‘ভাষা একটি মাধ্যম মাত্র, জ্ঞানই আসল’


প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মাতৃভাষা কাকে বলে? উত্তর, "মায়ের মুখনিঃসৃত ভাষাকেই মাতৃভাষা বলা হয়।" মাতৃভাষার এই সংজ্ঞাটি রাষ্ট্রভাষায় দেয়া আছে। রাষ্ট্রভাষা মূলত লিখিত ভাষা যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় যাবতীয় কর্মকাণ্ড সাধিত হয়। আমাদের বোঝার সুবিধার্থে এই সংজ্ঞাটিকে যদি  আরেকটু সহজ করে বলি তাহলে সংজ্ঞাটি দাঁড়ায় "মায়ের মুখের কথাই মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষা।" কত সহজ কথা, অথচ হঠাৎ কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয়, "মাতৃভাষার সংজ্ঞা কি?" সে বিব্রত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে সে যদি হয় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়া প্রাথমিক শ্রেণির কোন ছাত্র/ ছাত্রী। কারণ আমাদের প্রশ্নকারীরাও এমন একটা ভাব নিয়ে প্রশ্ন করেন, যে বেচারা উত্তর দেবেন তিনি জানা জিনিসও গুলিয়ে ফেলেন।

যেমন এমন একটা ভাব নিয়ে বলবেন, "আমরা একটু আপনার আই কিউ পিরীক্ষা করতে চাই!" হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জটিল মুখাবয়ব ধারী কিছু প্রশ্নকারী সহজ সরল একটি প্রশ্নকে জটিল করে তোলার সাথে সাথে যিনি উত্তর দেবেন তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস একেবারে শূন্যে নামিয়ে তার হৃদযন্ত্রের বারটা বাজিয়ে ছাড়েন। এবার সমস্ত মিডিয়াতে প্রচার করেন আমাদের জিপিএ ফাইভ পাওয়া ছেলে মেয়েদের একটা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোন যোগ্যতা নেই, এদের বাংলা শিক্ষা প্রয়োজন। এইসব প্রশ্নকারীদের দেখে আইনস্টাইনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো সেদিন। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। হঠাৎ এক সাংবাদিক প্রশ্ন করল-

"স্যার, আপনি কি জানেন ১ মাইলে কত কিলোমিটার?"
আইনস্টাইন বললেন- "না, আমি জানি না।"
সাংবাদিকটি সবিস্ময়ে বললো- "সেকি! আপনি এত বড় বিজ্ঞানী অথচ এটাও জানেন না?"
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন- "যে তথ্য রেফারেন্স বই ঘেঁটে দুই মিনিটের মধ্যে বের করা যায় সেই তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখতে যাব কেন? আমি মস্তিষ্ক ব্যবহার করি চিন্তাভাবনার জন্য, অর্থহীন জ্ঞানের গুদাম হিসেবে নয়৷"

যাই হোক বাংলা ভাষা বিষয়ক এবং উচ্চ শিক্ষায় বাংলার আবশ্যকীয়তার আলোচনায় অনেকেই বাংলা ভাষাকে ধ্বংসের এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও আমাদের সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় জীবনে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব বর্জনের লক্ষ্যে ইংরেজি বর্জন করে বাংলাকে গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন লেখকরা নানা বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন  বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কিভাবে বিদেশি ভাষা বর্জন করে নিজ ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। জাতি হিসেবে আমাদের একটা বড় সমস্যা আছে, সেটা হল আমাদের চিন্তায় স্বচ্ছতার অভাব। আমাদের দেশের অর্ধেক বাণিজ্য হয় পশ্চিমের সাথে, আর আমাদের ইংরেজি ভাষা বর্জন করা উচিত? বাংলাদেশের  বৈদেশিক আয়ের অন্যতম রপ্তানি গার্মেন্টস শিল্পের অস্তিত্ব কোথায় থাকতো আজ ইংরেজি ছাড়া? বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভাষা তো বাংলা নয়, হচ্ছে ইংরেজি। আর তাছাড়া  অর্থনৈতিকভাবে আমাদের রাষ্ট্র মোটেই স্বাবলম্বী নয়; বরং তার পরনির্ভরতা বাড়ছে। ঋণ সাহায্য এনজিও তৎপরতার উৎস-সবই রয়েছে বিদেশে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারিত হয় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফের নির্দেশ অনুযায়ী, এদের ভাষা বাংলা নয়। তাহলে কিভাবে বলি আমাদের বাংলা শিক্ষায় জোর দিতে হবে,  ইংরেজিতে নয়?

