বই উৎসবের মতোই রঙিন হয়ে উঠুক শিক্ষাজীবন


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

প্রতি বছর জানুয়ারির প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক দিবস পালন করা হয়। নতুন বছরের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীরা হাতে নতুন বই পেলে তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। পড়াশোনার প্রতিও আরও বেশি আগ্রহ জন্মে। সে জন্যই পাঠ্যপুস্তক দিবস শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করছে। এ বছরও পহেলা জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস পালন করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ উপলক্ষে রাজধানীর ১৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের আসর বসে আজিমপুর গালর্সে স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে। এই উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর আগে

বছরের প্রথম দিনেই সারা দেশে প্রায় ৩৬ কোটি ২২ লাখ বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়েই শিক্ষার্থীদের দুইটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। সিলেবাসেও এসেছে পরিবর্তন। তথ্যপ্রযুক্তিসহ নিত্য নতুন বিষয় সংযুক্ত করা হচ্ছে সিলেবাসে। পাঠ্যপুস্তকের কাগজের মান বাড়ানো হয়েছে। বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রচ্ছদ, বইয়ের ভেতরের ছবি, অলঙ্করণও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। তবে ছাপার মান যদি ঠিক না থাকে সেক্ষেত্রে এগুলো কোনো কাজ দেবে না। এ জন্য ছাপার মান ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া বই বাঁধাই এবং আঠা লাগানোর ক্ষেত্রেও যত্নশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে কমবয়সী শিক্ষার্থীরা এসব পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করে। কয়েকমাস যেতে না যেতেই যদি বই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না। বিনামূল্যের এসব বই বাজারে কিনতেও পাওয়া যায় না।পাওয়ার কথাও নয়।তাই কাগজ, ছাপা, বাঁধাইসহ সবকিছুতে যেন বইয়ের মান ঠিক থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

সময়মত বই পৌঁছানোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোথাও কোথাও যদি বই বছরের প্রথম দিন পৌঁছানো নাও যায় তাহলে যথাসম্ভব দ্রুত তা যেন পৌঁছে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ক্লাশ ও পরীক্ষা যেন ঠিকমত হয় নিশ্চিত করতে হবে সেটিও। বই উৎসবের মতোই রঙিন হয়ে উঠুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের একটি সামগ্রিক ইতিবাচক প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ুক-এটাই প্রত্যাশা।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।