পদ্মাসেতু : জাতির আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়ার সেতু


প্রকাশিত: ০৬:৫৬ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদযাপিত শব্দ হচ্ছে পদ্মাসেতু। কারণ, কানাডার একটি আদালতে আনা বিশ্বব্যাংকের যে দুর্নীতির অভিযোগ তা ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। ফলে গত ৫/৬ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পদ্মাসেতু নিয়ে টানাপড়েন যে চলছিল তা এক ধরনের নিষ্পত্তিতে পৌঁছুলো বলে ধরে নেয়া যায়। যদিও বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই তাতে ঋণ প্রদান থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়েছিল কথিত দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে। এখন কানাডীয় আদালতের এই রায়ের পরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক কী মোড় নেবে তা যেমন আলোচনার বিষয়বস্তু তেমনই একথা নিয়ে জোর আলোচনা হওয়া উচিত যে, বিদেশিদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এলেই তাকে নিয়ে গোটা জাতির ‘মাতোয়ারা’ হওয়া কতোটা যৌক্তিক? কেন এই যৌক্তিকতার প্রশ্নটি তুলছি সে বিষয়টি আজ আলোচনা করতে চাইছি।

আর কয়েক বছর পরেই স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স অর্ধ শতক পার করবে। একটি দেশের পথ পরিক্রমায় সময়টি হয়তো খুব বেশি নয় কিন্তু একজন মানুষের জীবদ্দশায় এটি তার জীবনকালের দুই তৃতীয়াংশ বলতে পারি। সে হিসেবে ১৯৭১ সালে যে শিশুটি জন্মেছিল সে কিন্তু তার জীবনের বৃহদাংশ পার করে এসেছে। এবং দেখেছে বা বুঝেছে যে, একটি দেশ বহু প্রতিকূলতা পার হয়ে ক্রমশঃ সোজা হয়ে হাঁটছে। শূন্য থেকে শুরু করে আজ সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে নাগরিকের জীবনমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রায় মধ্যম আয়ের দেশে পা রাখতে চলেছে।

যে দেশটির শাসন-শোষণ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে ১৯৭১ সালে সেই দেশটির সঙ্গেই যদি আমরা বাংলাদেশকে তুলনা করি তাহলে দেখতে পাই যে, যে কোনো সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে আছে। গণতন্ত্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক-  কোনো দিকেই বাংলাদেশ তার সাবেক ‘পাকিস্তান’ -পরিচয়ের তুলনায় পিছিয়ে নেই, বরং তুলনামূলকভাবে অনেকটাই এগিয়ে আছে। কেবল পাকিস্তান নয়, মাত্র কয়েক বছর আগে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের সাফল্য অভাবনীয়, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রাতেও এই সত্য স্বীকৃত। প্রশ্ন হলো, জাতি হিসেবে কি আমরা এই সাফল্যকে উদযাপন করতে পেরেছি? কিংবা এই সফলতা কি আমাদের আত্মবিশ্বাসকে একটু হলেও বাড়াতে পেরেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না, দুই-ই।

প্রথমে আমরা ‘হ্যাঁ’- উত্তরটি নিয়ে কথা বলি। আমরা দেখতে পাই যে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর পরই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ও তার নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে কেবলই সাহস জুগিয়ে যান এই বলে যে, বিশ্বসভায় বাঙালি একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। তিনি একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন বাঙালিকে। যদিও সেই স্বপ্নকে ভেঙে দেয়া হয় তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে।

তারপর এদেশে শুরু হয় অন্ধকারের যুগ বা বলতে পারি রাজনৈতিক মাৎস্যন্যায়-এর কাল। অস্ত্র বলে ক্ষমতা দখল শেষে অর্থবলে রাজনৈতিক দল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির বিপরীতে দাঁড় করানো হলো এমন একটি প্ল্যাটফরম যা আসলে পেশিশক্তি, কালোটাকা, ধর্ম ও সেনাতন্ত্রের যোগফল। এর বিপরীতে দাঁড়িয়েও আমরা দেখতে পাই যে, একটি পক্ষ বাংলাদেশকে ইতিাবাচক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতে থাকলো। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা আমরা শুনতে পাই এই ইতিবাচক ধারাটির কাছ থেকে। পশ্চিমা বিশ্ব তথা দাতাগোষ্ঠীর কাছে হাত-পাতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে নিজেদের ‘যা আছে তাই নিয়েই’ চলার যে দক্ষতা সেটাকেই কী করে বাড়ানো যায় তার প্রচেষ্টা আমরা লক্ষ্য করি।