কেন ইংরেজি ভাষায় কি নিজের সংস্কৃতি শেখা যায় না? প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে  বাংলা ইংরেজি দুটো ভাষাকেই শুদ্ধভাবে লেখা এবং পড়ার উপর জোর দেয়া উচিৎ নয়? সেইসাথে শিশুদের সাহিত্য সংস্কৃতির শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের দেশীয় এবং উপমহাদেশীয়  বিভিন্ন কবি, লেখক এবং দার্শনিকদের উপর কিছু প্রাথমিক ধারণা দেয়া যেতে পারে। এরপর মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে এইসব ছাত্রছাত্রীরাই অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য প্রজেক্টে কাজ করবে। ধরা যাক মাধ্যমিক স্তরের প্রথম ছয় সপ্তাহের বাংলা  প্রজেক্টের টাইটেল "স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কবি নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা"!  এখন এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কবি নজরুল সম্পর্কে পড়বে। এরমধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানবে।

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের গান এবং কবিতা কিভাবে বাংলার সৈনিকদের সাহস এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলো সে সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েই যুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা, সৈনিকদের নাম, হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ইত্যাদি ঘটনাগুলোর একটা প্রতিচ্ছবি তাদের মনে তৈরি হবে। এই একইভাবেই তারা এও জানবে নজরুলের কবিতা আর গান কেবল বাংলার সৈনিকদের নয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ভারতীয় সৈনিকদেরও নানা সময়ে  নানাভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলো। ইংরেজিতেই ভূগোল পড়ুক, কিন্তু বাংলাদেশের ভৌগোলিক মানচিত্র, জলবায়ু ইত্যাদি সম্পর্কে পড়াবে।

ইতিহাস যদি ইংরেজিতে হয় হোক, কিন্তু তা ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের এবং ভারতবর্ষের ইতিহাস হতে হবে। এর পাশাপাশি বিশ্বযুদ্ধ ও বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ের বিবরণ তুলে ধরা হবে। যেমন আয়ারল্যান্ডে প্রাথমিক শ্রেণি থেকে ছাত্র/ ছাত্রীরা আইরিশ ইতিহাসের উপর গ্রুপ প্রজেক্টে কাজ করে। যেসব জায়গায় প্রথম আক্রমণ হয়েছিলো, যেখানে ব্রিটিশ সৈন্যরা আইরিশ সৈন্যদের আক্রমণ করেছিলে সেই স্পটগুলোতে বাচ্চাদের স্কুল বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। জাদুঘরে নিয়ে যুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা সংক্রান্ত এন্টিক্স দেখিয়ে সেইসব তথ্য আলোচনা করা হয়। এভাবে পুরো বছরে বাচ্চারা পাঠ্যপুস্তকের সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতাকে মেলানোর চেষ্টা করে। একইসাথে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়। এর কারণ নিজের দেশের পাশাপাশি সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞান না থাকলে বিশ্বমানের নাগরিক হবার স্বপ্ন দেখা যায় না।  

আমাদের মাতৃভাষা যেহেতু বাংলা, সে ভাষা আমরা শিখবোই। স্কুলে বাংলা বিষয় হিসেবে শুদ্ধ বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি শেখানো হবে। আমাদের বুঝতে হবে ভাষা একটা মাধ্যম মাত্র, জ্ঞানই আসল। যেমন একটা টিভি শোতে দেখলাম কয়েকজন স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে জিজ্ঞেস করা হল, "বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কি?" কেউ উত্তর দিতে পারলো না। `মোহাম্মদ আবদুল হামিদ` ইংরেজিতে যা, বাংলাতেও তা। তাহলে এটা কি ভাষার অভাবে না নিজের দেশ সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতার অভাবে? বাংলাদেশে ইংরেজি এবং বেসরকারি স্কুল গুলোতে এইচএসসির পর বাংলাকে সিলেবাস থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।  

তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? ভাষা কি? "ভাবের বাহনকে ভাষা বলে", এই ভাব যখন একজন কিশোর বা কিশোরীর অন্তরে দানা বাঁধতে শুরু করলো সে ভাবকে প্রকাশের বাহনটি তার কাছ থেকে সরিয়ে নেয়া হল। এরপর সে ইংরেজিতে সে ভাবকে ব্যক্ত করতে করতে তার ভাবও ইংরেজদের হয়ে ওঠছে। কারণ এই একমাত্র বাংলা ছাড়া আর সবইতো সে ইংরেজিতে এবং ইংরেজি সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করছে। আমাদের বাংলাদেশের ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীরা জানেনা বাংলাদেশের একজন কবি, সাহিত্যিক বা লেখকের নাম। সংস্কৃতি শিক্ষা মানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। দুজনের নামেই আছে ধর্ম পরিচয়। এরপর শিক্ষকের দায়িত্ব বাকি শিক্ষা দেয়া। কি সেই বাকিটুকু? রবীন্দ্রনাথ  বাংলা সাহিত্যে নোবেলজয়ী ছিলেন, জমিদার ঘরের সন্তান ছিলেন। এরপর আস্তে আস্তে বাস্তব জীবনে এসে শিখে উনি অনেক প্রেম করতেন। তাহলে এদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কেমন ছিলেন? সহজ উত্তর রবীন্দ্রনাথের ঠিক উল্টা ছিলেন নজরুল। এই যদি হয় শিক্ষা, তাহলে প্রজন্মকে গিলিয়ে বাংলা খাইয়ে দিলেওকি ওদের গতি হবে?

