গার্মেন্টস শিল্পই বদলে দিবে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৪:৪৩ এএম, ০৩ মে ২০১৬

তৈরি পোশাক শিল্প বা আরএমজি  বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে পোশাক শিল্পের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তিনটি রপ্তানিমুখী খাতে পোশাক শিল্পই অন্যতম। যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও  অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে সে দেশের শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো শিল্পনির্ভর। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এখানে শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এক্ষেত্রে গার্মেন্টস শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। গোটা বিশ্বে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। এ দেশের তৈরি পোশাকশিল্প রপ্তানি বাণিজ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বেকার সমস্যা সমাধান, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ শিল্পের অবদান উৎসাহজনক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এই শিল্পের হাত ধরে বিশ্ববাজারে একটি ব্র্যান্ড সৃষ্টি করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশ বিশ্বদরবারে নতুন পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করছে। বাংলাদেশের নারীদের হাতের তৈরি পোশাক গত  বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলোয়াড়দের পরনে ছিল। যা আমাদের গর্বের বিষয়। দেশের উন্নয়নে এই গার্মেন্টস শিল্পের এতো অবদান থাকা সত্ত্বেও বিগত সরকারের আমলে যথেষ্ট সদিচ্ছার অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে এই শিল্প এগিয়ে চলছে ত্বড়িৎ গতিতে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত এবং চক্রান্ত পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের গার্মেন্টস শিল্প।  
 
একটু পিছনে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। দেশে প্রথম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয় ঢাকার উর্দুরোডে যার নাম রিয়াজ গার্মেন্টস। প্রাথমিকভাবে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত পোশাক স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করা হতো। ১৯৬৭ সালে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত ১০,০০০ পিস শার্ট বাংলাদেশ হতে সর্বপ্রথম বিদেশে (ইংল্যান্ডে) রপ্তানি করা হয়। মূলত ১৯৭০ সালের পরই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে। মাত্র ৭ হাজার মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছিল সে বছর। সাহসী উদ্যোক্তা এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পরবর্তী দেড় দশকে খাতটির তেমন অগ্রগতি হয়নি। গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন ডলার রেডিমেইড গার্মেন্টস রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পদচারণা আরম্ভ হয়। মাত্র ১০ বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারে উন্নীত হয়।

এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনকে দিন পোশাক রপ্তানির পরিমা বেড়েই চলেছে। ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে আয় হয়েছে মাত্র ৬২ কোটি ডলার। প্রথমে একদল নবীন উদ্যোক্তা এ খাতে বিনিয়োগ শুরু করে। ফলে পরবর্তী ৫ বছরে রপ্তানি আয় কয়েক গুণ বাড়ে। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ২২৩ কোটিতে উন্নীত হয়। ২০০৮ সালে মন্দা দেখা দেয়ার পর তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাবে এমনটাও অনেকে আশঙ্কা করেছিল। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ৯৪ শতাংশ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। ২০০৯ সালে রপ্তানিসহ বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারগুলোতে দামি পোশাকের চাহিদা কমেছে। চীন, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে বড় বড় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি কোটা অনুযায়ী তৈরি পোশাক রপ্তানির জটও খুলেছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯,০৮৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে তা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫১৫.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৯,৬৫৩.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ এর উপর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে পোশাক উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৯০ দশকের পর নারীদের অন্তর্ভুক্তি এই শিল্পকে আরো গতিশীল করে তোলে।

বাংলাদেশে উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক এই তৈরি শিল্পের উপর নানা সময়ে এসেছে ছোটবড় অসংখ্য আঘাত। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ নানা সংকট গার্মেন্টস শিল্পের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। এই সব সমস্যা বারবার পিছু টেনেছে এই খাতকে। শ্রমিক অসন্তোষ, মালিক-শ্রমিকের বিরূপ সম্পর্ক, বৈদেশিক বাধা, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্ঘটনা ছিল গার্মেন্টস শিল্পের নিত্য সঙ্গী। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে নিভে যায় এক হাজার ১৩৭টি তাজা প্রাণ। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আরো দুই হাজার চারশ’ পোশাক শ্রমিক। রানা প্লাজা ধস কেবল বাংলাদেশকেই নয়, বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। দেশের ইতিহাসে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই তৈরি পোশাক শিল্প খাতে এমন মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ঘুরে দাঁড়ায় এই খাত। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে স্বজনহারা মানুষ।

