জ্ঞানভিত্তিক সমাজের কৌশল


প্রকাশিত: ০২:১৯ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা  বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন হলেও বিশ্বকে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করার কাজটি এখন বিশ্ববাসীর স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণে বিশ্বজুড়ে দেশগুলো অবলম্বন করছে নানা কৌশল। আমাদেরকেও কোনো না কোনোভাবে সেইসব কৌশলের কথা ভাবতে হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকেই আমি এইসব কৌশলের কথা  সরাসরি বলে আসছি। একেবারে স্পষ্ট করে বললে, ২০০৭ সালের এপ্রিল সংখ্যা ‘কম্পিউটার জগতে’ এই বিষয়ে আমার লেখা একটি কর্মসূচিই ছাপা হয়েছিলো। এরপর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগান দিয়েছি। যে দল এই শ্লোগান দিয়েছিলো তারা সাড়ে ৬ বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। এরই মাঝে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তার দলীয় ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার কথা বলেছেন। সেই সময়ে তিনি দেশটিকে উন্নত দেশে উন্নীত করারও ঘোষণা দিয়েছেন।

সরকার ২০০৯ সাল থেকেই এই লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৫ সালে ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা নবায়ন হয়েছে। যদিও তাতে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের কথা বলা নেই তবুও এই সময়ে সেই নীতিমালা ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার কৌশল হিসেবে প্রাথমিকভাবে গণ্য হতে পারে। অবশ্য আমি পুরো বিষয়টিকেই ভিন্ন প্রেক্ষিতে দেখি। এজন্য নিদেন পক্ষে একটি ধারণা পাবার জন্য একটু খুব সংক্ষিপ্তভাবে আমাদের কৌশলগুলোর কথা আলোচনা করতে পারি।  আমাদের নীতি নির্ধারকরা যদি এগুলো বিবেচনা করেন তবে আমরা সফল হবো দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরে এবং এটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে বলে আমি মনে করি।

আমি মনে করি, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রধান কৌশল হলো তিনটি। এই কৌশলগুলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর এবং একটি ডিজিটাল জীবনধারা ও বাংলাদেশকে জন্মের প্রতিজ্ঞায় গড়ে তোলা বিষয়ক।

প্রথম কৌশলটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি নিয়ে। আমরা এজন্য শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দ্বিতীয় কৌশলটি সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর বা একটি ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা বিষয়ক। তৃতীয় কৌশলটি মূলত বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তোলার স্বপ্ন।

কৌশল ১:
ডিজিটাল রূপান্তর ও মানবসম্পদ: বাংলাদেশের মতো একটি অতি জনবহুল দেশের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম কৌশল হতে হবে এর মানবসম্পদকে সবার আগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বা ডিজিটাল যুগের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এর ডিজিটাল রূপান্তর করা। মানবসম্পদ সৃষ্টির প্রধান ধারাটি তাই নতুন রূপে গড়ে ওঠতে হবে। এদেরকে দক্ষ জ্ঞানকর্মী বানাতে হলে প্রথমে প্রচলিত শিক্ষার ধারাকে বদলাতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃষি শ্রমিক বা শিল্প শ্রমিক গড়ে তোলার প্রধান ধারা থেকে কারখানা থেকে জ্ঞানকর্মী তৈরি করার মূল কারখানায় পরিবর্তন করতে পারি। আমাদের নিজের দেশে বা বাইরের দুনিয়াতে কায়িক শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক ও শিল্প শ্রমিক হিসেবে যাদেরকে কাজে লাগানো যাবে তার বাইরের পুরো জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম জ্ঞানকর্মীতে রূপান্তর করতে হবে। বস্তুত প্রচলিত ধারার শ্রমশক্তি গড়ে তোলার বাড়তি কোনো প্রয়োজনীয়তা হয়তো আমাদের থাকবে না। কারণ যে তিরিশোর্ধ জনগোষ্ঠী রয়েছে, বা যারা ইতিমধ্যেই প্রচলিত ধারার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছে তাদের প্রচলিত কাজ করার দক্ষতা রয়েছে এবং তারাই এই খাতের চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারবে। ফলে নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার সহায়তায় জ্ঞানকর্মী বানানোর কাজটাই আমাদেরকে করতে হবে। আমি ছয়টি ধারায় এই রূপান্তরের মোদ্দা কথাটা বলতে চাই।

