দারিদ্র্যমুক্ত হোক বাংলাদেশ

ড. হারুন রশীদ
ড. হারুন রশীদ ড. হারুন রশীদ , ডেপুটি এডিটর (জাগো নিউজ)
প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার বিখ্যাত কবিতায় দারিদ্র্যের মহিমাকীর্তন করেছেন।
তিনি বলেছেন-
হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান!
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের
সম্মান কণ্টক মুকুট শোভা; দিয়াছ তাপস,
অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি; বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হল তরবার ।’

অর্থাৎ দারিদ্র্য জীবনকে করে মহিমান্বিত। দারিদ্র্য মানুষকে স্পষ্টভাষী করে, ফলে সে নির্মম বাণী প্রকাশের প্রেরণা পায়, নিজের দাবি জানাতে সাহস পায়। কিন্তু দারিদ্র্যের অভিশাপে জীবনের অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ থাকে এবং সৌন্দর্য-আনন্দ বিনষ্ট হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক জীবনে দারিদ্র্য একটি ব্যাধির মতো। তাই দারিদ্র্য বিমোচনে আধুনিক রাষ্ট্র অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।

দারিদ্র্য কি?
সাধারণত অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় কাজে অর্থাভাবই হচ্ছে দারিদ্র্য। অন্যভাবে বলা যায়, যে কারণে মানুষ জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে পারে না সেটাই দারিদ্র্য। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাবকেই মানুষ দারিদ্র্য বলে চিহ্নিত করেছেন।

অন্য কথায়, সমাজ নির্ধারিত সাধারণ জীবন যাত্রার মানের চেয়ে যাদের জীবন যাত্রার মান কম তারাই দরিদ্র এবং এই দরিদ্র অবস্থাকেই দারিদ্র বলে। বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রদত্ত দারিদ্রের সংজ্ঞা অনুযায়ী “দারিদ্র্য বলতে জীবনযাত্রার ন্যূনতম মানের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের মালিকানা ও ব্যবহারের অধিকার হতে বঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক অবস্থা বোঝায়।”

দারিদ্র্য একটি বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সমস্যা। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রভৃতি মৌল মানবিক চাহিদা পূরণের অক্ষমতাই হচ্ছে দারিদ্র্য। একটি ন্যূনতম পরিমাণ আয় উপার্জন ছাড়া এসব অভাব পূরণ করা যায় না। তাই একটি ন্যূনতম পরিমাণ আয় উপার্জনের অক্ষমতাকেই দারিদ্র্য বলা হয়।

বাংলাদেশে দারিদ্র্য গণনা করা হচ্ছে মূলত দুই ভাবে, প্রথমত. দুটি ‘দারিদ্র্য রেখা’ টাকা হচ্ছে: একটি ‘মোটামুটি দারিদ্র্য রেখা’ ও আর একটি ‘চরম দারিদ্র্য রেখা’ তারপর এই দুই রেখার নিচে কতজন মানুষ আছে তা গণনা হচ্ছে।

দ্বিতীয়. দারিদ্র্যের সামষ্টিক তীব্রতা মাপার জন্য দারিদ্র্য রেখার কত নিচে কতজন করে মানুষ আছে তার একটা কম্পোজিট ইনডেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।

দারিদ্র্য রেখাটি টানা হচ্ছে গড়পরতা একজন মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা অটুট রাখার জন্য যে পুষ্টি (ক্যালরি ও আমিষ) প্রয়োজন তা কেনার খরচ ধরে এবং খাদ্য ছাড়া অন্যান্য ‘মৌলিক চাহিদা’ পূরণের জন্য এর ওপর আরও ৩০ শতাংশ যোগ করে।

এ ৩০ শতাংশ যুক্তিটা এভাবে দেওয়া হচ্ছে যে, মোটামুটি দরিদ্র পরিবার তাদের মোট খরচের ৭০ শতাংশের মতো খাদ্যদ্রব্যের ওপর খরচ করে। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবের পর ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১৭ অক্টোবর বিশ্ব দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়।

কেন দারিদ্র্য?
সুদ, ঘুস, দুর্নীতির কারণে সমাজে দারিদ্র্যের মতো অশান্তি সৃষ্টি হয়, যা থেকে বিরত থাকতে ধর্মীয় এবং আইনগতভাবে নিষেধ রয়েছে। এক্ষেত্রে সম্পদশালী ব্যক্তিকে দারিদ্র্য দূরীকরণে এগিয়ে আসতে আহ্বান করা হয়েছে। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে, যা দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রের লক্ষ এবং এটির এর শিরোনাম দেওয়া হয় ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নের কৌশল। বাংলাদেশ সুশাসনকে প্রধান সোপান হিসেবে গণ্য করে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রথম যাত্রা করে।

২০০০ সালে জাতিসংঘ ২১টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়। ২১টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৮টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল অন্যতম। যেমন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, সর্বজনীন শিক্ষার প্রসার, জেন্ডার সমতা অর্জন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রশমন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রদান ছিল অন্যতম।

 

একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যেমন সার্টিফিকেট অর্জন করে চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠেন তেমনি আত্মকর্মসংস্থানেও নিয়োজিত হতে পারেন। এখন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। একসময় চাকরিপ্রার্থী নিজেই অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন। এজন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে কর্মমুখী শিক্ষা।

 

