মিং আর্ট প্রথম দেখা যায় ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের প্রকাশ্য রাস্তায়। তখন ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল এ পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন। এ পারফর্মিং আর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণিকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে দেখানো হয়; তেমনই এখানে মানুষকে প্রাণি চরিত্রে দেখানো হয়।
-
সম্প্রতি হাতিরঝিলে সেই ‘পারফর্মিং আর্ট’ ফ্রম পোর্টফোলিও অব ডগডনেসের পুনারাবৃত্তি ঘটে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায়। এতে অংশ নেওয়া নারী সেঁজুতি একে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ ও ‘আচরণমূলক’ কেসস্ট্যাডি বলেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িংয়ের শিক্ষার্থী।
-
সেঁজুতি লেখক ক্লদিয়া স্লানারের লেখাকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘এই ছবিতে একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা আরো ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র দেখায় না। বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে সেটাই ফুটে উঠেছে।’
-
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এ পারফর্মিং আর্টের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেতিবাচকভাবে। সেখানে বলা হচ্ছে, হাতিরঝিলে দেখা গেল মানব কুকুর কিংবা আমাদের সমাজে ঢুকে গেল পশ্চিমা নিম্ন প্রকৃতির সংস্কৃতি। সেঁজুতি পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘রোগ হইলে যেমন ডাক্তারের কাছে যাওন লাগে কিন্তু তার আগে রোগটা নির্ণয় করতে হয়।