পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করুন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৪:১৮ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৭

আগামী ২ সেপ্টেম্বর পালিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে বসেছে পশুর হাট। পশুর হাটের ক্ষেত্রে নিরাপত্তারটি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এই সময় নগট টাকার লেনদেন অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টি, জালিয়াতচক্রের অপরাধীরা এই সময় আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোরবানির পশুর হাটের ইজারা এবং হাসিল আদায় নিয়েও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।

কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এরপরও নানা রকম অপতৎপরতা চলতেইই থাকে। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পশুর হাটকে কেন্দ্র করেও চলে নানা অপতৎপরতা। এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। গরু ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে। এদের অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া মলম পার্টির লোকজনও সক্রিয় হয় এ সময়। তারা সুযোগ বুঝে চোখে মলম লাগিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। অতীতে এরক ঘটনার অনেক নজির আছে। সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশুর হাটে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। ক্রেতা বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করে পছন্দের পশু কিনতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ঈদকে সামনে রেখে এই সময়টাতেই কোরবারি পশুর হাটের বিক্রি আরও বেড়ে যাবে। তাই এ সময় নগদ অর্থের লেনদেনও বেশি হবে। এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। পশুর হাটে জাল টাকার বিস্তার রোধেও নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। জালনোট সনাক্তকারী মেশিন থাকাটাও জরুরি।

কোরবানির পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জননিরাপত্তার স্বার্থে এটিই হচ্ছে এই মুহূর্তের করণীয়।

এইচআর/আইআই

‘ক্রেতা বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করে পছন্দের পশু কিনতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।