ইতিহাসের অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

তাপস হালদার
তাপস হালদার তাপস হালদার
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ বার ও মোট পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন।তিনি এক অনন্য ইতিহাস গড়লেন।ইতিমধ্যে গণতান্ত্রিক বিশ্বের নারী রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন।এবার গড়বেন আরো অনেক রেকর্ড।নিজেকে নিয়ে যাবেন অনন্য উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত পনের বছরে ছোট খাটো সমালোচনা থাকলেও শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে সবকিছু আড়াল হয়ে গিয়েছিল।শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া।এটি বিরোধী সমালোচকরাও স্বীকার করেন।তিনি একাই সবকিছু সামাল দিয়েছেন।তাঁর কারণেই আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ বারের মতো নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে।দলের চেয়ে নেতার জনপ্রিয়তা বেশি বর্তমান সময়ে এমন নজির দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও খুব একটা দেখা যায় না।কিন্তু শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।তিনি দলের উর্ধ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বিশ্বের নারী সরকার প্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় দেশ পরিচালনার ঐতিহাসিক রেকর্ড ইতোমধ্যেই শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর ১৫ বছর,ব্রিটেনের ম্যার্গানেট থাচারের ১২ বছর ও জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের ১৫ বছরের সময় কালকে আগেই পিছনে ফেলেছেন। তিনি ২০ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব শেষ করে আগামী আরো পাঁচ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিগত বছরের পুরোটা সময়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে একপ্রকার চাপে রেখেছিল।তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের মতো একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে।এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াত জোট তো ধরেই নিয়েছিল সরকার পতন সময়ের অপেক্ষামাত্র।বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে তারা সরকার পতনের বারবার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। সরকারের সময় শেষ বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।দেশি-বিদেশি হুমকিতে অনেকেই ভয় পেয়েছিল।এই বুঝি কি হয়! এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী চাটুকাররা তো বলতেই দিয়েছিল,আমেরিকাকে চটিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা।বিভিন্ন দেশে আমেরিকার বিরোধীরা কিভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে,তার উদাহরণ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা এ-সব হুমকি ধামকি কেয়ার না করে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিরুদ্ধে পাল্টা ভিসা নীতির চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার পাল্টা কূটনীতিক চালে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের তিন সুপার পাওয়ার ভারত,চীন, রাশিয়া সহ আরো অনেক বন্ধু রাষ্ট্র।শেখ হাসিনার কূটনৈতিক বিচক্ষণতায় পশ্চিমারা পিছু হটতে শুরু করে।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘ কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থায় এসেছেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের পর দেশে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছিল।বিদেশে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।‘৭৫ পরবর্তী কঠিন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হয়ে
দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনা।সারা দেশের ছাড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীদেরকে
ঐক্যবন্ধ করে দলকে মহীরুহে পরিনত করেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রথম বারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।সেসময়কার বিজয় শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য ছিলনা। স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানো ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। শুধুমাত্র সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেই নয়, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালের সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ জনগণের ন্যায়সম্মত দাবিতে সামনে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়,২০১৪ সালে তৃতীয়,২০১৯ সালে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সমাপ্ত করেছেন।২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।এছাড়া তিনি ৪৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।শুধু দলীয় নেতাকর্মীরা নয়,দেশের মানুষও বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু তিনিই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি আজ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে।তিনি জাতির সামনে সুনির্দিষ্ট চারটি রূপরেখা ঘোষণা করে দেশ পরিচালনা করছেন।প্রথমত, ডিজিটাল বাংলাদেশ।যা ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।দ্বিতীয়ত,২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট(এসডিজি) অর্জন করা।তৃতীয়ত,২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। চতুর্থত,২১০০ সালের ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন করা।

একসময় মানুষের কাছে যা ছিল স্বপ্ন,এমন অসাধ্য কাজ তিনি সম্পাদন করেছেন।তাঁর সময়কালে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর,নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মান,পদ্মা রেল সেতু,কর্ণফুলি নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ,পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প,মেট্রোরেল,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প,গভীর সমুদ্র নির্মাণ,ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্র বিজয়,এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং প্রথম মেয়াদে পার্বত্য শান্তি চুক্তি,ভারতের সাথে পদ্মার ঐতিহাসিক পানিচুক্তি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নেতা নন,তিনি একজন গ্লোবাল লিডার।বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে অপরিহার্য নেতায় পরিণত হয়েছেন।তাঁর যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে শুধুমাত্র দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ভাবেও অনেক বার সম্মানিত হয়েছেন। ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত হন।বিশ্বের পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ', জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আইসিটির ব্যবহারের জন্য ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’,পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ‘হুপে বোয়ানি' শান্তি পুরস্কার,বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কর্তৃক ‘সেরেস’ পুরস্কার,উইমেন ইন পার্লামেন্ট ও ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ডব্লিউআইপি গ্লোবাল ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’,নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ‘ট্রি অব পিস',স্বাস্থ্য খাতে অসামান্য অবদানের জন্য দু’বার ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’,নারী ক্ষমতায়ের জন্য ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’,গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন হিরো’র মতো মর্যাদাবান আরো অনেক সম্মানিত উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

