কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন সাকিব?
অনেক কথাই বলা যায়, লেখা যায়। নানাভাবে, হরেক রকম ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ দিতে পারি। অনেক ভেতরের খবর আমার কিংবা আমাদের জানা। এটাই পেশা। এটাই নেশা। সারা বছর এই ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকার কারণে ওসব ভেতরের খবর জানার সুযোগ ও ক্ষেত্রও যে অনেক বেশি!
কিন্তু কয়েক দিন ধরে দেখছি সাকিব ইস্যুতে নানা মুনির নানা মত। সেটা থাকতেই পারে। সাকিবের পক্ষ-বিপক্ষে অনেক কথাই বলা হচ্ছে। কেউ কেউ বোঝানোর চেষ্টা করছেন এবং বলা হচ্ছে সাকিব ব্যক্তি জীবনে সোজা-সাপ্টা কথা বলেন। কাউকে তেমন তোয়াজ করে চলেন না। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটের নানা অনিয়ম আর বাজে ও পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নিয়ে তাই তার এমন প্রতিবাদ।
আমি এর বিপক্ষে অবস্থান করছি। তাই এ লেখাটি লিখতে বসা। সোজা বলে ফেলি, আবাহনীর বিপক্ষে সাকিবের লাথি মেরে উইকেট ভাঙ্গা আর উইকেট উপড়ে ফেলাকে যারা বিসিবির মূল অংশের বিপক্ষে তার তীব্র প্রতিবাদ, বিক্ষোভ আর লড়াই-সংগ্রাম ভাবছেন, তারা ভুলের রাজ্যে বাস করছেন।
প্রথম ও শেষ কথা হলো, সাকিবের কী দায় পড়েছে যে লিগে কী হচ্ছে, আম্পায়াররা কাকে ফেবার করছেন, কাকে করছেন না, কার বিপক্ষে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন- তা নিয়ে প্রতিবাদ করার এবং তা করে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার?
এটাতো আর যুদ্ধক্ষেত্র না যে জিতলে গাজী, হারলে শহীদ। ব্যাপারটা এত বড়ও না যে, এবারের লিগে পাহাড়সমান অন্যায় হয়েছে, যাকে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। অমুক দলের পক্ষে ডজনকে ডজন আর বিপক্ষে একটিও সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি!
বিষয়টা তেমন নয়। বরং অতীতে এর চেয়ে অনেক বেশি বাজে ও পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ড আছে। যার দলিলও আছে ভুরি ভুরি। আমার ৩০ বছরের কর্ম জীবন আর তারও আগে অন্তত এক যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকাই ফুটবল, ক্রিকেট এবং হকি খেলা দেখার আলোকে বলছি, এদেশে ক্লাব ক্রীড়াঙ্গনে মোহামেডান আর আবাহনী সব সময়ই ফেবার পেয়েছে।
এটা নতুন নয়। বড় দল, জনসমর্থনপুষ্ট আর সরকারের মদদপুষ্ট দলের প্রতি আম্পায়ার-রেফারির দুর্বলতা অনেক পুরোনো। মাঠে তাদের পক্ষে বাঁশি বাজানো আর সিদ্ধান্ত দেয়ার নজিরও আছে ভুরি ভুরি।
সেটাও অনেক কারণে। ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের দেশের আম্পায়ার ও রেফারিরাও কিন্তু মানুষ। মানুষ হিসেবে কারও সমর্থক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এখন কিংবা অতীতে যারা খেলা পরিচালনা করেছেন, তারাও এক সময় আবাহনী, না হয় মোহামেডানের সমর্থক ছিলেন।
মাঠে খেলা পরিচালনা করতে গিয়ে অবচেতন মনে তাদের সেই সমর্থক সত্তা জেগে ওঠে। জানি এটুকু পড়ে অনেকেই বলবেন, পেশাদার আম্পায়ার ও রেফারিরা আবার তা করেন নাকি? করতে পারেন কী? হ্যাঁ মানছি, তা পারেন না। তবে আমার পাল্টা প্রশ্ন, আসলে বাংলাদেশের রেফারি, আম্পায়ার, ফুটবলার, ক্রিকেটার ও ক্রীড়াবিদরা কে কতটা পেশাদার?