অপরদিকে একটি পক্ষ বিদেশি সাহায্য নিয়ে দেশকে একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে রেখে দেয়াকেই সাফল্য বলে বিবেচনা করে। দেশের মানুষের সামর্থ না বাড়িয়ে (ক্যাপাসিটি বিল্ডিং) বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা বাড়ানোর যে কৌশলে বাংলাদেশ হাঁটছিলো তা থেকে মুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। ফলে বাঙালি একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি কি না, এ প্রশ্নে দু’টি রাজনৈতিক শিবির দু’ভাবে জাতিকে ভাবতে শিখিয়েছে। লক্ষ্য করে দেখি যে, যে পক্ষটি জাতিকে আত্মনির্ভরশীল করার পক্ষপাতি তারা বিদেশিদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়েছে আর যে পক্ষটি জাতিকে আত্মনির্ভরশীল করার পক্ষপাতি নয় তারা বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে কোমরবেঁধে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করতে হয় যে, বিএনপি-প্রধান বেগম খালেদা জিয়া মার্কিন সংবাদপত্রে স্বনামে কলাম লিখে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। যেহেতু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দেশের ক্ষমতায় রয়েছে সেহেতু তাদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি সতের কোটি মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটানোতেও পিছপা নন।

পদ্মাসেতু বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল করার অন্যতম প্রধান উপকরণ বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে কারণ এটি নির্মিত হলে দক্ষিণ বাংলার চার/পাঁচ কোটি মানুষের জীবনোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জিডিপি অন্ততঃ ২% বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেই যখন এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে তখনই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বৈরিতা শুরু করে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন দেশের ভেতরে ও বাইরে বিদেশি ত্রাণনির্ভর কিছু সংস্থার প্রধানগণও, যাদেরকে সাধারণ বাংলায় ‘সুশীল’ বলে চিহ্নিত করা হয়। তারা নিজেদের কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক বলে পরিচয় না দিলেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা আসলে শেখ হাসিনা ও তার দলের বিরুদ্ধেই কাজ করেন বেশি। কিন্তু সেনা-তত্ত্বাবধানে তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল খোলার চেষ্টাও করেন, যদিও তাতে ব্যর্থ হন।

বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতার অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে এই অ-রাজনৈতিক কিন্তু ব্যাপক মাত্রার রাজনৈতিক পক্ষটির সঙ্গে শেখ হাসিনার বিরোধ যখন তুঙ্গে ওঠে তখনই পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ আবারও বিভক্ত হয়ে পড়ে, একদিকে আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বে কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল এবং আরেকদিকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সঙ্গে অ-রাজনৈতিক কিন্তু ব্যাপক মাত্রার রাজনৈতিক পক্ষটি। বিশ্বব্যাংক যে একেবারেই ভুয়া অজুহাতে পদ্মা সেতুতে ঋণ দেয়া থেকে সরে যায় তা তখনই বোঝা গিয়েছিল, এজন্য এতো মামলা-মোকদ্দমার প্রয়োজন ছিল না, ছিল না প্রয়োজন এতো তদন্তেরও। কিন্তু তারপরও সরকার বিশ্বব্যাংকের আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে তৎকালীন যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়, সেতু সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে এ বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের হয়। যেহেতু এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি ছিল না সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশনের বেশিদিন সময় লাগে না মামলাটি নিষ্পত্তিতে। তারা পদ্মাসেতুতে কোনো প্রকার দুর্নীতি হয়নি বলে রায় দেয় এবং মামলাটি খারিজ করে দেয়। কিন্তু তখন দেশের ভেতরে বিএনপি ও সেই অ-রাজনৈতিক কিন্তু ব্যাপক মাত্রার রাজনৈতিক পক্ষটি দুর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং তাদের নিজস্ব প্রচারমাধ্যমে সরকারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

