পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সাধারণ মানুষের রাজনীতিকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে

মাসুদা ভাট্টি
মাসুদা ভাট্টি মাসুদা ভাট্টি , সাংবাদিক, কলামিস্ট
প্রকাশিত: ০৩:২০ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বাংলাদেশে যে ভয়ঙ্কর ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং তার ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি হয়েছে তা হলো, এদেশে আর রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকেনি, তা চলে গেছে অ-রাজনৈতিক ক্ষমতালোভীদের হাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত বংশধর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণের পর বহু চেষ্টা করেছেন রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে আনতে কিন্তু তিনি যে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন, সেকথা জোর দিয়ে বলা যায় না। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে আমরা দেখতে চাই কী করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ভেতর দিয়ে রাজনীতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হাতছাড়া হলো এবং কুক্ষিগত হলো রাষ্ট্রের ক্ষমতাবলয়ের হাতে।

বঙ্গবন্ধুর যারা কট্টর শত্রু ও সমালোচক পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অনেক মিথ্যাচার করেছেন বিভিন্ন সময়ে, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হনন করেছেন কিন্তু একটি কথা তিনিও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন যে, রাজনীতিতে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর তুলনায় দুধের শিশু। জনগণের রাজনীতি বুঝতে জনগণের কাছে যেতে হয়, তাদের সঙ্গে মিশতে হয় এবং তাদের কাতারভুক্ত হতে হয়, যেটি ভুট্টোসহ সেই সময়কার এলিট রাজনৈতিক শ্রেণিটি কখনওই বুঝতে পারেনি।

এমনকি জওয়াহেরলাল নেহরু বা জিন্নার ক্ষেত্রেও এই অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা আসলে সাধারণ্যে মিশতে পারতেন না এবং সাধারণ জনগণের রাজনীতি বুঝতে পারতেন না। সে কারণে অবিভক্ত ভারতে এবং তারপর স্বাধীন পাকিস্তান ও ভারতে রাজনীতি ছিল ‘টপ টু বটম এ্যাপ্রোচ’ অর্থাৎ ওপর থেকে নির্দেশ যেতো নিচের নেতৃত্বকে সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হতো আর সাধারণ জনগন তা নির্দেশের মতো পালন করতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ গঠন করা থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নেহরু-জিন্না-ভুট্টোদের সেই রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে করে দিলেন ‘বটম টু টপ এ্যাপ্রোচ’ বা সাধারণ জনগণ যা চাইবে সেটাকেই কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা বা আইনকে সেভাবেই তৈরি করায়।

বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাতে এই উপমহাদেশে যে রাজনীতির গোড়া পত্তন হয়েছিল রাতারাতি তা থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি শুরু করতে পারাটা বঙ্গবন্ধুর জন্য খুব সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু তিনি পেরেছিলেন কারণ সমাজ ও রাষ্ট্রকে বুঝতে হলে যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সখ্য গড়তে হবে সবার আগে সেটি তিনি আয়ত্ব করেছিলেন নিজগুণে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বা কারাগারারের রোজনামচায় আমরা দেখতে পাই যে, বঙ্গবন্ধু বার বার সাধারণ মানুষের কথা বলছেন, তাদের সঙ্গে মেশার গল্প করছেন, তাদের জীবনের গল্প লিখছেন নিজে সাধারণ না হলে আরকেজন সাধারণের সঙ্গে সহজভাবে মেশা সম্ভব নয়, বঙ্গবন্ধু সেটা প্রমাণ করেছেন। আর সে কারণেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে একেবারে শুরু থেকেই সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন এবং বার বার তিনি বলেছেন যে, তিনি শোষিতের পক্ষের মানুষ, শাসিতের দলে তিনি নন। এটা কেবল মুখের কথা নয়, তিনি এটি করে দেখিয়েছেন।

আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তির যে সকল স্মৃতিচারণ পাই তাতে বার বার উল্লেখ আছে তিনি কি অনায়াসে সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে ধরতে পারেন এবং কতো হাজার হাজার নেতাকর্র্মীর নাম তার মুখস্ত ছিল, এমনকি কার মেয়ের বিয়ে হয়েছে, কার ঘর ভাঙছে সেসবও তিনি মনে রেখে দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে সেসব মেরামতে ব্যবস্থাও নিয়েছেন। একজন সাধারণ্যের রাজনীতিবিদ না হলে এটা তার পক্ষে কখনও সম্ভবপর হতো না, এমনকি আজকে একথাও জোর দিয়ে বলা যায় যে, সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে তিনি কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতেন? তার ক্ষমতা কতোটা স্থিতধি ছিল যে, তার অনুপস্থিতিতেও একাত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তারই নামে। এরকম ঘটনা পৃথিবীর খুব কম নেতার ক্ষেত্রেই হয়েছে, বস্তুতঃ আর কোনো নেতার জীবনীপাঠেই আমরা এরকম কোনো সাক্ষ্য পাই না।

