মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করুন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৪:১৪ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। এর সাথে দ্বিমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেছেন গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। একই সাথে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সততা, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের একাদশ শ্রেণির (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ) শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের নবীন প্রজন্মকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ তারাই ভবিষ্যতে দেশকে সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এর সাথে আরো অনেক বিষয় যুক্ত করতে হবে। শিক্ষার সাথে অনেক বিষয়ই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিশেষ করে শিক্ষকদের জীবন-মান উন্নত না হলে মানসম্মত শিক্ষা দূরাশামাত্র।

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- শিক্ষকতা একটি মহান পেশা এই জাতীয় নীতিকথা আমরা শুনে আসছি বহুকাল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হলেও বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দিক থেকে তারা নানা বৈষম্যের শিকার অনেকদিন থেকেই। এখন সময় এসেছে বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়ার। বিশেষ করে আন্দোলন করে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে যেন কোনো দাবি আদায় করতে না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর সেটি নিশ্চিত করতে হলে মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন মেধাবীদের শিক্ষকতার পেশায় নিয়ে আসা। কিন্তু অন্যান্য পেশার চেয়ে শিক্ষকতা পেশায় যদি সুযোগ সুবিধা কম থাকে তাহলে মেধাবীরা কেন এই পেশায় আসবেন? শিক্ষকতা মহান পেশা-এই ধরনের নীতিকথায় তো আর পেট চলে না। এছাড়া শিক্ষকদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার দাবিও তো ন্যায্য। শুধু বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণিকে সন্তোষ্ট রাখার জন্য পে-স্কেল ঘোষণা নয় এক্ষেত্রে অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে যাতে শিক্ষকদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা কোনোভাবেই ক্ষুন্ন না হয়।

সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে। নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ৩০ কোটিরই বেশি বই জানুয়ারির ১ তারিখে বিনামূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে। বলা যায় এক মহাকর্মযজ্ঞ চলছে এক্ষেত্রে। কিন্তু এর সকলই ব্যর্থতার দিকে যাবে যদি শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য পাওনা না পান। অপরদিকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আগামী প্রজন্ম যেন সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে মনোবিশেষ করতে পারে সেদিকে জোর দৃষ্টি দিতে হবে।

এইচআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।