উৎসব মুখর নির্বাচনের প্রত্যাশা


প্রকাশিত: ০৩:৩১ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।

এ নির্বাচনে ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন ও নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬০ জন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা। নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২০টি দল প্রার্থী দিয়েছে। পৌর নির্বাচন যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২৩ জন, জাতীয় পার্টির ৭৪ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ১ জন, জেপির ৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৪ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের ১ জন ও  বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ২১ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭ জন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ১ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৭ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩ জন, বাংলাদেশর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন ও খেলাফত মজলিশের ১ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮ হাজার ৭৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রথম বারের মত দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন নিয়ে নানা মহলেই কৌতূহল রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের জন্যও এটি বড় চ্যালেঞ্জ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটা জাতীয় বা স্থানীয় যাই হোক না কেন এটা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের। অপরদিকে  নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে কোনো চাপ বা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে জরুরি।

এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটকেন্ত্র স্থগিতসহ নানা রকম অনিয়মের খবর আসছে। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কোনো বিকল্প নেই। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি অপকালচারে পরিণত হয়েছে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলুক এটাই সকলের প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, ভোটার, স্থানীয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে যার যা দায়িত্ব আছে সেটি পালন করতে হবে। দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও একটি উৎসব মুখর নির্বাচনের প্রত্যাশায় রইলাম।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।