এছাড়াও গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে সংস্কার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ এ সেক্টরে উত্তরোত্তর উন্নতি, মজুরি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের যুগোপযোগী সংশোধনসহ নানাবিধ অভূতপূর্ব অবদানের বিষয়সমূহ উল্লেখযোগ্য। সরকার ‘নিন্মতম মজুরি বোর্ড’ গঠনের মাধ্যমে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের নিন্মতম মজুরি দুই ধাপে প্রায় ২০০% বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও সংশোধিত এ শ্রম আইন কর্মপরিবেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ মালিক শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও রানা প্লাজা ও পরবর্তী পরিক্রমায় বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং বিজিএমইএ কর্তৃক প্রশংসনীয় এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মালিক পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

garments

তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণের সাথে সাথে বস্ত্র, সুতা, আনুষঙ্গিক উপকরণ, প্যাকেটজাতকরণের উপকরণ ইত্যাদি শিল্পেরও সম্প্রসারণ হতে থাকে। যার ফলে পরিবহন, ব্যাংকিং, শিপিং এবং ইন্সুরেন্স সেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর সবটাই অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। এ ধরনের নতুন পরোক্ষ-কর্মসংস্থান মূলত তৈরি পোশাক শিল্প কর্তৃক সৃষ্টি। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। মানুষের জীবন যাত্রার মানকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে গার্মেন্টস শিল্প। গ্রামীণ জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গ্রামের যেসব ছেলে-মেয়ে, স্বামী পরিত্যক্তা নারীরা কর্মহীন হতাশ জীবন কাটাত। তাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছে এই খাত। তাদের দ্বারা কোনো কর্মসাধন প্রায় অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা এখন দেশের অবদানে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তাদের এই শ্রম বাংলাদেশকে নতুন করে জাগাচ্ছে। সেই সাথে তারা সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারছে।  

পরোক্ষভাবে এই সব সেবাখাতে প্রায় আড়াই লাখের মতো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্প সাড়ে ২২ লাখ নারী শ্রমিকের জীবনযাত্রার লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তারা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। শ্রমজীবী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন পরিবারে তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আনয়নে সক্ষম হয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের কারণে এসব নারী শ্রমিকের সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যে নারীর জীবন ছিল মূল্যহীন, গার্মেন্টস শিল্প তাদের বেঁচে থাকার পথে আশার সঞ্চার করে চলেছে। চাকরির সুবিধাদি ভোগকারী বাবা, ভাই এবং স্বামীর ঐতিহ্যগত পিতৃতান্ত্রিক কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধন করেছে। অধিকাংশ শ্রমজীবী নারী এখন বিয়ে এবং সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সিদ্ধান্তের কথা বলতে পারে। তারা পরিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণ করতে পারছে। সমাজে বাল্যবিবাহের সংখ্যা কমেছে, সেই সাথে হ্রাস পেয়েছে জন্মহার। শ্রমজীবী মেয়েরা তাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের যত্ন নিচ্ছে এবং স্কুলে পাঠাচ্ছে। ফলে দেশে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সম্প্রসারণ নতুন উদ্যোক্তাদল সৃষ্টি করছে যারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলেছে। এই উদ্যোক্তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। বর্তমানে তৈরি পোশাক কারখানায় অনেক নারী ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে পোশাক রফতানি থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিজিএমইএ। এই লক্ষ্যমাত্রাকে কেউ কেউ উচ্চাভিলাষী বললেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।  এর জন্য বিদ্যমান অনেক সমস্যা দূর করতে হবে। বিশ্ব পোশাক বাজার এখন ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ এর মাত্র ৫ শতাংশ সরবরাহ করে। এ হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে পারলেই ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। তবে এর জন্য কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ দুটির উন্নয়ন ঘটলে উৎপাদন ও রফতানি বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারে সাফল্য বাড়ানো জরুরি। অবশ্য পুরনো বাজারের চেয়ে নতুন বাজারে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ ক্রমেই সাফল্য অর্জন করছে।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের প্রবেশাধিকারের বিষয়টিকে মাথায় রেখে কিছু কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সস্তায় আমরা শ্রমিক নিয়োগ করতে পারি। কিন্তু কারও কারও মতে, শুধু সস্তায় শ্রম বিনিয়োগে গার্মেন্টস শিল্প থেকে নতুন নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। সব কারখানা সংস্কারের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কথা কেউ কেউ বলছেন। কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, অধিকার ও যৌথ দরকষাকষির সুযোগটিও আন্তর্জাতিক মানের হওয়া প্রয়োজন। ক্রেতাদের এসব চাহিদার বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। গার্মেন্টস শিল্পের কিছু সমস্যার সমাধান সরকারকেই করতে হবে। যেমন- গ্যাস, বিদ্যুত সরবরাহ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। সরকার, উৎপাদক, ক্রেতা কারও অনড় অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানই গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে গার্মেন্টস শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। যে সুবিধার্থে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প বিকাশ ঘটেছে, সেই সব সুবিধাবলী এখনও রয়েছে। প্রয়োজন কেবল এই সব সুযোগ কাজে লাগানোর।    

বর্তমানে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছে। আর এক্ষেত্রে গার্মেন্টস শিল্পকে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গার্মেন্টস শিল্পই বদলে দিবে বাংলাদেশ। এখন এখাতের উন্নয়নকল্পে সরকারকে যথেষ্ট আন্তরিক এবং সচেষ্ট হতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ আর বেশি দূরে নয়।

লেখক : প্রভাষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

এইচআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।