চলমান শ্রমিক আন্দোলন এবং কিছু কথা
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানা দাবি-দাওয়া আদায় করতে আন্দোলন শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতও এর বাইরে থাকতে পারেনি। গত ৩১ আগস্ট ২১ দফা ও ১৭ দফা দাবিতে গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানার শ্রমিকরা।
তারা মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেন। ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেখানকার অন্তত ১৫টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বর শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি পোশাক, ওষুধ, খাদ্যসহ বিভিন্ন শিল্পের শতাধিক কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। বিক্ষোভ শুরুর পর আশুলিয়ায় ৪০টি ও গাজীপুরে ৪৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। গাজীপুরের ১১টি তৈরি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। দুটি কারখানায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। ৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক বিক্ষোভের ১৬৭টি তৈরি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। অন্তত ২৫টি বড় ওষুধ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। ৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের কারণে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ১২৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল।
শ্রমিকদের যেসব দাবি রয়েছে তার মধ্যে বেশ কিছু দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এমনকি এসব দাবি নিয়ে মালিক পক্ষ বা মালিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনগুলোও বিপক্ষে রয়েছে বলে তেমন শোনা যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দাবি এমন সময়ে করা হচ্ছে, তা মোটেই দাবি-দাওয়া উত্থাপন বা পূরণের জন্য অনুকুল কি না।
শ্রমিকরা যেসব দাবিতে আন্দোলন করছেন, সেসবের মধ্যে রয়েছে বর্তমানে যে ন্যূনতম বেতন রয়েছে তা বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ, বৈষম্যবিরোধী শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কোনো কর্মীকে পরবর্তী সময়ে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাকরিচ্যুত না করা, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা, প্রত্যেক শ্রমিককে দুই বেলা খাবার প্রদান, খাবারের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বৈষম্য না রাখা, খাবারের মান উন্নয়ন, খাবারের মেন্যু পরিবর্তন করা, দুই ঈদে বেতনের সমপরিমাণ বোনাস ও বৈশাখী বোনাস প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি চালু করা, সব কর্মচারীর কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা করা, হাজিরা বোনাস প্রদান, সব সরকারি ছুটি প্রদান এবং ছুটির হয়রানি বন্ধ করা, শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন, কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হলে কোম্পানি কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান ইত্যাদি।
শ্রমিকদের যেসব দাবি রয়েছে তার মধ্যে বেশ কিছু দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এমনকি এসব দাবি নিয়ে মালিক পক্ষ বা মালিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনগুলোও বিপক্ষে রয়েছে বলে তেমন শোনা যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দাবি এমন সময়ে করা হচ্ছে, তা মোটেই দাবি-দাওয়া উত্থাপন বা পূরণের জন্য অনুকুল কি না।
গত ১৫ বছরে শুধু ব্যাংক খাতেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ কোটি টাকা, যার অধিকাংশই আদায় অযোগ্য।
২০২০ সাল পরবর্তী সময় করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আন্দোলন ও সহিংসতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ফলে বিগত চার বছর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য একের পর এক সংকটে পতিত হয়েছে। এর ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিগত চার বছরে কাঙিক্ষত অগ্রগতি লাভ করেনি।
এছাড়া বর্তমানে আর্থিক খাতের অবস্থা অত্যন্ত ভয়ংকর। গত ১৫ বছরে শুধু ব্যাংক খাতেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ কোটি টাকা, যার অধিকাংশই আদায় অযোগ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। ২০০৯ তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তাছাড়া দেশের প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশের উৎপাদন খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমতাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের কারণে যদি উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে দেশে অর্থনীতি আরো নাজুক অবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে।
শ্রমিক আন্দোলনের ফলে যে শুধু দেশের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ রপ্তানি খাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
তাছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবার মাত্র একমাস অতিবাহিত হলো। দায়িত্ব নেবার পর থেকেই সংস্কার শুরু করেছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। এরই মধ্যে ব্যাংক খাত সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া সংকট উত্তরণে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে আস্থা ফিরে আসবে।
এমতাবস্থায় সংস্কার চলাকালীন উৎপাদন খাতে অস্থিরতা চলতে থাকলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর হবে না। এমনিতেই চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর শ্রমিক আন্দোলন চলমান থাকলে দেশের সাপ্লাই চেইন মুখ থুবড়ে পড়বে। শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বেশ কিছু বড় ওষুধ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এবং কয়েকটি কারখানায় কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে বাজারে ওষুধের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। একই ধরনের আশঙ্কা অন্যান্য খাতের সাথে জড়িতদেরও। শ্রমিক আন্দোলনের ফলে যে শুধু দেশের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ রপ্তানি খাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
অস্থিরতার কারণে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক উৎপাদনের বড় একটি অংশ ভারতে চলে যেতে পারে বলে মনে করেন ভারতের রেমন্ডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সিংহানিয়া।
ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্যানুযায়ী, দেশে প্রায় ৩০০ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে সচল কারখানার সংখ্যা প্রায় ২০০। দেশের ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছে এসব কারখানা। পাশাপাশি ১৫০টির বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হয়। শুধু ওষুধ নয়, দেশের রপ্তানির প্রধান খাত তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানি খাত সমস্যায় পড়বে।
অস্থিরতার কারণে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক উৎপাদনের বড় একটি অংশ ভারতে চলে যেতে পারে বলে মনে করেন ভারতের রেমন্ডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সিংহানিয়া। সম্প্রতি ভারতের সংবাদপত্র দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ কথা বলেন তিনি।
তার এ বক্তব্যকে মোটেই হালকাভাবে নেবার সুযোগ নাই। এ অবস্থা উত্তরণে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া। আর নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া জারি রাখতে সরকার, মালিক, শ্রমিককে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে।
মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক অটুট থাকলে তৃতীয় পক্ষের সুযোগ নেবার কোনো প্রশ্নই আসে না। মালিক-শ্রমিক শক্তিশালী সম্পর্কের অভাবে বা তাদের মধ্যে দূরত্বের কারণে তৃতীয় পক্ষ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে।
বিদ্যমান শ্রম আইন যথাযথভাবে মেনে চললে শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবি পূরণ হয়ে যাবে। বেশ কিছু দাবি শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার সুযোগ রয়েছে। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে শ্রমিকদের বর্তমান দাবির প্রেক্ষিতে সরকার সব পক্ষকে সাথে নিয়ে মজুরি পর্যালোচনা করে তিন মাসের মধ্যে নতুন মজুরি ঘোষণা করতে পারে।
আর মালিকপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সাথে সম্পর্কের ভিত্তিকে আরো জোরালো করা। সম্পর্কের ভিত মজবুত নয় বলে প্রতীয়মান হয়। আর তাছাড়া প্রতিটি শ্রমিক আন্দোলনেই তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি বা সুযোগ নেবার কথা বলা হয়। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক অটুট থাকলে তৃতীয় পক্ষের সুযোগ নেবার কোনো প্রশ্নই আসে না। মালিক-শ্রমিক শক্তিশালী সম্পর্কের অভাবে বা তাদের মধ্যে দূরত্বের কারণে তৃতীয় পক্ষ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে।
দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে কর্মবিরতি, অবরোধ, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিকাণ্ড আদতে কোনো সমাধান বয়ে আনে না, বরং পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে।
তবে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে শ্রমিকদেরকেও আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে, আলোচনার মাধ্যমেই দাবি-দাওয়া আদায় করা যায়। দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে কর্মবিরতি, অবরোধ, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিকাণ্ড আদতে কোনো সমাধান বয়ে আনে না, বরং পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে। তাদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে লিখিতভাবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন, এমনকি একটি কপি স্থানীয় শ্রম দপ্তরকে দিতে পারেন।
কোনো পরিস্থিতিতেই লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সরকারকে অত্যন্ত কঠোর হতে হবে এবং এগুলো প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেক্ষেত্রে শ্রম অধিদপ্তরকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কারখানা পরিদর্শন করে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করতে হবে।
কারখানায় অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী তো হবেনই না, বরং বর্তমান বিনিয়োগ নিয়েও পর্যালোচনা করবেন। এর ফলে যেমন নতুন কর্ম সৃষ্টি হবে না, অন্যদিকে অস্থিরতার কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
উৎপাদন খাতে জটিলতা সৃষ্টি হলে তা বরং শ্রমিকদের জন্য হিতে বিপরীত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব মতে, বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মানে গত বছরের তুলনায় এখন দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি। সুতরাং বেকারের সংখা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যেখানে থাইল্যান্ডে ০.৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ১.৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার কমাতে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশে মোট কর্মসংস্থানে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান প্রায় ৬০ শতাংশ। তবে কারখানায় অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী তো হবেনই না, বরং বর্তমান বিনিয়োগ নিয়েও পর্যালোচনা করবেন। এর ফলে যেমন নতুন কর্ম সৃষ্টি হবে না, অন্যদিকে অস্থিরতার কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সবার জন্য কাজের ব্যবস্থা হলে সেক্ষেত্রে কাজের মান, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আরো বিষয়ে মনোযোগী হবার সুযোগ রয়েছে।
দাবি-দাওয়া পেশের আগে শ্রমিকদের চিন্তা করতে হবে সেসব দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে সরকার এবং মালিকদের সক্ষমতা আছে কিনা এবং সেটা বাস্তবতার আলোকে করা হচ্ছে কিনা? আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বর্তমানে কাজের সুযোগ তৈরি করা এবং সেটি ধরেই রাখাই মুখ্য হওয়া উচিত। কারণ প্রতি বছর পড়া শেষ করা অনেক কর্মক্ষম ব্যক্তি বেকার থাকছেন। এসব বেকারদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সবার জন্য কাজের ব্যবস্থা হলে সেক্ষেত্রে কাজের মান, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আরো বিষয়ে মনোযোগী হবার সুযোগ রয়েছে।
৫৩ বছরের বাংলাদেশ বর্তমানে এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এসময় থেকে উত্তরণে দেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমতাবস্থায় প্রয়োজন সরকার-মালিক-শ্রমিকের যৌথ প্রয়াস, শিল্পে কোন আন্দোলন, বিক্ষোভ, সহিংসতা নয়।
লেখক: জনসংযোগকর্মী
এইচআর/জিকেএস