এমনকি বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্রের কার্যভার গ্রহণ করলেন তখনও তার কাছে মানুষের যাতায়াত ছিল অবারিত। কথায় কথায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারতেন এমন মানুষের সংখ্যা এখনও অগণিত এবং তাদের সকলেরই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি। কী অসাধারণ সব স্মৃতি, বঙ্গবন্ধু কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন, কাউকে শাড়ি দিয়েছেন, কারো বিয়ে দিয়েছেন, কারো সংসার বাঁচিয়ে দিয়েছেন উদাহরণ দিতে গেলে শেষ হবে না। সেই বঙ্গবন্ধুকে যখন রাতের অন্ধকারে সপরিবারে হত্যা করা হলো, চর দখলের মতো করে দখল করা হলো রাষ্ট্র ক্ষমতা, যে ক্ষমতা আসলে পাকিস্তানের হাত থেকে তারই ছিনিয়ে আনা, তখন কী দেখা গেলো?

দেখা গেলো সর্বত্র অরাজকতা আর অসহিষ্ণুতা। যে কেউ বন্দুকের নল ঠেকিয়ে যে কোনা কিছু করে ফেলতে পারে। হয়েছেও তাই, বন্দুক হাতে রেডিওতে গিয়ে কিছু একটা ঘোষণা দিলেই তা মেনে নিতে হতো জনগণকে। রাজনীতিবিদদের কয়েকজনকে সামনে রেখে সেনা বাহিনী ক্ষমতা দখল করলেও কয়েকদিনের মধ্যেই রাজনীতিবিদদের সম্পূর্ণ চাকর বানিয়ে ফেলা হলো। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই অরাজকতা তৈরিতে যেমন সেনা বাহিনী যুক্ত ছিল তেমনই রাজনীতিবিদদের সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে দখলের পর যখন রাজনীতিতে সম্পূর্ণভাবে নেমে পড়লো সেনা বাহিনী তখন দেখা গেলো, রাজনীতিতে নতুন নতুন চেহারা, যাদেরকে জনগণ কখনও দেখেনি।

জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভা দেখুন, দেখুন এরশাদের মন্ত্রিসভা, ক’জনকে রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণ তখন চিনতো? আজকাল অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত নয় বলে বুলি কপচান, যতো প্রমাণই দেন না কেন তাদেরকে বোঝানো যাবে না, কারণ তারা সেটাই বিশ্বাস করতে চান। হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে হত্যাকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষাতো করেইছেন সেই সঙ্গে রেডিও স্টেশন ও বঙ্গভবনে খুনিদের যে মজমা তাতেও মধ্যমণি ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পরতো তিনি রাষ্ট্রপতি, একের পর এক অধ্যাদেশ দিয়ে তিনি রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, যে রাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের কোনো বক্তব্য নেই, অংশগ্রহণ নেই, নেই কোনো অধিকারও। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে, ক্ষমতাকে যাচ্ছেতাই ভাবে ব্যবহার করে, সেনা ছাউনিতে বসে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাস্তার পাগলটির পক্ষেও সেটা সম্ভব, আর জিয়াউর রহমানতো রাষ্ট্রপ্রধান, সেনা প্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, পদাধিকার বলে আরো কতো কি!!

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাতের নাগালচ্যুত হলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। যাকে-তাকে, যখন-তখন চাইলেই যে রাষ্ট্রের কিছু একটা করে ফেলা যায় তা শুরু হলো জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। আর রাজনীতিবিদদের কেনা বেচাও শুরু হলো তখন। এর আগে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ক্রয় করারও প্রয়োজন পড়েনি, বিক্রিরও নয়। এই বিক্রিবাট্টার ভেতর রাজনীতি ছিল না ছিল কি করে ক্ষমতাকে আরো কেন্দ্রীভূত করা যায়, কী করে রাজনীতিবিদদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া যায়। দীর্ঘ এক দশক প্রায় এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা বলতে গেলে বন্ধ ছিল।

