হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো অনিয়ম নয়
ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তি রোধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইসলাম পবিত্র ধর্ম, শান্তির ধর্ম। কিন্তু কিছু মানুষের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ইসলাম ধর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কারো নেই। এই ধর্ম নিয়ে কেউ যেন রাজনীতি না করে, নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম-২০১৮ (১৪৩৯ হি.) এর শুভ উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার হাজিদের সুষ্ঠুভাবে পবিত্র হজ পালন করার সুযোগ করে দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হজ ব্যবস্থাপনার ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে।
এদিকে আসন্ন হজে বিপর্য়য়ের কোনো সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম দ্রুত ও সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যেই সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ১১৪ জন ও বিভিন্ন টিমের ২৪৬ জনের এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১৩ হাজারেরও বেশি হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। হজযাত্রী পরিবহনের জন্য ফ্লাইটও রেডি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর হজযাত্রীদের আরও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
গত সোমবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তার (ধর্মমন্ত্রী) সভাপতিত্বে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৩৯ হিজরী/২০১৮ এর নির্দেশনা অনুসারে ২০১৮’র হজ কার্য়ক্রমের প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করবেন। আগামী ১৪ জুলাই প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ২৭ আগস্ট ও শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২৫ সেপ্টেম্বর।
হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। হজ এজেন্সিগুলো নানা ধরনের প্রতারণা করে থাকে। হজে গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় অনেক সময়। এছাড়া যে ধরনের সুযোগ-সবিধা দেয়ার কথা বলা হয় শেষ পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রে সেটি দেয়া হয় না। তাছাড়া বিমানবন্দরেও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় ফ্লাইট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়া লাগেজ হারানো, দেরিতে পাওয়া, জমজমের পানি পাওয়া নিয়েও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখন এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এবার হজযাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। এই বিপুলসংখ্যক হজযাত্রী যাতে কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই পবিত্র হজব্রত পালন করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাই এখন সংশ্লিষ্টদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এইচআর/আরআইপি