বাংলাদেশের পতাকা উড়বেই....
আমরা করবো জয়, একদিন....
নর্থ আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ডেনালি (২০,৩২২ ফুট/৬১৯৪ মিটার) আমরা জয় করেছি গত ২৩ জুন স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে। অধ্যাবসায়, কঠোর চেষ্টা, সব ধরনের প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে ১৫ জুন বেস ক্যাম্প থেকে মাত্র ৯ দিনে, একটি গাইডবিহীন অভিযানে আমরা মাউন্ট ডেনালি পর্বত জয় করেছি।
সেভেন সামিট অভিযানে এটি ছিল আমার পঞ্চম সাফল্য। এই অভিযানে যারা আমাকে তাদের সর্বান্তকরণে সহায়তা করেছেন, দোয়া করেছেন - তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা। তাদের এই ঋণ আমি জীবনেও শোধ করতে পারব না। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
এই অভিযানটি আমাদের অনেক দিক থেকেই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল। কারণ এটি ছিল "মাউন্ট ডেনালিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অভিযান"। এর অপর সদস্য Satyarup Siddhanta ভারত থেকে যোগ দিয়েছিলেন। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সুস্মিতা মাস্কে`র সেভেন সামিট অভিযান। তাতে সদস্য ছিলেন ক্রিস্টোফার ম্যানিং এবং রায়ান ফ্রানকোয়েস। দুটো অভিযান একই সঙ্গে পরিচালনা করা হয়েছিল।
হিমালয় পর্বতমালায় যেমন গাইড বা শেরপাদের সহায়তায় বেশিরভাগ অভিযান পরিচালনা করা হয়, মাউন্ট ডেনালিতে তেমন কোনো সহয়াতা আমরা নেইনি। বরং নিজেদের পর্বতারোহণ সরঞ্জাম তো বটেই, রসদ, তাঁবু, টেকনিক্যাল গিয়ার - সবকিছু আমরা নিজেরাই বহণ করেছি। আর আবহাওয়ার আনুকূল্যে মাত্র ৯ দিনে মাউন্ট ডেনালি জয় করেছি। কিন্তু এর পরই আমাদের তীব্র তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে। তার মধ্যেই আমরা ১৭,২০০ ফুট উঁচু হাইক্যাম্প থেকে নামতে শুরু করেছি। ১৪,২০০ ফুট উঁচু ক্যাম্পে আমরা আটকা ছিলাম ৩ দিন। সেখানে তাঁবু ভেঙ্গে যাওয়ার মতো তীব্র তুষারঝড়, অ্যাভেলান্স-এর ফলে বরফ তাঁবুর ওপর চলে আসা, গ্লেসিয়ারের ওপর দিয়ে চলার সময় বরফের ফাটলের মধ্যে পড়ে যাওয়ার তীব্র ভয়, তীব্র ঠান্ডা - সবকিছুকে পেছনে ফেলেই এই অভিযান শেষ করেছি আমরা।
আমরা করবোই জয়....