পোশাকশ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করুন


প্রকাশিত: ০৪:০৭ এএম, ২২ জুন ২০১৭

ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতি বছরই এ ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও এ থেকে বের হওয়ার কোনো প্রচেষ্টা নেই বললেই চলে। অথচ এ নিয়ে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দেয়। অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। যা পোশাকশিল্পের জন্য ক্ষতিকর।তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মালিকপক্ষকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। পোশাককর্মীরা যাতে কোনো অবস্থায়ই বঞ্চিত না হয় নিশ্চিত করতে হবে সেটি।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের ভাতা দেওয়ার। কিন্তু সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের পোশাককর্মীরা এখনো পুরোপুরি বোনাস পায়নি। তাছাড়া বোনাস দেওয়ার হারও কোথাও কম কোথাও বেশি। শ্রমিকরা এখনো ২০১৩ সালের মজুরি বোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। অথচ নতুন বেতনকাঠামোয় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হয়েছে অনেক আগেই। সরকারি খাতের শ্রমিকেরা সেই সুযোগ পেলেও বেসরকারি খাতের শ্রমিকরা তা পাচ্ছেন না। এছাড়া মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কারখানার মালিক তা মানেন না। এই বৈষম্য শ্রমঘন পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে-এটি মালিকপক্ষের মনে রাখা উচিত।

সময়মত বেতন বোনাস না হলে শ্রমিকদের ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিবে। এ কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হবে। শ্রমঘন-পোশাকশিল্প মালিক-শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক-এটিই প্রত্যাশা।

এইচআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।