ম্যাডাম, সেনাবাহিনী আপনার ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি নয়!


প্রকাশিত: ০৫:৪৩ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৬

দেশের রাজনীতিতে আবার একটু আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনিতে বছরের এ সময়টা এ দেশের রাজনীতির জন্য জ্বালাও-পোড়াও বা হরতাল-অবরোধের সময় হিসেবে এতদিন উল্লেখযোগ্য ছিল কিন্তু এ বছর সেটা না হয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়াটাকে আমি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক মনে করছি এবং এজন্য বিএনপি-জামায়াত নেত্রী বেগম জিয়াকে ধন্যবাদ দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি। বেশ কিছুদিন বিরতির পর তিনি আবার লোকসমুখে এলেন, পাঁচতারা হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া-সম্পর্কিত বক্তব্য পাঠের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে ফের তিনি আলোচিতও হচ্ছেন বলে গণমাধ্যম জানাচ্ছে।

এতক্ষণে আমরা সবাই জানি, বেগম জিয়া হোটেল ওয়েস্টিনের বক্তব্যে কী বলেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি ১৩ দফা সুপারিশনামা পেশ করেছেন। মূলত তার বক্তব্য থেকে পরিষ্কারভাবে এই ১৩ দফা সুপারিশনামা বোঝার উপায় ছিল না, কারণ তিনি এক পাতা পাঠ শেষ করে আরেক পাতায় যেতে যেতে আগের পাতায় কী বলেছেন, তা আসলে কারোরই মাথায় ঢুকেছে বলে মনে হয় না, অন্তত আমার মাথায় ঢোকেনি। মাঝে মাঝে ইংরেজি বাক্য বুঝতেও বেশ অসুবিধে হচ্ছিল। তাই টেলিভিশনে লাইভ বক্তব্য শোনার চেয়ে পরের দিনের পত্রপত্রিকার ওপর ভরসা রেখেছিলাম, আসলে বেগম জিয়া নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে কী সুপারিশ করেছেন, সেটা জানার জন্য।

এবং পরের দিন তার পুরো বক্তব্য পাঠে এটাই বুঝতে পারলাম, বেগম জিয়া নতুন কিছুই বলেননি। তিনি নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে একথা আগেও বলেছেন, চলতি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রাক্কালেও তার দল এসব বলেছিল, তিনি গিয়েও ছিলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে এবং প্রক্রিয়াগতভাবে যেসব শর্তের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বেশিরভাগই চলতি নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন, সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, আমরা জানি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। বেগম জিয়া একটি সার্চ কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন, চলতি নির্বাচন কমিশন গঠনকালেও একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি নির্বাচন কমিশনারদের নামের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল। বেগম জিয়া নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা একটি সচিবালয়ের কথা বলেছেন, একটি বিশাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তো শের-ই-বাংলা নগরে রয়েইছে। তিনি জনবল বৃদ্ধির কথা বলেছেন, যতদূর জানা যায়, ইতোমধ্যেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বেগম জিয়ার বক্তব্য আরো বিশ্লেষণ করার আগে আমরা একটু পেছনে ফিরে তাকাই। বেগম জিয়া একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার আমলে দেশে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে, ফলে তিনি আজকে তার রাজনৈতিক জীবনের শেষে এসে যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবটি দিয়েছেন, প্রশ্ন আসতেই পারে, তিনি কেন তার প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে এ রকম একটি ‘আদর্শ’ নির্বাচন কমিশন জাতির সামনে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন? ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি সেটা করেননি। ১৯৯৬ সালে তিনি বিচারপতি এ কে এম সাদেককে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে যে নির্বাচনটি জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন সেটি সম্পর্কে যতো কম কথা বলা যায় ততোই উত্তম। বেগম জিয়া সংবাদ সম্মেলন করেন না, তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কাজ শেষ করেন, এর চেয়ে তার বক্তব্য প্রেস রিলিজ আকারে সংবাদ-মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলেও একই কাজ হতো বলে মনে করি। কিন্তু তিনি প্রশ্ন গ্রহণ করলে এই প্রশ্ন তাকে করাই যেতো যে, তিনি আসলে বিচারপতি সাদেক কিংবা রউফ বা এম এ আজিজদের মতো চরম দলীয় ও পক্ষপাততুষ্ঠ ব্যক্তিকে কেন নিয়োগ দিয়েছিলেন? কেন তখন আজকের মতো তার মনে হয়নি, একজন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ব্যক্তিকেই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া উচিত?

সমস্যাটি আসলে এখানেই। এ দেশের রাজনীতিতে বিএনপি নামক রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমটির জন্ম নেয়া এবং তার দেশ পরিচালনার ইতিহাস আসলে একে একে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ক্ষমতায় এসে জেনারেল জিয়াউর রহমান হ্যাঁ/না ভোট কিংবা জাতীয় নির্বাচন দিয়েছেন- তার প্রতিটিই অনুষ্ঠিত হয়েছে আসলে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য। জেনারেল এরশাদ জিয়াউর রহমানকে কেবল অনুসরণই করেননি- তিনি আরো একটু এগিয়ে গিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধংস করেন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র বিজয় লাভ এ দেশে যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের জন্য যে সুযোগ তৈরি করেছিল- তা মাগুরা উপনির্বাচন ও তারপর ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরপর নির্বাচন কমিশনকে আবার একটি শক্ত অবস্থানে ফিরিয়ে আনাটা কেবল দুঃসাধ্যই ছিল না, ছিল এ দেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও। কারণ এর পরে নির্বাচন ব্যবস্থাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির হাতে ছাড়তে হয় বাধ্য হয়েই। কিন্তু তারপরও মোহাম্মদ আবু হেনা কিংবা এম এ সাঈদের নির্বাচন কমিশন বা তার পরবর্তীকালে এ টি এম শামসুল হুদার মতো নির্বাচন কমিশন কি বেগম জিয়ার পছন্দের বিচারপতি থেকে আসা নির্বাচন কমিশনারদের তুলনায় সব দিক দিয়েই উৎকৃষ্ট নির্বাচন আমাদের উপহার দেননি?

