মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যেভাবে ঢাকা ছেড়েছিলাম

মোনায়েম সরকার
মোনায়েম সরকার মোনায়েম সরকার , রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল চরম আক্রোশে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যার যা আছে তা-ই নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছে। অতর্কিত হামলায় জীবন দিতে হয়েছে অনেককে। অসংখ্য মৃত্যু এই মড়ার দেশে নিয়ে এসেছে বরাভয়। ৯ মাসের অসম যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র।

একাত্তরে আমি ছিলাম অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির একজন তরুণ কর্মী। গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলাম একজন সংগঠক হিসেবে। আমার সেই যুদ্ধযাত্রার কথাই আজ বলতে চাই।

আমি ঢাকা ছেড়েছিলাম এপ্রিলের ৩০ তারিখ। ন্যাপ নেতা সৈয়দ আলতাফ হোসেন আর আমি একসঙ্গে বের হলাম। আমার বন্ধু ড. আবদুল্লাহ এলো। আমার ভাগনিজামাই ড. আলীমউল্লা মিয়া, তার স্ত্রী নার্গিস এলো গাড়ি নিয়ে। টয়োটা গাড়ি। আমার বাসা থেকে সৈয়দ আলতাফের বাসায়। তাকে নিয়ে যাত্রা শুরু হলো।

ড. আবদুল্লাহ আমাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে বিদায় নিলো। আমাদের গন্তব্য সোনারগাঁও। পথে ভয় ছিল সৈয়দ আলতাফ হোসেনকে নিয়ে। শত্রুপক্ষ তাকে চিনে ফেলতে পারে। এ আশঙ্কায় তাকে ছদ্মবেশ নিতে বললাম। এক চোখে ব্যান্ডেজ করিয়ে কালো চশমা পরিয়ে দিলাম। পথে কেউ আটকালে বলবো যে, তার চোখের অপারেশন করাতে ঢাকা গিয়েছিলাম। অপারেশন শেষে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে যাত্রা শুরু হলো।

সৈয়দ আলতাফ ছদ্মবেশে। আমরা সাধারণ পোশাকে। দিনের বেলায় হাইওয়ে ধরে ঢাকার বাইরে যাওয়া, প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু উপায় ছিল না। গাড়ি চলছে, সতর্ক দৃষ্টিতে বার বার সামনে-পেছনে দেখছি। ভাগ্য ভালো বলতে হবে, আর্মির গাড়ির দেখা মিললো না। প্রথম ধাক্কাটা এলো ফেরিঘাটে। লাইনে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের গাড়ি। আরও কিছু সময় লাগবে সিরিয়াল পেতে। দিনমজুর গোছের এক লোক এলেন তিনি আমাকে চেনেন। গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে বললেন, ‘স্যার সাবধান। একটু আগে এখান দিয়া পাইয়ারা গেছে।’ পাঞ্জাবি আর্মিদের স্থানীয় ভাষায় ‘পাইয়া’ বলা হতো। ওই লোক জানালেন, আগের ফেরিতে আর্মিদের গাড়ি পার হয়েছে। দুরু দুরু বুকে ওপারে পৌঁছলাম। পথে আর্মির সঙ্গে মোলাকাত হবে কি না ভাবতে লাগলাম।

সোনারগাঁয়ে যাদের বাড়িতে আমাদের যাওয়ার কথা, তারা আমার বড় ভাই বিচারপতি আবদুল বারী সরকারের শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়। নিরাপদেই পৌঁছলাম। সৈয়দ আলতাফকে সেখানে রেখে আমি বের হলাম গাড়ি নিয়ে। দূর থেকে নজর রাখলাম মহাসড়কের ওপর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বেশ ক’টি ট্রাক চোখে পড়লো। ইমার্জেন্সি ব্রিজ তৈরির সরঞ্জাম ওই ট্রাকগুলোতে। খবর নিয়ে জানা গেলো কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে একটা ব্রিজ বসাবে ওরা। তথ্যটা কাজে লাগলো। আমাদের পরিকল্পনায় কিছুটা অদল-বদল করলাম। সিদ্ধান্ত হলো গাড়িতে যাবো বৈদ্যেরবাজার পর্যন্ত। সেখান থেকে স্পিডবোটে রামকৃষ্টপুর। তারপর রামচন্দ্রপুর হয়ে আগরতলা।

