কৃষিতে নারী : হৃদ্দিক বিশ্লেষণ
...বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। নারীর কোমল হাতের পরশে অতনু বীজ সর্বপ্রথম মাটির গভীরে প্রোথিত হয়েছিল, পরে তা অঙ্কুরিত উজ্জীবিত হয়ে, শাখা প্রশাখা ফুলে ফলে সুশোভিত হয়ে মানুষের অন্ন বস্ত্র আশ্রয় সেবা ওষুধ পুষ্টি বিনোদনের সহায়ক হয়েছিল। দুদণ্ড শান্তির পসরা বিকশিত করে দিয়েছিল মানুষের জন্য। নারী মমতাময়ী বলেই মাটির মতো এ ধরণীকে প্রশান্তির জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে। নারীর উৎসর্গীপনা জীবন জীবনান্তে স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায় পাতায়। অথচ নারী আজো অবহেলিত বিভিন্নভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে।
আশার আলোর ঝিলিক দেখা যায় কোথায়ও কোথায়ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী তার মর্যাদা পাওয়া শুরু করেছে। এ ধারা আরো বিকশিত হোক তীব্র হোক যৌক্তিক স্থায়ী হোক প্রত্যাশার ডালাভরে। কৃষি এবং নারী ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য আলোকিত গল্প। নারীর অনেক কাজের মধ্যে কৃষিই উল্লেখযোগ্য। কৃষিতে নারীর ভূমিকা আর অবদান নিয়ে এগুতে পারলে আমরা সব কিছু নিয়ে আরো গর্বিত অর্জন করতে পারবো আলোকিত সীমান্তে।
দেশে বর্তমান জনসংখ্যার অুনপাত পুরুষ : মহিলা হলো ১০৬ : ১০০। আমাদের এদেশে ৯২% পরিবার পুরুষ শাসিত আর মাত্র ৮% পরিবার মহিলা শাসিত। সাধারণভাবে শিক্ষার হার পুরুষ ৪৫.৫% আর মহিলা ২৪.২%। শহরে ৫২.৫% আর গ্রামে ২০.২০%। একই পরিমাণ সময় একসাথে কাজ করার পর পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে কম মজুরি পান, অথচ দেখা যায় মহিলারা পুরুষের তুলনায় বেশি কাজ করেন। মোট মহিলাদের মধ্যে ৭১.৫% কৃষি কাজে নিয়োজিত আর সে তুলনায় ৬০.৩% পুরুষ কৃষি কাজে নেিয়াজিত। মোট কৃষি ৪৫.৬% বিনামূল্যে মহিলারা শ্রম দেন আর বাকি ৫৪.৪% অংশ শ্রম টাকার বিনিময়ে কেনা হয়।
যে নারী কৃষির অগ্রদূত, কৃষি সমাজ সংসারকে মহিমান্বিত করেছে জীবনের সবটুকু বিনিয়োগ দিয়ে তার কষ্টগাথা এখনো অমানবিক। জরিপ বলে এদেশে ৮৫% নারীর উপার্জনের স্বাধীনতা নেই। মাত্র ১৫% নারী নিজের ইচ্ছায় উপার্জনের স্বাধীনতা পান। আর যারা আয় করেন তাদের প্রায় ২৪%ই নিজের আয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশে ৮৫% নারী কোন না কোন কারণে ভিন্নতর নির্যাতনের শিকার। বিবিএসের জরিপে জানা যায় ৯২% খানার প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি স্বামী। আর মাত্র ২.২% নারী। অল্প সংখ্যক স্বামীই নারীকে উপার্জনের স্বাধীনতা দেন। সে সব স্বামীর ৯৩.১৯% স্ত্রীর উপার্জন করার বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন না।
জমির মালিকানায় পুরুষের আছে ৮১% নারীর মাত্র ১৯%। বাড়ির মালিকানা ক্ষেত্রে ৮৬% পুরুষের বিপরীতে নারীর ১৪%। ৪৬% নারীর স্বাস্থ্য সেবার নেবার জন্য স্বামীর অনুমতি নিতে হয়। এখনো মেয়ে জন্ম দেবার কারণে ৬% নারী স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এত কিছুর পরেও আমাদের নারীরা আমাদের দুমুঠো অন্ন যোগাবার জন্য জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত্ন আত্তি সেবা দেবার জন্য আকুল থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, মাস পেরিয়ে বছর এবং আজীবন আমরণ।
দেশে মোট শ্রম শক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে নারী। নারী শ্রম শক্তির মধ্যে ৬৮ শতাংশই কৃষি, বনায়ন ও মৎস্য খাতে জড়িত। কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে কৃষিকাজে সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত। ফসলের প্রাক বপন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ফসল উত্তোলন, বীজ সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন পর্যন্ত নারী এককভাবেই করে। বাড়ির বাইরে মাঠে ফসল, সবজি চাষ, মসলা উৎপাদন, শুঁটকি ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ, মাছ ধরার জাল তৈরি ও মেরামত, পোনা উৎপাদন, গবাদিপশু, হাঁসমুরগি গবাদিপশু পালনের কাজও নারীরা করেন। সামাজিক বনায়নের কাজও হয় নারীর হাত দিয়ে।
