চুরি ছিনতাই ডাকাতি বন্ধ করুন


প্রকাশিত: ০৩:৪৩ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে কমার্স ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে দুঃসহ ও মর্মান্তিক ডাকাতির ঘটনা এখনো মানুষ ভুলতে পারেনি। সেদিন গুলি করে ও বোমা ছুড়ে হত্যা করা হয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অলিউল্লাহসহ সাতজনকে, আহত একজন পরে মারা যান। এরপর সাভারে আরো একটি দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। গুলি করে চলন্ত বাস থেকে ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হল। এর আগের দিন রাজধানীর উত্তরায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলেন মা ও মেয়ে। খোদ রাজধানীতে ডাকাতদল গুলি করে টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা স্টষ্টতই আইনশৃঙ্খলার অবনতিকেই নির্দেশ করে। দিনেদুপুরে ডাকাতরা এই দুঃসাহস পায় কোত্থেকে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।   

গত সোমবার ঢাকার সাভারের একটি ব্যাংক থেকে টাকা ৬ লাখ টাকা তুলে সকালে মিনিবাসে করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ডাকঘরে জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনজন। মিনিবাসটি ছিল যাত্রীবোঝাই। তিনটি মোটরসাইকেলে আসা সাতজন ডাকাত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত মিনিবাসটি থামিয়ে ওই তিনজনকে গুলি করে ছয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্ত এবং ওই মিনিবাসটি শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। উত্তরার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের কেউ  এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি।

প্রশ্ন হচ্ছে জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কী করে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আর একটি ঘটনার রেশ না কাটতেই ঘটছে আরো একটি ঘটনা। বাস থামিয়ে ডাকাতির ঘটনাকে মামুলি কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত হবে না। দুটি ঘটনায়ই দেখা যাচ্ছে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ব্যাপারটি ডাকাতরা আগে থেকেই জানতো। তারা ওৎপেতে থাকে এবং সুবিধাজনক সময়ে হামলে পড়ে। এখানেও কোনো সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে কিনা সেটিও দেখতে হবে। সাভারের ঘটনায় মিনিবাস চালকের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। ডাকাতরা অত্যাধুনিক অস্ত্রই বা পায় কোত্থেকে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সব সময় তৎপরতা থাকতে হবে। পুলিশি টহলও জোরদার করতে হবে।

রাজধানীতে ডাকাতির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মানুষের  জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই মামুলি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। চিত্রনায়িকা ববিতার বাসায়ও দুঃসাহসিক চুরি  হয়েছে।  সমাজে যদি অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা যায় তাহলে অপরাধ কমতে বাধ্য। দুর্বৃত্তদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারো কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটিও দেখতে হবে। জননিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিক- এটিই দেখতে চায় মানুষজন।

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।