সাক্ষাৎকারে সাইফুল হোসেন

‘শুধু অর্থ উপার্জন নয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও জানতে হবে’

সাইফুল হোসেন
সাইফুল হোসেন সাইফুল হোসেন
প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

সাইফুল হোসেন। একজন লেখক, অর্থনীতি বিশ্লেষক, ব্যক্তিগত আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং ইউটিউবার। জাগো নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, বিনিয়োগ, সঞ্চয়, ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের ডেপুটি এডিটর ড. হারুন রশীদ

জাগো নিউজ: আপনি একজন ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, লেখক, ইউটিউবার এবং প্রশিক্ষক। আপনার যাত্রার সূচনা এবং ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রতি আগ্রহ কীভাবে তৈরি হয়েছিল?

উত্তর: আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্যাংকিং সেক্টরে, যেখানে আমি প্রায় ২২ বছর ধরে কাজ করেছি। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমি বুঝতে পারি, বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ব্যাংকিং খাতে কাজ করার সময় আমি দেখেছি, অনেকেই সঞ্চয়ের গুরুত্ব বোঝেন না এবং বিনিয়োগে ঝুঁকি এড়ানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। এই উপলব্ধি থেকেই আমার আগ্রহ তৈরি হয় ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে। আমি অনুভব করেছিলাম যে আমার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারি। সেই চেষ্টায় আমি আমার প্রথম বই ‘The Art of Personal Finance Management’ লিখেছি এবং ইউটিউবে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে শুরু করি।

প্রশ্ন : আপনার মতে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় সমস্যাগুলো কী?
উত্তর: বাংলাদেশে মূল সমস্যা হলো সঞ্চয়ের অভাব এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের প্রবণতা। অনেক মানুষ যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই বিনিয়োগ করেন এবং এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এছাড়া, আমাদের দেশে আর্থিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই। আমি আমার বই, ইউটিউব চ্যানেল এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোতে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি চাই মানুষ যেন সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করতে শিখে।

প্রশ্ন : আপনার সম্প্রতি লেখা পাঠকনন্দিত ‘The Art of Personal Finance Management’ বইটির মূল ভাবনা কী?
উত্তর: বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনার সচেতনতা তৈরি করা। আমাদের দেশে অনেকেই সঠিকভাবে সঞ্চয় করতে জানেন না এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনিয়োগ করে থাকেন। আমি এই বইয়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি কীভাবে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ করতে হবে তা শেখানোর চেষ্টা করেছি। অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা শিখতে পারেন, কিন্তু ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সঠিক ধারণা পান না। আমার এই বইটি তাদের সেই শূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন : ইউটিউবের মাধ্যমে আপনি কীভাবে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখাচ্ছেন? আপনার চ্যানেলের দর্শকরা কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন?
উত্তর: আমার ইউটিউব চ্যানেলে আমি ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগের কৌশল, সঞ্চয়ের উপায় এবং আর্থিক ঝুঁকি কমানোর পদ্ধতি নিয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করি। আমি চেষ্টা করি জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে, যাতে সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পারে। আমার ভিডিওগুলো দেখে অনেক দর্শক আমাকে জানিয়েছেন যে তারা সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলেছেন এবং বিনিয়োগে সফল হয়েছেন। এছাড়া, আমি ব্যবসা, সেলফ ডেভেলপমেন্ট, সম্পর্ক, প্যারেন্টিং এবং উদ্যোক্তা হবার কৌশল নিয়ে আলোচনা করি। তবে আমার মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে আলোকপাত করা।

‘আমার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হোক। আমি বিশ্বাস করি, ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনার সঠিক শিক্ষা এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সঠিক কৌশল জানলে যে কেউ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তিকে শুধু আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করে না, বরং তাকে আরও মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।’

প্রশ্ন : আপনি সম্প্রতি অনলাইন কোর্স চালু করেছেন। এর পেছনের ভাবনা কী ছিল এবং এটি কীভাবে মানুষকে সহায়তা করছে?
উত্তর: অনলাইন কোর্স চালু করার পেছনে আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল, মানুষের মধ্যে আরও গভীর অর্থনৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া। আমার বই এবং ইউটিউব ভিডিওগুলো অনেককে সাহায্য করেছে, কিন্তু কোর্সের মাধ্যমে আমি বিষয়গুলো আরও বিস্তারিতভাবে শেখানোর সুযোগ পাচ্ছি। আমি কোর্সে ধাপে ধাপে অর্থ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগের কৌশল, সঞ্চয়, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শেখাই। এতে অংশগ্রহণকারীরা আরও বিশদভাবে শিখতে পারেন এবং তাদের আর্থিক জীবনের উন্নতি ঘটাতে পারেন। এছাড়া, যারা আরও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমার পরামর্শ চান, তাদের জন্য ব্যক্তিগত কন্সাল্টেশনও প্রদান করছি।

প্রশ্ন : আপনি কীভাবে বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের হার বাড়ানো সম্ভব?
উত্তর: সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের হার বাড়ানোর জন্য মানুষের মধ্যে সঠিক আর্থিক শিক্ষা প্রয়োজন। মানুষকে শেখাতে হবে, কীভাবে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য সঠিক পরিকল্পনা করতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগে প্রণোদনা থাকলে মানুষ আরও উৎসাহী হবে। আমি মনে করি, যদি মানুষ সঠিকভাবে তাদের অর্থের ব্যবস্থাপনা শিখতে পারে এবং বিনিয়োগের ঝুঁকি এড়াতে পারে, তাহলে আমরা জাতীয়ভাবে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের হার বাড়াতে সক্ষম হবো।

