ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করুন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৪:০৫ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৭

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন পানির নিচে। এই মুহূর্তে বানভাসি মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ত্রাণ সহায়তা। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বন্যার্ত অসহায় মানুষের দুর্ভোগ যতটা কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী সরকার বন্যার্ত মানুষের পাশে আছে-এমন কথা বলেছেন। মানুষজন বাস্তবের এর প্রমাণ দেখতে চায়।

চলমান বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গত সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর মহাখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করে সারা দেশে ৩৩টি জেলা বন্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ত্রাণমন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যার্তদের পাশে পাশে আছি। বন্যা মোকাবিলা নিয়ে সবাই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২০টি জেলা বন্যা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত জেলাগুলোর ৩৬৫টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে সব মিলিয়ে অন্তত ৩৩টি জেলা বন্যাকবলিত হতে পারে। এ পর্যন্ত ৯০টি পানি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা প্লাবিত উপজেলায় ইতোমধ্যে ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন জানিয়ে বন্যা মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী মায়া বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি ছুটিসহ সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যা প্রলম্বিত হলেও খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীর অভাব হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পূর্বের বন্যাসহ এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বার বারই মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। এবারের দুর্যোগেও সেই পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধু সরকার নয় বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বন্যার সময় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। সময়মতো ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহ করাও অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া বন্যার পানি চলে যাওয়ার পরও দেখা দেয় ডায়রিয়াসহ নানা রোগব্যাধি। এ জন্য খাওয়ার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। বন্যার্তদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। বন্যার্ত এলাকায় জানমাল রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

এইচআর/এমএস

‘বন্যার্ত এলাকায় জানমাল রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।