শাসক জিয়াউর রহমান ঘরোয়া রাজনীতি নামে এক ধরনের উদ্ভট রাজনীতি চালু করলেন, যার প্রচলন আজও দেখি আমরা, গোপনে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তখনও এরকমটাই ঘটেছে, সবার অগোচরে রাতের বেলা রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। জনগণ জানতেও পারতো না তাদের ভাগ্য নিয়ে কী খেলা চলছে। জনগণের অজান্তেই ক্ষমতা হাত বদল হয়েছে, কেউ জানতেও পারেনি। সকাল হলে সমন জারি করে বলা হয়েছে এক সেনা শাসককে খুন করে আরেক সেনা শাসক ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশ যেনো একটি জেগে ওঠা চর, এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, এদেশ স্বাধীন নয়, এদেশের মানুষকে জীবন দিয়ে একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে হয়নি, শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে রাষ্ট্র দখল করে জনগণকে করে রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ জিম্মি। আর এসব সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ফলে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে জনগণকে কোনো ভাবেই এভাবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করা যেতো না।

এরপর এরশাদ শাহীর রাজনীতি দেখুন? পুরোটাই রাজনীতি থেকে রাজনীতিবিদদের সরিয়ে দিয়ে জিয়ার আমলের ব্যবসায়ী-আমলা-সেনা কর্মকর্তা রাজনীতিবিদদের পুনর্বাসন ও নতুন সংযোজন। এবং তারপর সেনা বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নেয়া বিএনপি বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসে পুরোপুরি রাজনীতি-বিমুখ একটি শ্রেণি তৈরি করেছে যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো ধরনের যোগাযোগই তৈরি হয়নি কোনোদিন। বেগম জিয়া, বেগম জিয়ার বোন চকলেট আপা, তারেক জিয়া এদের কারোরই কি রাজনীতিতে কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছিল? ছিল না। ফলে রাজনীতি নিয়ে যারা সমালোচনায় পঞ্চমুখ তারা একটা সূত্র পেয়ে গেলো যে, চাইলে তারাও রাজনীতিতে আসতে পারেন বিশেষ করে সুশীলরা। যারা কথায় কথায় রাজনীতিবিদদের কারণে দেশটা গোল্লায় গেছে বলে সুর তোলেন অথচ নিজেরা বিদেশি সাহায্য নিয়ে দেশটার সম্পদকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেন, অর্থ পাচার করেন বিদেশে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্যাক্স ফাঁকি দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে তারা সেই যে রাজনীতির লোভ পেলেন আর তারা সেটি ছাড়তেই চাইলেন না, এখনও তারা সমানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কী করে রাজনীতিবিদদের হাত থেকে রাজনীতিকে কেড়ে নিয়ে তারা নিজেরাই অনির্বাচিত শাসক হবেন বা ক্ষমতায় যাবেন না টিকে থাকবেন। মোটকথা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বাংলাদেশে প্রকৃত রাজনীতির বাইরে, জনগণকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন ক্ষমতাবলয় তৈরি হয়েছে যে বলয়ের কুশীলবরা হচ্ছেন এক. সেনা শাসকগণ (জিয়া ও এরশাদ), দুই. সেনা শাসকের হাতে তৈরি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি, তিন. জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র ফ্রিডম পার্টি, চার. সাবেক আমলা ও সেনা কর্মকর্তাবৃন্দ, পাঁচ. ব্যবসায়ী ও কালো টাকার মালিক, ছয়. এনজিও-ব্যবসায়ী এবং সর্বশেষ একদল নামধারী সাংবাদিক। শেখ হাসিনা শত চেষ্টা করেও কি এদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারবেন?

১৯৯১ সালে তিনি চেষ্টা করেছিলেন প্রকৃত রাজনীতিবিদদের মনোনয়ন দিতে কিন্তু তার বিপরীতে বেগম জিয়া মনোনয়ন দিয়েছিলেন অর্থশালী, বিত্তশালী ও ক্ষমতাবানদের, ফলাফলতো হাতেনাতেই পাওয়া গিয়েছিল। একানব্বই সালের নির্বাচনে যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ ব্যয় হয়েছিল তা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে পাওয়া যাবে কারণ সেই অর্থ ব্যয় করেছিল বিএনপি এবং সেটা আওয়ামী লীগের বিপক্ষেই। সে কারণেই একথা তথ্য ও যুক্তি-প্রমাণ দিয়েই প্রমাণ করা সম্ভব যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ আসলে রাজনীতি থেকে বিচ্যুৎ হয়েছিল, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রাজনীতিকে কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রকে তুলে দেওয়া হয়েছিল ক্ষমতাবানদের হাতে, বাংলাদেশ সে ক্ষতি আজও পুষিয়ে উঠতে পারেনি, কখনও পারবে না কিনা সম্পূর্ণভাবে সেটাও নিশ্চিত নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

[email protected]

এইচআর/জেআইএম

‘বন্দুক হাতে রেডিওতে গিয়ে কিছু একটা ঘোষণা দিলেই তা মেনে নিতে হতো জনগণকে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।