প্রশ্ন : আপনার আসন্ন বইগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন এবং সেগুলোতে কী ধরনের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে?
উত্তর: আমার আসন্ন বইগুলো হলো: ‘The Nitty Gritty of Finance Management in Life’, ‘A Journey Towards Entrepreneurship’, ‘The Mystery of Business Failure and Success’, এবং ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ: ঝুঁকি, সম্ভাবনা ও কৌশল’। এই বইগুলোতে আমি ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা, স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, এবং সফলতা ও ব্যর্থতার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিশেষ করে ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ’ বইটি নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই উপকারী হবে, কারণ এটি ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ কৌশল নিয়ে লেখা হয়েছে।

প্রশ্ন : আপনি কীভাবে বিশ্বাস করেন যে দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব?
উত্তর: দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব। মানুষ যদি সঠিকভাবে সঞ্চয় করতে পারে এবং দেশীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ঝুঁকিহীন লাভ করতে শেখে, তবে তারা বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল হবে না। এভাবে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারবো এবং আন্তর্জাতিক ঋণের প্রয়োজন কমবে। আমার বই, ইউটিউব চ্যানেল এবং কোর্সগুলোর মাধ্যমে আমি মানুষকে এই শিক্ষা দিতে চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন : তরুণদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে যারা ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহী?
উত্তর: তরুণদের আমি বলব, খুব কম বয়স থেকেই অর্থ ব্যবস্থাপনা শিখতে শুরু করুন। আপনার আয়ের সঠিক ব্যবহার শিখুন, সঞ্চয়ের গুরুত্ব বুঝুন এবং বিনিয়োগের ঝুঁকির দিকগুলো ভালোভাবে জানুন। আজকের দিনে যদি এই বিষয়গুলো শিখতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে পারবেন। আমার বই এবং ইউটিউব ভিডিওগুলো তরুণদের জন্য একটি ভালো শিক্ষা উপকরণ হতে পারে।

প্রশ্ন : আপনার ভবিষ্যতের লক্ষ্য কী এবং আপনি কীভাবে আপনার কাজকে আরও বিস্তৃত করতে চান?
উত্তর: আমার ভবিষ্যতের লক্ষ্য হলো আরও বেশি মানুষের মধ্যে আর্থিক শিক্ষার প্রচার করা এবং তাদের জীবনে এটি প্রয়োগ করতে সহায়তা করা। আমি চাই, আমার বইগুলো আরও বেশি মানুষের হাতে পৌঁছাক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে তারা সচেতন হোক। আমার ইউটিউব চ্যানেলেও আমি এই শিক্ষাকে আরও প্রসারিত করতে চাই, যাতে যেকোনো বয়সী ও পেশার মানুষ সহজেই আর্থিক স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, আমি অনলাইন কোর্সের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি, যাতে আরও গভীর এবং পেশাদারি পর্যায়ের শিক্ষা দেওয়া যায়। আমার লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়; আমি চাই দেশের অর্থনীতিতে বৃহত্তর পরিবর্তন আনতে। দেশজুড়ে যদি আর্থিকভাবে সচেতন মানুষ তৈরি হয়, তাহলে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার বাড়বে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে।

আমি মনে করি, আমাদের দেশে উদ্যোক্তা তৈরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমি "A Journey Towards Entrepreneurship" বইটি লিখেছি, যা নতুন উদ্যোক্তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সাহায্য করবে। আমি চাই যুবসমাজকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং তাদের নিজেদের ব্যবসা শুরু করার দিকে উৎসাহিত করতে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগগুলি আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের যুবসমাজকে আরও উদ্যমী ও উদ্ভাবনী করে তুলবে। তাছাড়া, আমি আমার কাজের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রসার করতে চাই, যাতে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা যায়।

প্রশ্ন : অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আপনার দৃষ্টিতে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হলো একটি ব্যক্তির নিজের জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। এটি শুধুমাত্র আর্থিক নিরাপত্তা নয়, বরং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং ভবিষ্যতের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকা। যখন একজন ব্যক্তি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়, তখন তিনি তার জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিতে পারেন। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মানে ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত সঞ্চয় রাখা এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ করা।

আমার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হোক। আমি বিশ্বাস করি, ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনার সঠিক শিক্ষা এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সঠিক কৌশল জানলে যে কেউ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তিকে শুধু আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করে না, বরং তাকে আরও মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আর্থিক খাত সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আর্থিক খাত নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমাদের দেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, এবং যদি আমরা সঠিকভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবো। আমি বিশ্বাস করি, দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে আমাদের বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব। যখন মানুষ সঞ্চয় করবে এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করবে, তখন দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক প্রবাহ আরও শক্তিশালী হবে।

আমার বিশ্বাস, যদি দেশের প্রতিটি নাগরিক আর্থিকভাবে সচেতন হয় এবং তারা সঠিকভাবে তাদের অর্থ পরিচালনা করতে শেখে, তবে আমরা দ্রুতই একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করতে পারবো। আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি, যেমন ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ফিনটেকের ব্যবহার, আমাদের অর্থনীতিতে আরও গতি আনতে পারে। এসব প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার আমাদের দেশের ব্যবসা, ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ খাতকে আরও শক্তিশালী করবে। এভাবে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে পারবো।

আমার লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে একটি সঞ্চয় ও বিনিয়োগ ভিত্তিক অর্থনীতি তৈরি করা, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি বিশ্বাস করি, ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা একটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

এইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।