প্রচারণা এতোটাই তুঙ্গে ওঠে যে, একজন সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, পদ্মাসেতুতে সরকার ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি করেছে। কিন্তু যখন কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শুরু হয় তখন থেকেই হাওয়া একটু বদলাতে শুরু করে। কারণ আদালত বার বারই বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতির প্রমাণ হাজির করতে বলে এবং বার বারই সেটা হাজির করতে ব্যর্থ হয় বিশ্বব্যাংক। এবং শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে। আদালত এও বলে যে, যেসব প্রমাণ হাজির করা হয়েছে মামলার সপক্ষে সেগুলো অত্যন্ত খোঁড়া ও হাস্যকর। তার মানে এদেশেও যারা দিনের পর দিন পাতার পর পাতা এই কথিত দুর্নীতি নিয়ে লিখেছেন বা রাত জেগে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে মিথ্যাচার করেছেন সেগুলো আসলে খোঁড়া ও হাস্যকর। তারা আসলে সেই পক্ষটি যারা বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল দেখতে চান না, এবং বাঙালি জাতিকে বিদেশি সাহায্য-নির্ভর জাতি হিসেবে টিকিয়ে রাখতে চান এবং নিজেদের সক্ষমতায় যাদের কোনোই আস্থা নেই। যেহেতু বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করেছে সেহেতু অভিযোগটি সত্য, অতএব সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করা যাক- এটাই ছিল তাদের ‘মোটো’।

অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় হলো পদ্মাসেতুতে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ বিশ্বব্যাংক হাজির করতে পারেনি, যদি পারতো তাহলে আজকে এদেশে ‘সরকার পরিবর্তনের’ আন্দোলন শুরু হতো এবং তা রোধ করা খুব সহজ হতো বলে মনে করি না। কিন্তু দুর্নীতি প্রমাণ না হওয়ায় সরকারের প্রাপ্য ধন্যবাদটুকু আমরা দিতে এখনও নারাজ। তবে এর ফলে বড় যে কাজটি হয়েছে তাহলো, জাতি হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরেকটু বেড়েছে। যারা দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রমাণ করতে চেয়েছেন তাদের নয়, যারা এদেশের সাধারণ মানুষ, যারা দেশের সাফল্যে গর্বিত হন, যারা এদেশের ব্যর্থতায় ব্যথিত হন তাদের আত্মবিশ্বাসে একটা বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে এই পদ্মাসেতু ও বিশ্বব্যাংক ইস্যুতে। এরপর যদি কোনো বিদেশি সংস্থা দেশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনে তাহলে জনগণ আর সহজে সেটি বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না। আগে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দাও তারপর বিশ্বাসের প্রশ্ন- এই আত্মবিশ্বাস দেয়ার জন্য হলেও শেখ হাসিনা সরকার একটি ধন্যবাদ পেতেই পারে, কী বলেন? বিশ্বব্যাংক এরপরে ক্ষমা চাইবে কি চাইবে না সেটি বড় ইস্যু নয়, বড় ইস্যু হচ্ছে দেশের প্রতি, দেশের সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হওয়া; দুঃখজনক যে, সেজন্য কানাডার আদালতের রায় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে, সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা রাখতে পারিনি, এটাও কঠিন এক সত্য।

কিন্তু এই সত্যেরও বড় আর একটি সত্য দিয়ে আজ শেষ করতে চাই। পদ্মাসেতুতো অন্য কোনো দেশে হচ্ছে না, হচ্ছে এদেশে, এদেশেরই মানুষের জন্য, বিদেশিরা এই প্রকল্পে অর্থঋণ দিচ্ছে কেবল, তাও সুদ নিয়েই, তাহলে কেন সেইসব শিক্ষিত জ্ঞানপাপীরা সরকারের ওপর সামান্য আস্থাও রাখতে পারেনি? এটা কি কেবল এদেশের নোংরা রাজনীতির কারণেই? যা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে? যদি তাই-ই হয়ে থাকে তাহলে একথা জোর দিয়েই বলবো যে, পদ্মাসেতু একটি রাজনৈতিক সেতু হিসেবেই এদেশে নির্মিত হতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্থায়ীভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে; পদ্মাসেতু ও বিশ্বব্যাংক ইস্যুর সকল নেতিবাচক দিকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।

ঢাকা ১৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার ২০১৭
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।
[email protected]

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।