জঙ্গিমুক্ত করতে হবে দেশকে


প্রকাশিত: ০৬:১১ এএম, ০১ জুলাই ২০১৭

গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস হামলার এক বছর পূর্তিতে নতুন করে শপথ নিতে হবে। গত বছর এই দিনে এক বীভৎস জঙ্গিবাদী হামলায় ২০ জন নিরীহ দেশি-বিদেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন। নৃংশস এই হামলার পর শোকে বিহ্বল মানুষ জঙ্গিবাদবিরোধী মিছিলে শামিল হয়। সরকারও কঠোর হয়। জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য দেখায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশকে জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প থেকে এখনো পুরোপুরি মুক্ত করা যায়নি। তাই আজকের দিনে নতুন করে শপথ নিতে হবে জঙ্গিবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে।

হলি আর্টিসানে হামলার পর দেশে যে জঙ্গিবাদবিরোধী মনোভাব তৈরি হয় সেটি কাজে লাগাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি দমনে যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিচ্ছে। গত এক বছরে জঙ্গিদের অনেক অপতৎপরতা নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে।তবে মনে রাখা প্রয়োজন জঙ্গিবাদ দমন শুধু আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়। এর আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক নানা দিক রয়েছে। এ কারণে সকল পক্ষেরই জঙ্গিবাদ দমনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

হলি আর্টিজান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও এর নেপথ্যে কারা আছে সেটি খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি। এক বছর পরও তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। তাই অবিলম্বে মামলার চার্জশিট দিয়ে বিচার কাজকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হাতে দেশি-বিদেশি নাগরিক যারা সেদিন জঙ্গি হামলায় জীবন দিয়েছেন। তাদের স্বজনদের প্রতিও জানাই সহমর্মিতা। এই ধরনের নৃশংসতম রাত যেন আর না আসে সেজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। যে কোনো মূল্যে জঙ্গিমুক্ত করতে হবে বাংলাদেশকে।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।