শেরপুরে কমছে বন্যার পানি ভাসছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
বৃষ্টি কমায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল বন্ধ হওয়ায় শেরপুরের তিন উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি নামার সাথে সাথে ভেসে ওঠছে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র।
পাহাড়ি ঢলে ওঠতি আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে, সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অঞ্জন পালের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি টিম বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখতে ঝিনাইগাতী উপজেলায় সরজমিনে পরিদর্শন করেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
জেলা ত্রাণ ও পনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ৮ হাজার ৫৮৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৩৪৩টি মাটির ঘর সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৬টি কাঠের কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং ১৯টি ব্রিজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে এক হাজার ৩০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং বন্যার সময় বজ্রপাতে একজন নিহত ও ঘরচাপা পড়ে ৫ জন আহত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পনর্বাসন শাখার ওয়্যারলেস অপারেটর মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে জরুরি ত্রাণ ও পূনর্বাসন সহায়তার জন্য সোমবার দুপুরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।
হাকিম বাবুল/এমএএস/পিআর