কৃষি ও এর উপখাতের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে নারী। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে কৃতজ্ঞচিত্তে নারীর এ উপস্থিতির কোন হিসাব স্বীকৃতি নেই। এমনকি কৃষি কাজে জড়িত নারী শ্রমিকের মূল্যায়নও করা হয় না। এখনও গ্রামীণ সমাজে কৃষি কাজকে নারীর প্রাত্যহিক কাজের অংশ বলে বিবেচনা করা হয়, মজুরি প্রদানের বিষয়টি অবান্তর। কোন কোন ক্ষেত্রে নামমাত্র মজুরি দেয়া হয়। কাজ করে নারী নাম কেনে পুরুষ। এছাড়া অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্য নারী শ্রমিকের মতই কৃষিখাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকরাও তীব্রভাবে বৈষম্যের শিকার হন। কাজে স্বীকৃতির অভাব চরমভাবে লক্ষণীয়। এছাড়া নিয়মহীন নিযুক্তি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, নারীর অধিক আন্তরিকতা, অল্প মজুরি, মজুরি বৈষম্য, দুর্ব্যবহার এবং আরও নানা ধরনের নিপীড়নতো রয়েছেই।
২০০৫-০৬ সনের শ্রমশক্তির জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নারী শ্রমিকের ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী। ২০০৮ সনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, কৃষিখাতে নিয়োজিত পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান শতকরা ৬০-৬৫% বেশি। দেশে গত এক দশকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সাথেযুক্ত প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাড়তি শ্রমশক্তির ৫০ লাখই নারীশ্রমিক। ১৯৯৯-২০০০ থেকে ২০০৯-২০১০ সময়ে দেশে কৃষি, বন ও মৎস্য, পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন, মাছচাষ, কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীশ্রমিকের সংখ্যা ৩৭ লাখ থেকে বেড়ে প্রায় ৮০ লাখ হয়েছে। এ বৃদ্ধির হার ১১৬%। যদিও এসব নারী শ্রমিকের ৭২ শতাংশই অবৈতনিক পারিবারিক নারীশ্রমিক।
২০০২-০৩ সময়ের তুলনায় বর্তমানে কৃষি, বন ও মৎস্য খাতে পুরুষ শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমেছে ১০.৪ শতাংশ। সার্বিকভাবে কৃষিতে নারীর অবদান থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে সেভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। কৃষিতে যুগ যুগ ধরে অব্যাহত অবদান রাখলেও নারীর স্বীকৃতি সেভাবে মেলেনি। বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, সম্প্রসারণকর্মী, গবেষক ও নারী নেত্রীরা মনে করছেন দেশের কৃষি ও কিষাণ-কিষাণীর সার্বিক উন্নতির স্বার্থে সামগ্রিক কৃষি সংস্কার কর্মসূচি জরুরিভিত্তিতে হাতে নিতে হবে। সে সাথে গ্রামীণ নারীশ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় প্রাতিষ্ঠনিক ব্যবস্থা ও কৃষিতথ্য পৌঁছে দেয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। ৭৭ শতাংশ গ্রামীণ নারী কৃষিসংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত থাকলেও তাদের স্বীকৃতি সেভাবে নেই। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিতে নারীর অবদানের রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্বীকৃতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
কৃষি, বন ও মৎস্য খাতেই যুক্ত হয়েছে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান। শ্রমশক্তির সংজ্ঞানুযায়ী, ২৯ শতাংশ নারীই কেবল শ্রমশক্তির অংশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বাকিরা নিশ্চিতভাবে নানান অবৈতনিক পারিবারিক কাজে নিয়োজিত থাকার পরও শ্রমশক্তির অংশ হিসেবে অদৃশ্যই থাকছেন। কৃষিখাতের ২৫টি কাজের ধাপের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ ২০টি ধাপে।
একজন গ্রামীণ নারী প্রতিদিন তার ঘর গোছানো রান্না পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জ্বালানি সংগ্রহ সব মিলেয়ে অন্তত ১২-১৫ কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করেন। নারী কৃষি শ্রমিকদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, একই ধরনের কাজে পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করা, বেশি কাজে বেশি সম্মান স্বীকৃতি, সরকারি কৃষি কর্মকাণ্ডে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া, কৃষিকাজে নারী শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, প্রান্তিক সুবিধাদি ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নারী কৃষিশ্রমিক তথা কৃষাণীদের অগ্রাধিকার দেয়াসহ আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা একান্ত প্রয়োজন।
