গণহত্যা দিবস ও বিভ্রান্ত নতুন প্রজন্ম


প্রকাশিত: ০৬:৪৮ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৭

২০০৪ সালের ডিসেম্বরের কোন এক বিকেলে নিউমার্কেট গিয়েছিলাম বিয়ের বাজার করতে। বিয়েটা আমারই। সঙ্গে হবু স্ত্রী। তালিকা মিলিয়ে সব কেনাকাটা শেষ। বাদ পড়েছে চুড়ি। এই চুড়ি কিনতেই গাউছিয়া মার্কেটে যাওয়া। গাউছিয়ায় ঢুকেই বামদিকে সারি সারি চুড়ির দোকান। ক্রেতা দেখেই সব দোকান থেকেই হাকাহাকি ডাকাডাকি শুরু হয়ে গেল। এমনিতেই বিয়ের বাজার করতে করতে পকেট খালি প্রায়। তারপরও বিয়ে করতে যাওয়া হবু স্ত্রীর বায়না। সব মিলিয়ে বেশ তাতিয়ে আছি আমি। তার ইচ্ছেয়ই একটা দোকানে ঢুকলাম। চারদিকে হাজার হাজার চুড়ি আর অতি উজ্জ্বল আলোকসজ্জা। দোকানে বসে আছে দুজন। মালিক একজন মাঝবয়সী ভদ্রলোক আর পনের থেকে ষোল বছর বয়সী এক কর্মচারী। কর্মচারীটিই স্বতঃস্ফূর্তভাবে চুড়ি দেখানো শুরু করলো। যেগুলোই দেখায় আমার হবু স্ত্রীর তা পছন্দ হয় না। এরপর কিশোর ছেলেটি বললো, ‘আপা আমার কাছে ভালো কিছু মাল আছে। বিদেশি, এগুলো নেন। আপনার পছন্দ হবে। তবে দাম বেশি পড়বে।’ স্ত্রী বললো দেখান। ছেলেটিও ভেতরের বক্স থেকে কিছু চুড়ি নিয়ে এলো। হবু দেখছেন, আমিও। তেমন একটা জুতের মনে না হওয়ায় বললাম, এগুলো তো কোন কোয়ালিটিফুল জিনিস না। তবে দাম বেশি কেন?

ছেলেটি বললো এগুলো পাকিস্তান থেকে আসছে তাই এর দাম বেশি। পাকিস্তানি পণ্য শুনে হবু স্ত্রীকে বললাম, না আমি পাকিস্তানি পণ্য কিনবো না। - কেন কিনবেন না? প্রচণ্ড রেগে চিৎকার করে উঠলো ছেলেটি।

বললাম ‘পাকিস্তানের সব কিছুই আমি বর্জন করি। আর আমি ক্রেতা। কেনা এবং না কেনার স্বাধীনতা আমার নিজের কাছেই। ’ স্ত্রীকে বললাম অন্য দোকানে চলো। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি সিনেমার মত সামনের সেলফে রাখা বেশ কিছু কাচের চুড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে ভেঙে ফেললো। তার এ আচরণে আমরা দুজনেই হতভম্ব। ততক্ষণে চুড়িতে ওর হাত কেটে আঙ্গুল গড়িয়ে রক্ত পড়ছে। আঙ্গুলে তুড়ি দিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে আমার দিকে সেই রক্ত ছিটিয়ে দিতে দিতে বললো, ‘সেদিন আর নাই, প্রয়োজনে আবার রক্ত ঝড়বে’।  ছেলেটির রক্তে যেন মিশে আছে ৭১ এর পাকিস্তানের সেই হিংস্র দানব। কয়েকফোটা রক্ত এসে আমার শার্টেও লাগলো।

ছেলেটি সেদিন কোন যুদ্ধের কথা বোঝাতে চেয়েছিল সে প্রশ্ন আজও মনে ঘুরপাক খায়। ২০০৪ সালের সে সময়টায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায়। রাষ্ট্রের প্রধান দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তখন দুই যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরের দিন থেকে দেশজুড়ে যে অবাধ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ভাঙচুর সহিংসতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম অত্যাচার চলেছে তার ক্ষত তখনও শুকোয় নি।