দ্বাদশ নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। বিরোধীদের অব্যাহত আগুন সন্ত্রাসের মধ্যেও বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কমিশন মেরুদণ্ড সোজা রেখে ভোট পরিচালনা করতে দেখা গেছে, যেখানেই অনিয়ম হয়েছে সেখানেই এ্যাকশন নিতে দেখা নিয়েছে।এক্ষেত্রে বড় ছোট দল বিবেচনা করা হয়নি। ভোটের আগেও যেমন নৌকার প্রার্থী বাড়তি সুবিধা পায়নি,ঠিক ভোটের দিনও কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।ভোটের দিন নৌকা মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা।নির্বাচন কমিশন প্রমান করেছে,দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।অর্থনীতি,বাণিজ্য ,ভূ-রাজনীতি,শরণার্থীদের আশ্রয়,জলবায়ুর নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।জাতিসংঘ,বিশ্বব্যাংক,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,কমনওয়েলথ,ওআইসির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।কোনো একটি রাষ্ট্র চাইলেই বাংলাদেশকে বিছিন্ন রাখতে পারবে না।তাই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করে কেউ চাপে ফেলতে পারেনি এবং ভবিষ্যতে পারবেও না।এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথেই বলেছেন,আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ,অন্য কারো কাছে নয়।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি ১৫৮ জন পর্যবেক্ষক,৭৬ জন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন দেশের ১৮ জন নির্বাচন কমিশনার ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।তাদের ভূয়সী প্রশংসাই প্রমাণ করে নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য হয়েছে।যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছে তাদের দেশের প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার গ্রে বলেছেন,আমি নিজের চোখে দেখেছি,নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে।ভোটাররা উৎসাহের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে গেছেন।এবং কমিশন অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।আরেক পর্যবেক্ষক সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস বলেছেন,নির্বাচন শান্তিপূর্ণ,অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বাংলাদেশের ভোট গ্রহণের সময় অত্যন্ত কম।পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মাত্র আট ঘন্টা ভোট হয় না।এছাড়া কানাডার পর্যবেক্ষক চন্দ্রকান্ত আর্য এমপি বলেছেন,যারা ভোট বয়কট করেছে,সেটা তাদের বিষয়।এটা আমাদের বিষয় নয়।কানাডায় গত নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল,সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেনি।জনগণ ভোট দিতে পারছে কিনা,এটাই দেখার বিষয়।রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনার আন্দ্রে শুটব বলেছেন,নির্বাচন স্বচ্ছ,খোলামেলা ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।নাইজেরিয়ার সিনেটর প্যাট্রিক সি বলেন,শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।স্থানীয়দের উৎসাহের সাথে ভোট দিতে দেখেছি।বিদেশি পর্যবেক্ষকগণের কথায় স্পষ্ট,ভোটের হার কিছুটা কম হলেও ভোট অবাধ,স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।এখন কেউ চাইলেই ভোটকে বিতর্কিত করতে পারবে না।যারা বিরোধিতা করছে,তারা শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্যই করে যাচ্ছে।

বিগত পনের বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে ষড়যন্ত্র কম হয়নি।২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের দেড় মাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করা হয়েছিল।২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে অরাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলামকে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল।হেফাজতের ভয়াবহ তান্ডবে অনেকেই সরকার পতনের স্বপ্ন দেখেছিল।এরপর ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জন করে সরকার পতনের দাবিতে দুই বছর আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে।মানুষের মধ্যে আতংক ও ভীতি তৈরি করা হয়েছিল।অনেকেই ভেবেছিল বাংলাদেশ কি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের পথে যাচ্ছে কিনা?প্রতিটি ঘটনা ঘটনা অত্যন্ত সফল ভাবে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে মুন্সীয়ানার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গিবাদকে দমন করে বাংলাদেশকে শান্তির জনপদে পরিনত করেছেন।

একজন সফল নেতা প্রথমে নিজে স্বপ্ন দেখেন,তারপর জনগণকে স্বপ্ন দেখান।পরিশেষে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করেন।একটি দেশে অনেক নেতাই থাকেন,কিন্তু সবাই স্বপ্ন দেখাতে পারেন না।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পর একমাত্র একজন নেতাই জনগণকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন,তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন বলেই জনগণ তাঁকে বিশ্বাস করে বারবার নির্বাচিত করছেন।তিনি জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন,বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে।এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন।জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

লেখক: সাবেক ছাত্রনেতা ও সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।haldertapas80@gmail

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।