বাঙালি কবি মধুসূদন দত্ত সৃষ্টি  করেন ইংরেজি কবিতা সনেটের অনুকরণে অমিত্রাক্ষর ছন্দের চতুর্দশপদী কবিতা যা দ্বারা বাংলা সাহিত্যে সূচনা হয় এক বিস্ময়কর অবিস্মরণীয় নতুন অধ্যায়ের। এভাবেই সৃষ্টি হয় অমর সাহিত্য ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’, ‘শর্মিষ্ঠা নাটক’ ইত্যাদি।  হ্যাঁ এ কাজ করতে তাঁকে অবশ্যই নিজের ভাষাকে ও আত্মস্থ করতে হয়েছে। তাহলে বাংলা ইংরেজি দুটোই সমানতালে চলতে হবে। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন, "গোটা বিশ্বে বাংলাভাষীর সংখ্যা বিপুল, বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা কোনো অসম্ভব কাজ ছিল না।  

আমাদের উচিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন বই লেখা, বাইরে যা লেখা হচ্ছে সেগুলো অনুবাদ করার।"। স্যারের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে কিভাবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে? কিভাবে নিজেকে এবং নিজের দেশ ও জাতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে? স্যার নিজেইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম,এ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকের চাকরি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে আবার গ্র্যাজুয়েশন করে, পিএইচডি নিয়ে তারপর দেশে ফিরেন। আচ্ছা ধরলাম বাংলায় উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা হল। কিন্তু আমাদের গণ্ডি কি কেবল বাংলাদেশ পর্যন্তই। কিভাবে আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হত ইংরেজি ছাড়া? বিশ্বব্যাপী মহান একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত করার ব্যাপারে সর্বাগ্রে যাদের নাম আসে তারা হলেন কানাডার ভাংকুভারে বাসরত প্রবাসী বাঙালি রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম। একুশে ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে এখন প্রতি বছর `আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস` উদযাপিত হচ্ছে। এই গৌরব ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইংরেজির মাধ্যমেই।

আমাদের একটাই কথা, পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছে, আর কেবল বাংলা শিখলেই এর সমাধান করা সম্ভব। কই পশ্চিমারাতো তাদের নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের মতো এমন হুমকির মধ্যে থাকে না। কারণ যে ভাষাতেই হোক ওরা নিজের সংস্কৃতিকে শক্তপোক্ত করে শিখে। ওদের এই কৌশলেই আমাদেরও স্বার্থসিদ্ধি করতে হবে। আমাদের নির্বোধ চিত্ত যদি কেবল ওদের খারাপটাই আঁকড়ে ধরতে চায় সে দায় ওদের উপর না চাপানোই ভালো। দুর্বল মাত্রই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে স্বস্তি চায়। একবার ভেবে দেখুনতো পশ্চিমারা আমাদের কিসে আগ্রহী? "ইস্টার্ন মিউজিক, পেশন, উইজডম, স্পিরিচুয়ালিটি!!"

নিজের ভাষা জানা অবশ্যই ভালো কথা, তবে নিজের জীবনের প্রয়োজনটা উপলব্ধি করা তার চাইতেও বড় কথা। আমাদের সে প্রয়োজন যদি ইংরেজি মেটায় তাহলে কেন কেবল বাংলাই গুরুত্ব পাবে? নিজের ভাষার প্রতি প্রীতি জাগাতে আন্তর্জাতিক ইংরেজির উপর কেন দায় চাপানো? আমাদের শিক্ষা যদি জীবনের প্রতিটি চাহিদাকে ধাপে ধাপে পূরণ করতে সক্ষম হয় তাহলে কেন আমরা নিজের শিক্ষাকে গুরুত্ব দেবোনা? সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ইংরেজি এবং বাংলা দুটো ভাষাই পড়া এবং লেখার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। সেই সাথে কর্মক্ষেত্রেও যার যার শিক্ষা প্রয়োগের গুরুত্বের প্রসারতা বৃদ্ধির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা থাকাটাও অপরিহার্য। শিক্ষার্থীর কাছে তার শিক্ষার মূল্যবোধ তৈরি হতে হবে। জীবনের প্রতিক্ষেত্রে তার শিক্ষা ব্যবহার্যনীয় হতে হবে। সে শিক্ষা যেমন তাকে অতীতের গৌরব এনে দেবে, বর্তমানের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম হবে, তেমনি তাকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন  দেখায়ও সহায়তা করবে। তার দৈনন্দিন জীবনের সব চাহিদা মিটাতে সক্ষম হবে তার শিক্ষা। এই শিক্ষার মাধ্যমেই আমাদের আধুনিক মন মানসিকতা আমাদের উগ্রবাদিতার হাত থেকে রক্ষা পাবে, আমাদের সংস্কার, মূল্যবোধ আমাদেরই গোড়ামির শিকার হবে না। আমরা কেবল বাঙালি নয়, মানুষ হবো। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বাঙালি হবার স্বপ্ন দেখতে শিখবো। তাই ইংরেজি বাংলা হোক সেই গানটার মতো,

"আয় তব সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি।
নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান"

লেখক : শিক্ষার্থী, ডাবলিন ট্রিনিটি কলেজ।

এইচআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।