ক. প্রথমত; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি শিশুশ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্য করতে হবে। প্রাথমিক স্তরে ৫০ নাম্বার হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিষয়টির মান হতে হবে ১০০। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ইংরেজি-বাংলা-আরবি মাধ্যম নির্বিশেষে সকলের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য হতে হবে।  পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিষয়টিকে অপশনাল নয়, বাধ্যতামূলক করতে হবে। এজন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
খ. দ্বিতীয়ত; প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি ২০ জন ছাত্রের জন্য একটি করে কম্পিউটার হিসেবে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলতে হবে। এই কম্পিউটারগুলো শিক্ষার্থীদেরকে হাতে কলমে ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে শেখাবে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে নিজেরা এমন যন্ত্রের স্বত্ত্বাধিকারী হতে পারে রাষ্ট্রকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারকে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়ত্ত্বের মধ্যে আনতে হবে।

গ. তৃতীয়ত; প্রতিটি ক্লাশরুমকে ডিজিটাল ক্লাশরুম বানাতে হবে। প্রচলিত চক, ডাস্টার, খাতা কলম বইকে কম্পিউটার, ট্যাবলেট পিসি, স্মার্ট ফোন, বড় পর্দার মনিটর/টিভি বা প্রজেক্টর দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। প্রচলিত স্কুলের অবকাঠামোকে ডিজিটাল ক্লাশরুমের উপযুক্ত করে তৈরি করতে হবে।

ঘ. চতুর্থত; সকল পাঠ্য বিষয়কে ডিজিটাল যুগের জ্ঞানকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উপযোগী পাঠক্রম ও বিষয় নির্ধারণ করে সেইসব কনটেন্টসকে ডিজিটাল কনটেন্টে পরিণত করতে হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি বা মূল্যায়নকেও ডিজিটাল করতে হবে।  

ঙ. পঞ্চমত; সকল শিক্ষককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সকল আয়োজন বিফলে যাবে যদি শিক্ষকগণ ডিজিটাল কনটেন্ট, ডিজিটাল ক্লাশরুম ব্যবহার করতে না পারেন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে না জানেন।

চ. ষষ্ঠত; ইতিমধ্যেই শিক্ষিত তিরিশের নিচের সকল মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বজুড়ে যে কাজের বাজার আছে সেই বাজার অনুপাতে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

কৌশল ২:
ডিজিটাল সরকার:  রাষ্ট্র ও সমাজের ডিজিটাল রূপান্তরের আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, সরকার নামক প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত প্রাচীন। এর পরিচালনা পদ্ধতিও মান্ধাতার আমলের। আমরা এখন আধুনিক রাষ্ট্র নামক যে রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলি এবং জনগণের সেবক সরকার হিসেবে যে সরকারকে চিহ্নিত করি তার ব্যবস্থাপনা বস্তুত প্রাগৈতিহাসিক। এক সময়ে রাজরাজড়ারা সরকার চালাতেন। তবে সেই ব্যবস্থাকে স্থলাভিষিক্ত করেছে ব্রিটিশদের সরকার ব্যবস্থা।  সেটি আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে বহন করে আসছি। ব্রিটিশরা চলে যাবার এতোদিন পরও সেই ব্যবস্থা প্রবল দাপটের সাথে রাজত্ব করছে। কথা ছিলো সরকারটি অন্তত শিল্পযুগের উপযোগী হবে এবং তার দক্ষতাও সেই পর্যায়ের হবে। কিন্তু কৃষি যুগে থেকেই আমরা শিল্পযুগের সরকার চালাতে শুরু করার ফলে মানসিকতাসহ সকল পর্যায়েই আমাদের সংকট চরম পর্যায়ের। একদিকে সামন্ত মানসিকতা ও অন্যদিকে আমলাতান্ত্রিকতা সরকারকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে। ৪৭ সালের একবার ও ৭১ সালে আরেকবার পতাকা বদলের পরও আমলাতন্ত্র বদলায়নি। একটি স্বাধীন জাতির জন্য যে ধরনের প্রশাসন গড়ে ওঠা দরকার সেটিও গড়ে ওঠেনি। কাজ করার পদ্ধতি রয়ে গেছে আগের মতো।