রামচন্দ্রপুর পৌঁছে সেখানকার বাজারে গেলাম। সোনারগাঁর আত্মীয় বাড়ি থেকে একজন লোকের ঠিকানা দিয়েছিলেন ওরা। বেশ প্রভাবশালী লোক এলাকার। আওয়ামী লীগ করতেন। বাজারে পৌঁছে তার খোঁজ করলাম। মজার ব্যাপার হলো, যাকে জিজ্ঞেস করেছি তিনিই সে লোক। ভদ্রলোক ভড়কে গেলেন। আমতা আমতা করে জানতে চাইলেন আমরা কোত্থেকে এসেছি, কি উদ্দেশ্যে। জানালাম তার এক আত্মীয় সোনারগাঁ থাকেন।

আমরা তার কাছ থেকে একটা চিঠি নিয়ে এসেছি। পত্র লেখকের নাম শুনে রীতিমতো লাফিয়ে উঠলেন ভদ্রলোক। তাড়াতাড়ি তার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। বারবার ক্ষমা চেয়ে বললেন, তিনি ভেবেছেন আমরা আর্মির লোক। বাজার আক্রমণের জন্য খোঁজ খবর নিতে এসেছি। আমাদের হাত মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে নাশতার আয়োজন করলেন। এর মধ্যে তিনি সে চিঠিটা পড়ে নিলেন। চিঠি ঠিকমতো পড়া হয়েছে কি হয়নি- মহা হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়ে দিলেন। চিঠি পড়ে জানতে পেরেছেন ন্যাপ নেতা সৈয়দ আলতাফ হোসেন আর মোনায়েম সরকার আতিথ্য নিয়েছেন তার, কি করবেন ভদ্রলোক যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পারেন তো মাথায় তুলে রাখেন সৈয়দ আলতাফ আর আমাকে।

সে যাই হোক। গ্রান্ড রিসিপশন শেষ হলো। ভাত খেতে বসলাম গোসল সেরে। একেবারে রাজসিক আয়োজন। হরেক রকম তরকারি, মাছ-মাংস, ফল, দুধ-দই-মিষ্টি। খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লাম তাড়াতাড়ি। বেশ ধকল গেছে সারাদিন। সবেমাত্র ঘুমটা জমে উঠেছে, এমন সময় শুনি দরজায় নক হচ্ছে। বাইরে চাপাস্বরে ফিসফিস করছে কারা যেন। ভয় পেলাম। তবে কি পাকিস্তানি হানাদাররা আমাদের কথা জেনে গেছে? খুব সন্তর্পণে তাকালাম বাইরে, আধো আলো আধো অন্ধকারে কিছু লোক আসা-যাওয়া করছে।

শেষে বুঝতে পারলাম ওরা চোরাকারবারি। এদেশ থেকে জিনিস নিয়ে ওপারে যায়, আর ওপার থেকে নিয়ে আসে অন্য জিনিস। আরও দেখি, আমরা যে বাড়িতে রাত কাটাচ্ছি, তা দোকানঘরের দোতলা। নিচতলায় স্তূপ করা বাক্স, বস্তাভর্তি কি সব মালপত্র। এসবের ওপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে কিছু মানুষ, চেহারা সুরত সুবিধার নয়। সৈয়দ আলতাফ আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, এখানে থাকা ঠিক হবে না। সকালেই রওয়ানা দেবো।

সকালে উঠে আলতাফ ভাই বললেন, খাওয়া-দাওয়ার দরকার নেই। চলো রওনা দেই। আমরা রওনা দিলাম। মাঠের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে মুরাদনগর গেলাম। সেখানকার ন্যাপের সভাপতির বাড়িতে গিয়ে উঠলাম। সে একজন মিল মালিক। আমাদের দেখে যেন ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন। ভালোভাবে আপ্যায়ন করা দূরে থাক, তিনি বোঝাতে লাগলেন তার বাড়ি কি পরিমাণ বিপজ্জনক। যে কোনো সময় আর্মি এসে হাজির হতে পারে।

