পাকসেনাদের অস্ত্রের মুখেও নির্ভীক ছিলেন রহিমা বেগম
১ ডিসেম্বর, ২০১০-এর এক সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ১৯ নম্বরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে নিয়ে স্মৃতিকথা ও কথোপকথন হয় ৮৪ বছর বয়সের মা রহিমা বেগমের সঙ্গে। আতঙ্ক উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তায় সুদীর্ঘ ৯ মাস পাড়ি দেয়া সাহসিনী মা— রহিমা বেগম। একাত্তরে ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টের (ইপিআই) চৌকস এক জুনিয়র ক্যাপ্টেন ১নং সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম—
দেশব্যাপী পাকিস্তানিদের গণহত্যা শুরুর আগেই সর্বপ্রথম পাকিস্তানি আর্মিদের আক্রমণ করেছিলেন যিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি তাঁর অধীনস্থ ইপিআরের বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম যুদ্ধকালীন পুরোপুরি স্বাধীন থাকত, হয়তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অন্যরকম হতে পারত। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ১নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য তাঁকে জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক বীর উত্তম উপাধি দেয়া হয়।
চাঁদপুর শাবদী গ্রামের ৯ সন্তানের জননী রহিমা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের চরম অনিশ্চয়তার সময়ে গৃহবন্দি সন্তানরা এখন সবাই যার যার জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধের ২৮ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন একাত্তরের রণাঙ্গনে ১নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। পাঁচটি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ১নং সেক্টরটির ভৌগোলিক অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ। ১৯৭১ সালে ২৪ মার্চে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে বন্দর এলাকা থেকে রাইফেল আর মেশিনগানের গুলির আওয়াজ ভেসে আসে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) চট্টগ্রাম¯ ‘হেডকোয়াটার্স’ থেকে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তিনি ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরুর পূর্বেই ইপিআর সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, ভেবেছিলেন, “এই পদক্ষেপ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেবে অথবা তাঁকে দাঁড় করাবে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’।”
যদিও যুদ্ধকালীন সন্তানের অমিত সাহসের অনেক কিছুই সে সময়ে অজানা ছিল তাঁর মা রহিমা বেগমের। বিভিন্ন সংবাদে ইপিআর’র সম্পর্ক তার কথা জানতে পারেন, বুঝতে পারেন দেশপ্রেমিক সন্তান যুদ্ধের ময়দানে, দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে। গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার একদিন পূর্বে অর্থাৎ ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লায় এক পাকিস্তানপন্থী অ্যাডভোকেটের বাড়িতে ফোনে মাকে কৌশলে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানি শাসক ও সেনাসদস্যদের অপতৎপরতা এবং এ দেশের সম্ভাব্যসমহূ বিপদের কথা। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, তেল, ডাল ইত্যাদি অগ্রিম কিনে রাখার কথাও বলেন। মা রহিমা বেগম তখনও ভাবতে পারেননি রক্তক্ষয়ী এক সংগ্রাম অপেক্ষা করছে এদেশের মানুষের জীবনকে তছনছ করে দেয়ার জন্য।
যুদ্ধকালীন প্রথম তিন মাস স্বামী ও সন্তানকে ছাড়াই অন্তরীণ অবস্থায় পরিবারকে রক্ষা করেন অতি সাধারণ মা রহিমা বেগম। কলেজপড়ুয়া বড় তিন মেয়েকে অন্যের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। স্মৃতিতে ভর করে ৮৪ বছর বয়সের মা বলেন, “একাত্তরের জুন মাসের এক সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বন্দুকসহ ড্রাইভার শের আলীকে নিয়ে কারফিউ চলাকালীন এসে জিজ্ঞেস করেন ছেলে রফিকের কথা। এরপর দুই খাটে বসে থাকা ছোট দুই মেয়েকে একসাথে বসতে বলে। মা তখন আতঙ্কিত হয়ে ভাবেন হয়তো তখনই একবারে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলবে।
আতঙ্কিত রহিমা বেগম দিগ্বিদিক না ভেবে অসীম সাহসে পাকিস্তানি সেনাসদস্যের বন্দুক ধরে ফেলেন। সেই মুহূর্তে পরিচিত এক পেশকার চলে আসায় সে যাত্রায় রক্ষা পায় পরিবারটি। সেদিনের স্মৃতি যেন এখনও তাঁর চোখে ভাসছে, এত বছর পরও একটুও ম্লান হয়নি।” মা রহিমা বেগম ও বাবা আশরাফ উল্লাহ নয় সন্তান—তিন ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছিলেন জ্যেষ্ঠ। ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ সালে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার নাওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজ গ্রামের নাওড়া স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন।
১৯৫৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা মডেল হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে রফিকুল ইসলাম পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে আর্মির ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। পরে তাঁকে আর্টিলারি কোরে নেওয়া হয়। তিনি লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাঁর ইউনিট রেজিমেন্টসহ যশোর ক্যান্টনমেন্টে আসেন ১৯৬৮ সালে এবং রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ডেপুটেশনে দিনাজপুরে ৮ উইং ইপিআরের অ্যাসিস্ট্যান্ট উইং কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ সালের প্রথম দিকে তিনি ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টে চট্টগ্রামের হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট পদে যোগ দেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি সব সময় চিন্তা করছিলাম যে, যুদ্ধ করতে হবে। আমি শুধ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। মানসিক প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। চট্টগ্রামে এসে আমি ঠিক করেছিলাম কী করতে হবে। প্রথম চিন্তা ছিল চট্টগ্রাম দখল করে একে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সেটা পারলে পলিটিক্যাল লিডাররা এখানে এসে হেডকোয়ার্টার স্থাপন করবেন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য চাইবেন। এটুকু আমার দায়িত্বের মধ্যে রেখেছিলাম। এটা ছিল আমার একক সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে।
