রাউধার মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করুন
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল কন্যা রাউধা আতিফের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ করবস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) উত্তোলন করেছে মরদেহ। এর আগে গত ৩১ মার্চ রামেক হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও বারিন্দ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড রাউধার ময়নাতদন্ত করে। রাউধা ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন’ উল্লেখ করে পরদিন বোর্ড প্রতিবেদন দেয়।
গত ২৯ মার্চ বেলা ১১টার দিকে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রীনিবাসের দ্বিতীয় তলার ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধা আতিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে। তার বাবা মোহাম্মদ আতিফ পেশায় একজন চিকিৎসক। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই কক্ষে ওঠেন রাউধা। এনিয়ে ওই দিনই হাসপাতালের সচিব আব্দুল আজিজ রিয়াজ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
রাউধার মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করাটা অত্যন্ত জরুরি। অন্য একটি দেশ থেকে রাউধা এদেশে পড়তে এসেছিল। তার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট সকলের। কিন্তু ডাক্তার হওয়ার জন্য পড়তে আসা রাউধাকে অকালে চলে যেতে হয়েছে। রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ কিছুতেই এই মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে মানতে রাজি নন। মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাউধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় ভারতের কাশ্মিরের বাসিন্দা ও রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহমুদকে (২১) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে এবং দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করবো অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধেও নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এইচআর/জেআইএম