কৃষিতে নারীর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল ১৯৮৪ কৃষিতে নারী, ১৯৯৯ অন্ন জোগায় নারী। ২০১১ সনে নারী উন্নয়ন নীতি প্রণীত ও মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশে কৃষিকে যেমন উপেক্ষা করা যায় না, তেমনি কৃষিতে নারীর অবদানকেও অস্বীকার করা যায় না। কৃষিখাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকের স্বীকৃতি ও ন্যায্য মজুরি প্রদান নিশ্চিত করতে পারলে দেশের কৃষি উন্নয়নে নারীরা আরও আগ্রহী হবে। ফলে কৃষিখাতের উৎপাদন বাড়বে, জিডিপিতে কৃষির অবদানও বাড়বে। তাই কৃষিকাজে জড়িত নারী শ্রমিকদের মূল্যায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষিতে নারীর সংশ্লিষ্টতা/অবদান ব্যাপক ও বিস্তৃত। যেমন- বীজ সংরক্ষণ; অঙ্কুরোদগম; বাছাই; শোধন; বীজতলায় বীজ বপন; চারা তোলা; চারা রোপণ; কৃষি পঞ্জিকা ও উৎপাদন প্রণয়ন ও অনুসরণ; পুষ্টিসম্মত রান্না কৌশল; খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ; কর্তনউত্তর কৌশল; শস্য সংরক্ষণ; কৃষি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা; জৈবকৃষি; জৈবসার, খাপমারজাতসার, ভার্মি কম্পোস্ট কুইক কম্পোস্ট তৈরি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা; মুরগি; হাঁস; ছাগল; গরু পালন; দুধ দোহন; গরু মোটাতাজাকরণ; ডিম ফোটানো; বসতবাড়িতে শাক সবজি; ফল ফুল, ভেষজ চাষ; কবুতর পালন; কোয়েল পালন; নার্সারি ব্যবস্থাপনা; মাতৃগাছ ব্যবস্থাপনা; মৌচাষ ; শীতল পাটি বুনন; হোগলা তৈরি; অঙ্গজ বংশ বিস্তার; বায়োগ্যাস কার্যক্রম;
বনসাই/অর্কিড/ক্যাকটাস চাষ; কুল বার্ডিং; খাঁচায় মাছ চাষ; পুকুরে মাছ চাষ; ছোট কৃষি শিল্প জ্যাম জেলি আচার কেচাপ স্যুপ আমসত্ত¡ তালসত্ত¡; মাছের সাথে হাঁস/মুরগির চাষ; ভাসমান সবজি চাষ; ঘাস চাষ; উন্নত চুলায় রান্না; কুটির শিল্প; মাশরুম চাষ; আলু/কলার চিপস; চানাচুর তৈরি; ছাদে বাগান; আইপিএম/আইসিএম/আইএফএম; বাহারি মাছ; পারিবারিক শাক সবজি সংগ্রহ; পারিবারিক শাক ফলমূল সংরক্ষণ; জ্বালানি সংগ্রহ; কৃষি বনায়ন; সামাজিক বনায়ন...। এর সবগুলোতেই নারী সংশ্লিষ্ট। সিংহভাগ নারীই সম্পাদন করেন। কোনটাতে এককভাবে আবার কোনটাকে যৌথভাবে।
সুতরাং নারীর সম্মান আর মর্যদা প্রতিষ্ঠায় মানসিকতা যৌক্তিকভাবে বদলাতে হবে; পুষ্টিতে তুষ্টিতে যুক্তিতে নারীর পাওনা অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে; নারীকেই শিক্ষা/প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে; নারী বলে বৈষম্য অবহেলা করা চলবে না; নারী আইনগত অধিকার, বিনিয়োগী অধিকার, অবদানের স্বীকৃতি যথাযথভাবে দিতে হবে; নারী যেমন পুরুষের কাজে সার্বিক আন্তরিক সহযোগিতা করে তেমনি নারীর কাজেও পুরুষের সার্বিক সহযোগিতা আবশ্যকীয়ভাবে করতে হবে; জিডিপিতে অর্ন্তভুক্তির জন্য জাতীয় হিসাব ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে হবে; গৃহস্থালীর কাজের ভার কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ; নারীর মজুরি বাড়ানো, যারা আয়ের পর খরচ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে; ঘরে বাইরে কাজ করার পর নারীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে; নারীর সব অবদান যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে; নারীদের প্রকৃত মর্যদা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রয়োজন আইন মতো, নীতি মতো এবং আসল চাহিদার সাথে মিলেয়ে বিবেক মতো সব কাজে এগিয়ে নিয়ে যাবো। মায়ের অবদান জাতীয় জিডিপিতে অর্ন্তভুক্তখাত হয়নি। নারীকে অবহেলা করে দূরে রেখে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কখনো সফল হবে না।...শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। নর বাহে হাল, নারী বহে জল, সেই জল মাটি মিশে’ ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে। সেদিন সুদূর নয়-যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়। বাংলার নারীর সার্বিক কল্যাণ হোক মঙ্গল হোক। বিশ্ব নারী দিবসে তাবৎ নারী তোমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
লেখক : অতিরিক্ত পরিচালক, ক্রপস উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
এইচআর/আরআইপি