তাদের আচার, আচরণ ও কর্মকাণ্ডে তো পেশাদারিত্বের ছোঁয়া কম। কাজেই অন্ধ, আবেগ, ভারোবাসা কাজ করতেই পারে। এছাড়া সরকারের মদদ ও সমর্থনপুষ্ট এবং বাফুফে ও বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সুনজরে থাকার প্রবণতাও অনেক পুরোনো। তাদের খুশি করতে পারলে শীর্ষ কর্তাদের ক্লাবকে ফেবার করলে অবস্থান সুদৃঢ় হয়। বেশি ম্যাচ পাওয়া যায়। এলিট প্যানেলে জায়গা হয়। এসব চিন্তাও কাজ করে।
আর সে চিন্তা থেকেই আসলে সেই ৭০, ৮০, ৯০ দশকের পুরো সময় কখনো মোহামেডান আবার কোন সময় আবাহনী রেফারি ও আম্পায়ারের ফেবার পেয়েছে। কারণ এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দলই এই দুটি। শীর্ষ ফেডারেশনের বড় বড় পদেও আসীন ওই দুই ক্লাবের কর্মকর্তা। তাই আম্পায়ার ও রেফারিরা নিজ নিজ অবস্থান ঠিক রাখতে আর ব্যক্তিগত আয় উন্নতির কথা ভেবেও তাদের পক্ষ নেয়। আঙুল তোলে। এটা এ দেশে নতুন নয়। অনেক পুরোনো রীতি।
এবার আসা যাক সাকিব প্রসঙ্গে। সাকিব সন্দেহাতীতভাবেই দেশের সেরা ক্রিকেটার। বাংলাদেশের মানে অনেক বড় পারফরমার। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সব সময়ের সেরা ও সফল অলরাউন্ডার। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেরা পারফরমারের পুরস্কার না পেলেও পারফরমার সাকিব ছিলেন সবার সেরা।
কিন্তু এক বছর সাসপেন্ড থেকে মাঠে ফিরে নিজেকে আগের মতো খুঁজে পাননি। বোলিংটা মোটামুটি ঠিক থাকলেও ব্যাটিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ব্যাটসম্যান সাকিব কিছুতেই কিছু করতে পারছেন না। রান খরায় ভুগছেন। তিনি যত বড় প্লেয়ারই হোন না কেন, পারফর্ম করতে না পারার একটা অন্তরজ্বালা থাকে। সাকিবেরও আছে।
এছাড়া মোহামেডানের মতো বড় দলের অধিনায়ক হয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারার হতাশা এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে না পারার আক্ষেপ এবং অতৃপ্তিও আছে।
সাকিবের নার্ভ যত শক্তই হোক না কেন, তিনিও মানুষ। পারফর্ম করতে না পারার হতাশা থেকে একটু বিচলিত হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়। তার ওপর মোহামেডানের মতো বড় দলের নেতৃত্ব কাঁধে পাওয়া মানেই হিমালয় সমান প্রত্যাশার চাপ। সে প্রত্যাশা পূরণের ব্যর্থতা ভিতরে কুরে কুরে খাচ্ছিল।
তিন ম্যাচ জয়ের পর তিন ম্যাচ হেরে সুপার লিগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সাদা-কালো শিবিরের। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে না পারার গ্লানিও ভিতরে কাজ করছিল। সঙ্গে নিজেকে খুঁজে না পাওয়ার হতাশাও ছিল।
এ কারণেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে সে সব হতাশা মুক্তি অপ্রাপ্তি ঘোচানো আর অতৃপ্তি মোচনের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল সাকিবের। আরও একটি ঘটনা তার অবচেতন মনে দাগ কেটে থাকতে পারে।
এই আবাহনীর পক্ষে তার শেষটা ভালো হয়নি। অনেক তিক্ততার মধ্য দিয়ে আবাহনী ছাড়তে হয়েছিল। ব্যাপারটা একটু খুলেই বলি, ২০০৯ সালে মোহামেডান যখন শেষবার খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন সাকিব।