১৯৭১-এর মার্চের ৩ তারিখ সংসদ অধিবেশন বসার কথা। এর ভেতরে ওরা যে চক্রান্ত করছিল তা অনুভব করতে পারতাম। কারণ ইয়াহিয়া খান কিংবা পশ্চিমা জেনারেলরা কখনও চাইবে না, পূর্ব অঞ্চলের মানুষেরা স্বাধীন হোক। আমি যখন যশোরে ছিলাম তখন ২৪ আর্টিলারি ফ্লিডে আমার কামান ছিল ১৮টা। এ কামানগুলো দিয়ে পশ্চিমাদের ওপর অ্যাটাক করে যশোর মুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু বাঙালি অন্য দু-তিনজন অফিসার যারা প্রথমে অ্যাটাক করতে রাজি ছিলেন তারা হঠাৎ বলেন, ‘স্যার, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা বিদ্রোহ করবো না।’ আমরা ভারত থেকেও কোনো আশ্বাস পেলাম না, সুতরাং আমাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত একাত্তরে এসে আমরা সফল হই।
১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ রাত ৯টায় টেলিফোনে চট্টগ্রামের হালিশহরের ইপিআর হেডকোয়ার্টারে দুটি মেসেজ পাঠাই। আমার গোপন সিদ্ধান্ত অনযুায়ী দুটো মেসেজই ইপিআর ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে উত্তরে শুভপুর থেকে দক্ষিণে টেকনাফ পর্যন্ত সব ইপিআর পোস্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম মেসেজটি ছিল ‘আমার জন্য কিছু কাঠের ব্যবস্থা করো’ এবং দ্বিতীয় মেসেজটি ছিল ‘আমার জন্য কিছু কাঠ নিয়ে আসো।’ দুটো মেসেজই রুটিন ধরনের বিধায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের এতে সন্দেহ করার মতো কিছুই ছিল না। কিন্তু মেসেজ দুটো পাঠানোর পর থেকেই এক অজানা আশঙ্কায় আমি মুহূর্তের জন্য শিহরিত হয়ে উঠেছিলাম।
এটা কি একটা বিদ্রোহের আবেগময় বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমি কি একটা অসম্ভব কিছু করার চেষ্টা করছি, যা অবশ্যম্ভাবী তা হতেই হবে। সেটা শুধু সময়ের ব্যাপার। দু’জন বাঙালি সামরিক অফিসার—মেজর জিয়াউর রহমান এবং লে. কর্নেল এমআর চৌধুরী বললেন, ‘এই মুহূর্তে তোমার এ ধরনের কিছু করা উচিত নয়।’ আমি জানতে চাইলাম কেন? লে. কনের্ল চৌধুরী বললেন, ‘ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক কোনো ব্যবস্থা’ নিতে সাহস পাবে না। বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে তারা এমন কিছু করতে পারে না।’ অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি আবার সেই টেলিফোনে দ্বিতীয় মেসেজটি বাতিল করার জন্য নির্দেশ দিলাম। প্রথম মেসেজটি অপরিবর্তিত থাকল।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরের ঘটনাবলি প্রমাণ করে দিল তাঁরা দু’জনই পাকিস্তানিদের যেভাবে মূল্যায়ন করেছিলেন, তা ছিল ভুল। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় আমার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি ছিল আত্মঘাতী। অথচ সব জাতিকে দিতে হলো চরম মূল্য। পাকিস্তানিদের সংঘটিত গণহত্যার শিকার হলো লাখ লাখ বাঙালি।”
২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকায় যখন গণহত্যা শুরু হয় তার দুই ঘণ্টা আগে রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামে ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে বালুচ রেজিমেন্টের সেনারা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে অতর্কিতে অস্ত্রাগার দখল করে এক হাজার বাঙালি সেনাকে নির্বিচারে হত্যা করে। অন্যদিকে জনগণকে রক্ষা ও মুক্তির জন্য ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে রফিকুল ইসলাম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। ষোলশহর ও ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সেনারা ইপিআর সৈনিকদের সাথে যোগ দিয়ে শত্রুদের নিরস্ত্র ও বন্দি করে শহর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। যুদ্ধ চলাকালীন রামগড়, কুমিল্লা, শুভপুরে বিভিন্ন অপারেশনে তাঁর নেতৃত্বে নিয়মিত বাহিনী ও গেরিলা যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের ২ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতির কিছুকাল পর থেকে তিনি চট্টগ্রামে ইংরেজি দৈনিক ‘দি পিপলস্ ভিউ’র সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পরে তিনি হ্যান্ডলুম বোর্ড-এর চেয়ারম্যান এবং বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করেন।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশের প্রথম নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়—এই দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন এবং ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ১৯৯৯ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তাঁর রচিত ‘এ টেল অব মিলিয়ানস্’ বইটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৮১ সালে এর বাংলা অনবুাদ প্রকাশিত হয় ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে রয়েছে তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।
পরিচয় : মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
সেক্টর কমান্ডার : ১ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : ১ ডিসেম্বর, ২০১০ ধানমন্ডি ১০/এ, ঢাকা।
তথ্যসূত্র
‘একাত্তর মুক্তিযোদ্ধার মা’, মার্জিয়া লিপি, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, ৪৬/১ হেমেন্দ্র দাস রোড, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০।
এইচআর/ ফারুক/এমকেএইচ