 

সন্ধ্যার পর লোকজন এসে জুটলেন। স্কুল ঘরে জমজমাট আসর। স্থানীয় নেতারা জানালেন, তারা ওপারে গিয়েছিলেন। ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার খুব সমস্যা। অস্ত্র চালাতে জানে- এমন লোক ছাড়া আর কাউকে এখন পাঠাতে নিষেধ করেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলাম আর্মি ইপিআর পুলিশ এবং আনসার বাহিনীতে যারা কাজ করেছেন বা করছেন তাদের পাঠানো হবে ওপারে।

 

তাকে বললাম, ‘দেখেন, আমরা তো আপনার এখানে থাকতে আসিনি। আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে চা খেয়ে চলে যাবো। একটু চা-নাশতার ব্যবস্থা করুন।’ শোনার সঙ্গে সঙ্গে তার যা চেহারা হলো! যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। আমরা চা খেয়েই চলে যাবো শুনে তার চোখে পানি এসেছে। শুধু কি চা? মুরগি জবাই করলেন, মাছ তুললেন পুকুর থেকে। আমরা বিদায় নিলেই তিনি রেহাই পাবেন- এ আনন্দে ভূরিভোজ করালেন। সকাল সাড়ে ৭টায় আমরা তার বাড়ি থেকে বের হলাম।

সকাল ৮টার দিকে আমরা রিকশা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। মুরাদনগর থেকে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে উঠতে যে রাস্তা, সে রাস্তায় কোম্পানীগঞ্জে দেখলাম পাকিস্তানি সেনার কয়েকটা গাড়ি দাঁড়ানো। একটা বড় গাছের নিচে রিকশা থামাতে বললাম। দুরু দুরু বুকে ভাবছি, কি জানি কি হয়। দূর থেকে যা মনে হলো, একটা জিপ স্টার্ট নিচ্ছে না। সে কারণে পেছনের জিপগুলোও সামনে এগোচ্ছে না। পাক আর্মির নিয়মই ছিল দল বেঁধে চলাফেরা করা। সৈন্যরা নেমে এসেছে।

আশপাশের এলাকা এবং ক্ষেতখামার থেকে মানুষজন ধরে এনে গাড়ি ঠেলতে বলছে। সে এক তুমুল হট্টগোল। গাড়ি ঠেলতে দেরি হচ্ছে কেন এ অজুহাতে খামাখাই লোকজনকে মারধর করছে পাকিস্তানি আর্মি। এভাবে ১৫-২০ মিনিট কাটলো। আর্মির গাড়িগুলো চলে গেলো। আবার রওয়ানা হলাম। রাস্তাটা খুব খারাপ ছিল, সম্ভবত নতুন সুড়কি বিছানা হয়েছে। অনেক কষ্টে সামনে এগোলেন রিকশাওয়ালা।

দেবীদ্বার পৌঁছে প্রথমে গেলাম অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের গ্রামের বাড়ি এলাহাবাদ। ওদিক দিয়ে আগরতলা যাওয়ার একটা পথ ছিল। এলাকার মানুষজন বললেন, ওই দিক দিয়ে গেলে নৌকায় বা পায়ে হেঁটে যেতে হবে। কষ্ট হবে, তারচেয়ে ভালো হবে আমাদের গ্রামের বাড়ির দিক দিয়ে যাওয়া। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের বাড়িটা ছিল গোমতীর দক্ষিণে, আমাদের গ্রামের বাড়ি ফতেহাবাদ তার বিপরীত দিকে, নদীর উত্তর দিকে।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়া মোজাফফর সাহেবের বাড়িতেই হলো। বিকেলের দিকে নদী পার হয়ে আমাদের গ্রামে এলাম। আমি গ্রামে এসেছি শুনেই লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেলো। সঙ্গে সৈয়দ আলতাফ এসেছেন সে কথাও কীভাবে যেন জানাজানি হয়ে যায়। সেদিন ছিল হাটবার। হাটের লোকজন দল বেঁধে চলে আসেন আমাদের বাড়িতে।