খেলার ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল শেষ বলে। মোহামেডানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল সম্ভবত তিন রানের। ওই ম্যাচ নির্ধারণী ডেলিভারিতে স্ট্রাইকে ছিলেন সেবারের মোহামেডান অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। শেষ বলে পাইলটের স্ল শট ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে থার্ডম্যান বাউন্ডারি দিয়ে সীমানার ওপারে চলে গেলে জিতে যায় মোহামেডান।
থার্ডম্যান ফিল্ডার সীমানার ওপরে বা কাছে থাকলে আর মোহামেডান জিততো না হয়তো। চারের বদলে এক বা দুই রান হতো। কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো আবাহনী অধিনায়ক সাকিব ঠিক শেষ বলে থার্ডম্যান ফিল্ডারকে সরিয়ে সীমানার ওপর থেকে শর্ট থার্ডম্যানে মানে ৩০ গজের ভেতরে নিয়ে আসেন। যে কারণে পাইলটের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল কিপার আর শর্ট থার্ডম্যানের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে চলে যায় সীমানার ওপারে।
থার্ডম্যান ফিল্ডার সীমানার দড়ির ওপর বা ধারে কাছে থাকলে নির্ঘাত চার হতো না। মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হতো না। আবাহনীর ঘরেই উঠতো লিগ শিরোপা। আবাহনী শিবিরের অনুভব, উপলব্ধি- সাকিবের ওই একটি ভুলেই শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে। থার্ডম্যান ফিল্ডারকে না সরালে আর মোহামেডান জয়সূচক রান পেত না। শিরোপাও হাতছাড়া হতো না।
সেই একটি ছোট্ট ভুলে সাকিব রীতিমতো ‘ভিলেন’ বনে গিয়েছিলেন আবাহনীর কাছে। মাঠে উপস্থিত আবাহনীর শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে ভক্ত ও সমর্থকরা তাকে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ছাড়েননি। অনেক তীর্যক কথা-বার্তা, এমনকি গালিগালাজও হজম করতে হয় সাকিবকে। কে জানে, এখনো অবচেতন মনে হয়তো সেদিনের সে লাঞ্ছনা-বঞ্চনার কথা মনের মধ্যে লালন করছেন সাকিব। সে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে করেও এবার মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে আবাহনীর বিপক্ষে হয়তো প্রতিশোধের অনল জ্বলছিল তার বুকে।
বল হাতে প্রথম ওভারে মুশফিকের সাথে প্রথমে ছক্কা, পরে বাউন্ডারি হজম করার পর তাকে আর্মারে পরাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তাই কনফিডেন্ট আবদেন করে বসেন সাকিব, যা আউটই মনে হয়েছে। আম্পায়ার কর্তৃক সেই লেগবিফোর উইকেটের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ‘টেম্পার ল্যুজ অ্যান্ড রাশ অফ ব্লাড’ রিয়্যাক্ট করেছেন সাকিব।
আসলে সেটাই ঘটনা। পরের ঘটনা নিয়ে অনেকেই বলাবলি করছেন, বেশিরভাগই না বুঝে, না দেখে। যেহেতু মাঠে আসার সুযোগ নেই, তাই সাকিবের ওই ঘটনা দেখে যে যার মতো বলছেন। লিখছেন।
আসলে ওই ম্যাচে সাকিব নানা কারণে টেন্সড ছিলেন। ভালো করতে আর জিততে মরিয়াও ছিলেন, ম্যাচ জিততে আর নিজে ভালো করতে এতটাই টেন্সড ছিলেন যে, বৃষ্টির কারণে তখন (৫ ওভার শেষেই আসলে ম্যাচ ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল এবং ডিএল মেথডে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল) ম্যাচ ধুয়েমুছে গেলেও তার দল ডিএল মেথডে জিতে যাবে, সে চিন্তাও মাথায় ছিল না বা আসেনি সাকিবের।