উল্লিখিত শর্তগুলোর মধ্যে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার রোধে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। আর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ অনেক আগেই বলতে গেলে প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এইচআইভির প্রকোপ বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। এসব কারণে এমডিজিতে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তবে দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটির অগ্রগতি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশে ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র। এর মধ্যে ২ কোটি মানুষ হতদরিদ্র।

দারিদ্র্য বিমোচনে আশ্রয়ণ প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল গোলসের আওতায় গৃহায়ণ কার্যক্রমের বিশেষ সংযোগ রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সব নারী-পুরুষ বিশেষ করে দরিদ্র ও অরক্ষিত (সংস্থাপন) জনগোষ্ঠীর অনুকূলে অর্থনৈতিক সম্পদ ও মৌলিক সেবা-সুবিধা, জমি ও অন্য সম্পত্তির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ক্ষুদ্রঋণসহ আর্থিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানা রেজিস্ট্রি দানপত্রমূলে সরকার কর্তৃক প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিবন্ধী, দুস্থ, বিধবা, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও তাদের পরিবারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের পাশাপাশি কতিপয় বেসরকারি (এনজিও) প্রতিষ্ঠান কর্মরত রয়েছে। এসব এনজিও প্রধানত গ্রামের বিত্তহীন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মাধ্যমে তাদের জন্য আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবজনিত কারণে গৃহহারা চার হাজার ৪০৯টি দরিদ্র পরিবারের জন্য কক্সবাজারে খুরুশকুলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এখানে তাদের জন্য ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন নির্মাণকাজ চলমান। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প। ইতোপূর্বে ২০টি ভবনের কাজ সম্পন্নপূর্বক ৬৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও ৫০টি বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।

দারিদ্র্য বিমোচনে নারী
‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই অমোঘ বাণী অস্বীকার করার উপায় নেই। নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ ব্যতিরেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অসম্ভব। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।

এমনিতেই দেশে সম্পদের সীমবদ্ধতার কারণে দারিদ্র্য মোকাবিলা করা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার পাঁচটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এসব পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যই ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন। এ যাবৎ বাস্তবায়িত উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে দেশে দারিদ্র্য অনেকট হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের সাফল্য সব মহলে সমাদৃত হয়েছে।

দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত ও সামাজিকভাবে প্রান্তিক অবস্থান থেকে ছিটকে পড়া নারীকে উৎপাদনশীল কাজে এবং অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারীরা যাতে অর্থনৈতিক সুযোগ লাভের পূর্ণ অধিকার পায় এবং তাদের গুণাবলি ও দক্ষতার স্বীকৃতি পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

নারীর অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি ও সম্পদে সমান প্রবেশাধিকারকে উৎসাহিত করতে হবে। সব শ্রেণির, বিশেষ করে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত নারীদের মৌলিক, সামাজিক, শিক্ষাগত এবং চিকিৎসাসেবা পূরণের জন্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। আর্থিক ও ঋণ সহায়তার সুযোগ যাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সুবিধাবঞ্চিত নারী উদ্যোক্তারা পায় সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়
দারিদ্র্যের যমজ ভাই বলা হয় আয় ও সম্পদ বণ্টনের ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে। যে সমাজে বৈষম্য বাড়ানোর আয়োজনগুলো শক্তিশালী করা হয়, ওই সমাজে দারিদ্র্য নিরসন কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গড় মাথাপিছু জিডিপি ৪৮ হাজার ডলার হওয়া সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কারণে ১৭ শতাংশ মার্কিন জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। ২০০৭ সালে এই অনুপাত ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু চলমান মন্দা এবং আয় ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য বৃদ্ধির শিকার হয় গত ছয় বছরে আরও ৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

দারিদ্র্যের সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক বিপরীতধর্মী ও দ্বান্দ্বিক। সাধারণভাবে চারদিকে তাকালেই এর সত্যতা চোখে পড়ে। আমরা দেখতে পাই, যে মানুষেরা দরিদ্র তারা অধিকাংশই হয় নিরক্ষর না হয় স্বল্পশিক্ষিত। শিক্ষা যত কম দারিদ্র্য তত বেশি। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে আমরা স্বল্পশিক্ষিত কিছু ধনী লোককেও দেখতে পাব, যারা দরিদ্র নয়। কিন্তু তাদের এই প্রাচুর্যের পেছনেও কোনো না কোনো মানসিক শিক্ষা সক্রিয় ছিল।

একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যেমন সার্টিফিকেট অর্জন করে চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠেন তেমনি আত্মকর্মসংস্থানেও নিয়োজিত হতে পারেন। এখন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। একসময় চাকরিপ্রার্থী নিজেই অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন। এজন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে কর্মমুখী শিক্ষা।

কথাপুচ্ছ
‘খানা আয় ও ব্যয় জাতীয় জরিপ ২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ। এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশ। দারিদ্র্য বিমোচনে গতি অব্যাহত রেখে ২০২৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫.৬ শতাংশে কমিয়ে আনতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) গ্রহণ করেছে সরকার। তবে দেশ এখনো পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত হয়নি। ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে উপ-বৃত্তি। সবমিলিয়ে দারিদ্র্যবিমোচনে একটি ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা প্রবাহিত হতে থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই দারিদ্র্যমুক্ত দেশে উন্নীত হবে- এমনটি প্রত্যাশা করা যায় নিঃসন্দেহে।

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট। ডেপুটি এডিটর, জাগো নিউজ।
[email protected]

এইচআর/ফারুক/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।