ক. প্রথমত; সরকারি অফিসে কাগজের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে হবে। সরকারের সকল অফিস, দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কাগজকে ডিজিটাল পদ্ধতি দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। এজন্য সরকার যেসব সেবা জনগণকে প্রদান করে তার সবই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দিতে হবে। এখানেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি দপ্তরের বিদ্যমান ফাইলকে ডিজিটাল ডকুমেন্টে রূপান্তরিত করতে হবে। নতুন ডকুমেন্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি করতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতেই সংরক্ষণ ও বিতরণ করতে হবে।

খ. দ্বিতীয়ত; সরকারের সকল কর্মচারি-কর্মকর্তাকে ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে জানতে হবে। এজন্য সকল কর্মচারি কর্মকর্তাকে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।  নতুন নিয়োগের সময় একটি বাধ্যতামূলক শর্ত থাকতে হবে যে, সরকার  যেমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করবে সরকারে নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে সেই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারতে হবে।

গ. তৃতীয়ত; সকল সরকারি অফিসকে বাধ্যতামূলকভাবে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে হবে এবং সকল কর্মকাণ্ড অনলাইনে প্রকাশিত হতে হবে।  সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকেও সার্বক্ষণিকভাবে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে হবে।

ঘ. চতুর্থত; সরকারের সকল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য জনগণের দোড়গোড়ায় সেবাকেন্দ্র থাকতে হবে। দেশজুড়ে থাকতে হবে বিনামূল্যের ওয়াইফাই জোন। জনগণকে সরকারের সাথে যুক্ত হবার প্রযুক্তি ব্যবহারের সকল সুযোগ দিতে হবে।

ঙ. পঞ্চমত; দেশের বিদ্যমান সকল আইনকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী করতে হবে এবং সেই অনুপাতে আইন ও বিচারবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে মেধাসম্পদ রক্ষা ও ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলায় সকল প্রকারের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

চ. ষষ্ঠত; সরকারের সাথে যুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল করতে হবে। অর্থনীতি, শিল্প-কল কারখানা, মেধাসম্পদ, আইন-বিচার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে ডিজিটাল করতে হবে।

কৌশল ৩:
ডিজিটাল জীবনধারা: ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হবে ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তোলা। দেশের সকল নাগরিককে ডিজিটাল যন্ত্র-প্রযুক্তি দিয়ে এমনভাবে শক্তিশালী করতে হবে এবং তার চারপাশে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যাতে তার জীবনধারাটি ডিজিটাল হয়ে যায়।

আমি এই কৌশলের জন্যও ছয়টি কর্ম পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করছি।
ক. দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম প্রতিটি নাগরিকের জন্য কমপক্ষে ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইদথ সুলভ হতে হবে। দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে এই গতি নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতে পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা-উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি অফিস-আদালত,  শহরের প্রধান প্রধান পাবলিক প্লেস, বড় বড় হাটবাজার, গণবাহন ইত্যাদি স্থানে ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অন্যদিকে রেডিও-টিভিসহ বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সকল ব্যবস্থা ইন্টারনেটে-মোবাইলে প্রাপ্য হতে হবে। প্রচলিত পদ্ধতির অফিস-আদালত-শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বলা যেতে পারে এটি হবে ইন্টারনেট সভ্যতা।

খ. ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কল-কারখানা, কৃষি, স্বাস্থ্য সেবা, আইন-আদালত, সালিশ, সরকারি সেবা, হাট বাজার, জলমহাল, ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ জীবনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ডিজিটাল করতে হবে।

গ. মেধাশিল্প ও সেবাখাতকে প্রাধান্য দিয়ে  শিল্পনীতি তৈরি করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি। সেজন্য শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক নীতি ও কর্মপন্থাকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী করতে হবে।

ঘ. দেশের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সকল আইনকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী করতে হবে। মেধা সংরক্ষণ ও এর পরিচর্যার পাশাপাশি সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

ঙ. ডিজিটাল বৈষম্যসহ সমাজে বিরাজমান সকল বৈষম্য দূর করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ জীবনের ন্যূনতম চাহিদা পূরণের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চ. বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে তার জন্মের অঙ্গীকারে স্থাপন করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার পাশাপাশি দেশকে জঙ্গীবাদ, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং একাত্তরের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের নীতি ও আদর্শকে গড়ে তুলতে হবে।

আশা করি প্রস্তাবনাসমূহ সংশ্লিষ্ট সকলের নজরে পড়বে।

লেখক  :  তথ্যপ্রযুক্তিবিদকলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক।  [email protected], www.bijoyekushe.net, www.bijoydigital.com

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।