তাই আম্পায়ার বৃষ্টির ফোটা পড়ার আগে আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যেতে দেখেই খেলা থামিয়ে কভার আনার সঙ্কেত দিলে মাথা গরম করে ফেলেন তিনি এবং কেন বৃষ্টি পড়ার আগে খেলা বন্ধ হলো? সে প্রশ্ন না করে নিজেই রাগে ক্ষোভে উইকেট উপড়ে ফেলে আছাড় মারেন মাটিতে।
এর সবগুলোই ওই ম্যাচের রিয়্যাকশন। ‘আবাহনীর বিপক্ষে জিততেই হবে। হারলে সুপার লিগ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ব্যর্থতার সমুদয় দায়-দায়িত্ব আমার ওপর বর্তাবে’- সেই দায় পূরণের চিন্তা, টেনসন ছিল মাথায়।
তাই তার বলে আবাহনী অধিনায়ক ও ত্রাণকর্তা মুশফিকুর রহীমের লেগবিফোর উইকেটের জোরালো আবেদন নাকচ আর বৃষ্টির ফোটা পড়ার আগে খেলা বন্ধের ঘোষণা- ভিতরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকবে সাকিবের।
এবারের লিগে তার পারফরম্যান্স আর ক্যাপ্টেন্সির যে নড়বড়ে অবস্থা, তাতে আচরণের বহিঃপ্রকাশটা যতই দৃষ্টিকটূ আর অপ্রীতিকর কাণ্ড হিসেবেই পরিগণিত হোক না কেন, আসলে তার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে সাকিবের নিজের নানা অপ্রাপ্তি, অতৃপ্তি ও হতাশা থেকে।
তার সঙ্গে অন্য কিছুর গন্ধ খোঁজা, লিগে পুকুর চুরি হচ্ছে, একটি বিশেষ ক্লাব অনেক বেশি ফেবার পাচ্ছে বা নিচ্ছে- এসবের সংযোগ খোঁজা এবং সে কারণেই আসলে সাকিব প্রতিবাদী- এমন ভাবার কোনোই যৌক্তিকতা নেই। বাইরে থেকে খালি চোখে হয়তো কারও কাছে এমনই মনে হচ্ছে, আসলে তা নয়।
আজকে (সোমবার) মোহামেডানের সংবাদ সম্মেলন হলে, সাকিব না আসলেও তার লিখিত বক্তব্য জানা যেত। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন বাতিল হওয়ায় তা জানা যায়নি। পুরো ব্যাপারটাই ধোঁয়াটে রয়ে গেছে। আসলে সাকিব কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেটা সবারই এখনও অজানাই রয়ে গেছে। সাকিবের মুখ থেকে শোনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েও সেটা আর হয়নি।
একটু চিন্তা করে দেখুন তো! সাকিবের ঠেকা পড়েছে, লিগে কী অনিয়ম হচ্ছে তার প্রতিবাদ করে তিন-চার ম্যাচ সাসপেন্ড হওয়ার? লিগে অমুক দলকে আম্পায়াররা ফেবার করছে, সাকিব তা মিডিয়ায় কিংবা নিজের ফেসবুক পেজ বা টুইটারে লিখেও জানাতে পারতেন বা পারেন।
আউট না দেয়ায় উইকেটে লাথি মেরে আর বৃষ্টির ফোটা না পড়ার আগে খেলা বন্ধের ঘোষণায় উইকেট উপড়ে ফেললে যে শাস্তি হতে পারে, সাকিব কী তা জানতেন না?
অবশ্যই জানতেন। তা জানলেও ওই ম্যাচে আর ওই বিশেষ মুহূর্তে তার মাথায় তা আসেনি। তখন তার একটাই চিন্তা, আবাহনীকে হারাতে হবে। সাদা কালোদের জেতাতে হবে। নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই তাৎক্ষণিক রিয়্যাকশনটাও ছিল চরম। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো আর অন্য কিছু মাথায়ই আসেনি। সেখানে লিগের অন্য ম্যাচে কি হলো? কে ফেবার পেল, না পেল- তা নিয়ে আসা খুব কী যৌক্তিক?
একবার ভেবে দেখুন তো!!!
এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