পিছিয়ে যাই আরও আগে, ১৯৯২ সালে। সেবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে পাকিস্তান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সময়টিতে রমজান চলছিল। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মাগরিবের নামাজ শেষে ইফতার শেষ না করেই মসজিদ ফেরত মুসুল্লিদের ‘পাকিস্তান’ ‘পাকিস্তান’ বলে মিছিল করতে দেখেছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে উড়েছে পাকিস্তানের পতাকা। খেলার মাঠে দেখেছি প্লেকার্ড হাতে বহু সুন্দরীর ‘আফ্রিদি মেরি মি’ আহ্বান। আজকাল ফেসবুক খুললেই যত বিকৃত ছবি, বাংলাদেশ নিয়ে বিকৃত মিথ্যাচার, রক্তাক্ত ছবি দেখি সেগুলো এই নতুন প্রজন্মের পাকিস্তান প্রেমিকদেরই কাজ।

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এসে এ বছর থেকে বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে এ প্রস্তাবটি পাশ হবার পর সরকার এটিকে আর্ন্তজাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জোর লবিং শুরু করেছে। এ মাসেই সরকারের হয়ে প্রতিনিধি জাতিসংঘে পাঠানো হচ্ছে। বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলো যারা একাত্তরে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিল তাদেরও সমর্থন নেওয়া হবে দিবসটি পালনের বিষয়ে। কিন্তু এদেশেই এখনও স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া পক্ষটির সংখ্যা কম নয়। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার করে এসে এখনও বংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস দুটি ধারায় বিভক্ত। এখনও অফিসে রাস্তায় বাসে হাটে ঘাটে এই চুড়ির দোকানের ছেলেটির মত নতুন পুরাতন প্রজন্মের অনেক পাকিস্তান প্রেমিক বা সমর্থক চোখে পড়ে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বললেই এখনও তারা তেড়ে আসে।

দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াত ও এদের সমর্থকদের অবস্থান ষ্পষ্টই পাকিস্তানের পক্ষে। এত বড় একটি উদ্যোগের ক্ষেত্রে তারা নীরবতা পালন করছে। বর্তমানে প্রকাশ্যে না পারলেও আড়ালে আবডালে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলছে দেশের বিএনপি জামায়াত সমর্থকদের বড় একটি অংশ।

৭১ সালে সংগঠিত মানবতা বিরোধী হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতে পারে না। কিন্তু পাকিস্তান তো আজ অবধি স্বীকারই করে নি যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল। তাদের সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে যত রাষ্ট্রীয়ভাবেও তারা এ বিষয়টিকে সুকৌশলে এড়িয়ে গেছে। পক্ষান্তরে ১৯৭১ সালে খুন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত এদেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হওয়ায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানে তাদের পক্ষে মিছিলও হয়েছে। পাকিস্তানের সংসদে নিন্দাও জানানো হয়েছে। গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ এক বিবৃতিতে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদ ও বিএনপির যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ায় গভীর নিন্দা জানায়। মানবতা বিরোধী অপরাধে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে অনৈতিক আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানানো হয় তাদের সংসদে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিটি ফাঁসিতে তারা নিন্দা প্রকাশ করে। পাকিস্তান বাংলাদেশের শত্রু। তাদের কাছ থেকে এটা আশা করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের পক্ষ হয়ে যারা কথা বলছেন তারা কেন এসব করছেন?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটি নিয়ে কয়েকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি শহীদদের অবমাননা করেছেন। শুধু তাই নয়। এসব প্রপাগান্ডার মাধ্যমে তিনি নিজ দলের তরুণ প্রজন্মকে সত্যিকারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাদের কাছে গণহত্যা বিষয়টি নিয়ে সমর্থন পাওয়া যাবে কিনা সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়। এখনও এই দলদুটোর মধ্যে ঘুরে ফিরছে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। রক্তলোলুপ হায়েনা।

এ বিষয়ে কথা হচ্ছিলো প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব;) এর সঙ্গে। তিনি বলেন,  বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থানকারী পক্ষটি এখনও বিলীন হয়ে যায়নি। রাজনৈতিকভাবে তাদের কোন স্পেস বর্তমানে না থাকলেও ভিতরে ভিতরে তাদের প্রচারণা প্রপাগাণ্ডা এখনও চলমান।  বিএনপি জামায়াতের পেছনে পাকিস্তানের একটি প্রচ্ছন্ন ছায়া রয়েছে। আর এ কারণেই দলদুটো কখোনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন ষ্পষ্ট অবস্থান নিতে চায় না।

অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায় পাকিস্তানের পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়েই ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম, মওলানা আবদুর রহিম ও এ কে এম ইউসুফ- এই তিন জামায়াত তথা বদর রাজাকার ও শান্তি কমিটি নেতা পাকিস্তান চলে যান। সেখানে যেয়ে লাহোরে ১৯৭২-এর ১৫ জানুয়ারি গোলাম আযম গঠন করেন `পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি`। গোলাম আযমের নেতৃত্বে সপ্তাহব্যাপী পাকিস্তানের বাঙালি ও বিহারি অধ্যুষিত স্থানে মিছিল, সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। ভুট্টো তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তারও লক্ষ্য একই। ভুট্টোর অর্থায়নে গোলাম আযম পাকিস্তানে এসব কর্মসূচি পালন করেন। এরপর মুসলিম দেশগুলোর সমর্থনলাভে ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার জন্য সফর শুরু করেন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবেই, পাকিস্তানি পাসপোর্টে। ১৯৭২-৭৩ সালে তার প্ররোচনায় সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কোনো হজযাত্রী তার দেশে ঢুকতে দেয়নি । ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত `বিশ্ব ইসলামী যুব সংস্থা` আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইসলামি যুব সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে গোলাম আযম স্পষ্টভাবেই বলেছেন, `হিন্দুস্থান দখল করে নিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। সেখানে মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদগুলো মন্দিরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। `

অথচ এই গোলাম আযমকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী প্রজন্ম তৈরি করতে এরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে বাংলাদেশ যদি আর্ন্তজাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি আদায় করতে পারে সেক্ষেত্রে পাকিস্তান চাপে পড়বে। এ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ স্বীকৃতি আদায় করতে পারলে পাকিস্তান দুই ধরনের চাপে পড়বে। প্রথমত মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে সব সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল তাদের বিচার তাদের নিজ ভূমিতেই করতে হবে। আর তারা যদি সেটা না করে তবে আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালে নিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে এই বিচার কার্য পরিচালিত হতে পারে।’ যেহেতু পাকিস্তান চাপে পড়বে সে কারণে সঙ্গত কারণেই পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট এদেশের রাজনৈতিকদলগুলো এর বিরোধিতা করবে অথবা নিশ্চুপ থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।

ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা. এম এ হাসান বলেন, জেনেভা কনভেনশন ও জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী গণহত্যা বলতে সমষ্টির বিনাশ ও অভিপ্রায়কে বোঝায়। এই গণহত্যা বলতে বোঝায় এমন কর্মকাণ্ড, যার মাধ্যমে একটি জাতি, ধর্মীয় সম্প্রদায় বা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয় এবং এসংক্রান্ত অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৬০(৩)-এর অধীনে গণহত্যাকে এমন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বময় প্রতিরোধে সব রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। সংজ্ঞা অনুযায়ী গণহত্যা শুধু হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

এক্ষেত্রে জাতিগত, গোষ্ঠীগত বা ধর্মগত নিধনের উদ্দেশ্যে যদি একটি লোককেও হত্যা করা হয় সেটাও গণহত্যা। যদি কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা বিশেষ ধর্মের মানুষের জন্ম রুদ্ধ করার প্রয়াস নেওয়া হয় বা পরিকল্পিতভাবে বিশেষ জাতি ও গোষ্ঠীভুক্ত নারীর গর্ভে একটি ভিন্ন জাতির জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেটাও গণহত্যা। তবে শেষের বিষয়টিকে ‘জেনোসাইডাল রেপ’ বলা হয়। সব গণহত্যাকেই Organized crime হিসেবে প্রমাণ করতে হয়। আর সভ্যতাবিনাশী এ প্রবণতাকে রোধ করার জন্যই রচিত হয়েছে ‘জেনোসাইড কনভেনশন’।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের  ভয়াল ২৫ মার্চ ছিলো মানব মর্যাদার উপর আঘাত। এই গণহত্যার বিচার পাকিস্তান যদি তার ডোমেস্টিক কোর্টে না করে তবে ইউনির্ভাসেল ডিক্লারেশনের আওতায় তাদের বিচার আন্তর্জাতিক কোর্ট গুলোতে করা যাবে, এক্ষেত্রে যারা এসব যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের উপর চাপ আসবে অনেক, তারা অনেক দেশে ভ্রমণ করতে পারবে না অনেক দেশে আশ্রয় নিতে পারবে না যদি আশ্রয়েও থাকে তবে ডিক্লারেশনের আওতাভুক্ত দেশগুলো তাদের বিচার করা যাবে, ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে, যুদ্ধে নিখোঁজ  ব্যক্তিদের বিষয়েও এসব আদালতে অভিযোগ করা যাবে।

লেখক : সাংবাদিক।

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।