জানাজানি হলে সমস্যা হবে, এ আশংকায় সৈয়দ আলতাফকে পাঠিয়ে দিলাম বাড়ির বাইরে। আমার মেজো ভাই তাকে নিয়ে মাঠের দিকে হাঁটতে গেলেন। গ্রামের লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখলাম। প্রবীণরা সবাই ঢাকার খবর জানতে আগ্রহী আর যুবক ও তরুণরা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবে। আরেকজন নেতা এসেছেন, তিনি কোথায়? এ প্রশ্নের জবাবে বললাম, আরে না। আর কোনো নেতা আসেননি। আমার এক মামা এসেছিলেন। তিনি তো চলে গেছেন। আর আমি সারাদিন জার্নি করে খুব ক্লান্ত। আপনারা সন্ধ্যার পর স্কুল ঘরে আসুন। সেখানে বসে সিদ্ধান্ত নেবো কি করা যায়।

সন্ধ্যার পর লোকজন এসে জুটলেন। স্কুল ঘরে জমজমাট আসর। স্থানীয় নেতারা জানালেন, তারা ওপারে গিয়েছিলেন। ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার খুব সমস্যা। অস্ত্র চালাতে জানে- এমন লোক ছাড়া আর কাউকে এখন পাঠাতে নিষেধ করেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলাম আর্মি ইপিআর পুলিশ এবং আনসার বাহিনীতে যারা কাজ করেছেন বা করছেন তাদের পাঠানো হবে ওপারে।

এ রকম ১৭ জন পাওয়া গেলো। সবাই যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। এর মধ্যে আরেক সমস্যা। যে ১৭ জনকে বাছাই করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই অভাব-অনটনের সংসার। তারা না থাকলে পরিবারের খাবার জুটবে না। কি করা যায়, জানতে চাইলাম গ্রামবাসীর কাছে। আলাপ-আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হলো, অবস্থাপন্ন সব পরিবার থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে। ১৭ জনের প্রত্যেকের বাড়িতে এক মণ করে চাল দেওয়া হবে। গ্রামের বাড়িতে চালটাই আসল। ঘরে চাল মজুত থাকলে শাক-মাছ জোগাড় করে ওরা চালিয়ে নিতে পারেন। চাল সংগ্রহ করা হলো, বিলিবণ্টন হলো।
পরদিন ভোরে আমরা আগরতলার উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। সীমান্ত এলাকা থেকে দুজন যুবক আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চললো। নয়ানপুর বলে একটা স্টেশন আছে, সেদিক হয়ে আগরতলা পৌঁছলাম। আগরতলায় সোনামুড়ায় যে পুলিশ ক্যাম্প আছে সেখানে গিয়ে পেলাম অধ্যাপক খোরশেদ আলম আর অধ্যক্ষ আবদুর রউফকে। অধ্যাপক খোরশেদ কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। অধ্যক্ষ রউফ বর্তমানে অজিত গুহ কলেজে রয়েছেন। তারা আমাদের চেনেন। তারা আওয়ামী লীগ করেন, আমরা ন্যাপ করি, সম্পর্কটা ভালোই ছিল।

অধ্যাপক খোরশেদ ও অধ্যক্ষ রউফ জিপে করে সৈয়দ আলতাফ এবং আমাকে আগরতলা ক্রাফট হোস্টেলে নিয়ে গেলেন। ক্রাফট ছিল ন্যাপ-কমিউনিস্টদের হোস্টেল। সেখানে গিয়ে দেখি জ্ঞান চক্রবর্তী, সরদার আবদুল হালিম, মতিয়া চৌধুরী, পংকজ ভট্টাচার্য, বজলুর রহমান, সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিক, ডা. সারোয়ার আলী, স্থপতি আলমগীর কবীর, মালেকা বেগম, আয়শা খানম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রোকেয়া কবীর, মোর্শেদ আলী, কমান্ডার আবদুর রউফ এবং আরও অনেকে। ঢাকার ছাত্র রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ের অনেককেই একসঙ্গে পেলাম ওখানে। ওখান থেকেই শুরু হয় অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ যুদ্ধ জয়ের নানামুখী তৎপরতা।

২১ মার্চ, ২০২৪
লেখক: রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।

এইচআর/ফারুক/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।