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হলেই সে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে নির্বাচনের ফল বর্জনের একটি মামুলি ঘটনা। কিন্তু এর পরও আবু হেনা, এম এ সাঈদ কিংবা শামসুল হুদাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন এ দেশের রাজনীতিতে আমাদের আশার আলো দেখিয়েছে বলে দল-মত নিরপেক্ষ ব্যক্তিরাই মনে করেন। মজার ব্যাপার হলো, জেনারেল জিয়ার হাতে যেমন নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিও আসলে ধ্বংস হয়েছে বেগম জিয়ার হাতে পড়ে। ইয়াজুদ্দিন সাহেব একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়াটাই ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক তথা এই সিস্টেমটি ধ্বংসের শেষ প্রক্রিয়া। এরপর আর জেনেশুনে কোনো রাজনৈতিক দল এ পথ মাড়াবে বলে মনে করার কোনো কারণ আছে কি?

আজকে বেগম জিয়া বাধ্য হয়েই তার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকেও সরে এসেছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাকে দেখতে চান বলে যে গুণাবলির লিস্টি দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশে আগামী কয়েক যুগেও যদি এ রকম ‘প্রজাতির’ একজন নির্বাচন কমিশনার না পাওয়া যায়, তাতেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কারণ, সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তির নাম বেগম জিয়া নিজেও কি দিতে পারবেন? ২০১৩ সালের শেষ দিকে বেগম জিয়া যে তালিকা দিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাব্য উপদেষ্টাদের, তাদের কেউ-ই কি দল-মত নিরপেক্ষ ছিলেন? ব্যাপারটি হয়তো এমন, বেগম জিয়া মনে করেন তার দলকে যে বা যারাই ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করবে তারাই দল-মত নিরপেক্ষ শুদ্ধ চরিত্রের ব্যক্তি। কিন্তু দেশে তো আরো রাজনৈতিক দল রয়েছে, বেগম জিয়া তাদের কথা একবারও ভেবেছেন বলে মনে হয় না।

এর চেয়েও বড় কথা হলো- বেগম জিয়া এখনও যে জেনারেল জিয়ার স্বৈরশাসনের রাজনীতি থেকে বেরোতে পারেননি, তার প্রমাণও আমরা পেলাম তার নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ শীর্ষক বক্তৃতায়। হঠাৎই বেগম জিয়া বলে বসেছেন, নির্বাচনের আগে থেকে শুরু করে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত দেশের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। আমার মনে হয়, তার এই বক্তব্যের পরে তিনি আর যা কিছুই বলুন না কেন, সব আসলে ময়লার বাস্কেটে ফেলে দিতে হবে, কারণ যিনি সজ্ঞানে মনে করেন, সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিট্রেসি দেয়াটা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বৈধ একটি প্রক্রিয়া, তার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াটা এক ধরনের সময় ক্ষেপণ বৈ কিছু নয়।

স্বাভাবিকভাবেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এরকমই একটি প্রতিক্রিয়া এসেছে, তারা বেগম জিয়ার এই ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’-র মতো প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছেন। এর বাইরে আর করারই বা ছিল কী? তার প্রস্তাবের বাকি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা? কিন্তু কেউ যদি তার নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন, ২০০৫ সালে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন গঠন-সংক্রান্ত যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর যে নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে গঠন করা হয়েছে- তা প্রক্রিয়াগত দিক থেকে প্রায় সবদিক দিয়েই বেগম জিয়ার প্রস্তাবকেই সমর্থন করে। হতে পারে ব্যক্তি হিসেবে বর্তমান নির্বাচনক কমিশনারকে বেগম জিয়া না মানতে পারেন কিন্তু তার নিয়োগ প্রক্রিয়া কিন্তু বেগম জিয়া বর্ণিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় সব ধাপ মেনেই হয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়ার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার এই ভয়াবহ আব্দার রক্ষার বিষয়টি নিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলই কি আলোচনা চালাতে পারে? নাকি উচিত?

তবে হ্যাঁ, বেগম জিয়া আসলে চেয়েছিলেন তার এই উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে একটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে, এবং তিনি তাতে সফলও হয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে, সেনাবাহিনীকে আরো উসকানি দেওয়ার মতো বহু পক্ষই বেগম জিয়ার এই বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, আগামী কিছুদিন এ বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা চলবে এবং তাতে ক্ষতি হবে আসলে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কিংবা বড় অর্থে গণতন্ত্রেরই। কারণ দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতি বা তার প্রক্রিয়া না বোঝে তাহলে দেশের বাকিরা শত বুঝলেও কি তাতে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক মুক্তি আসে? আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় দুর্বলতাটাই এখানে যে, এ দেশে জেনারেল জিয়া ও এরশাদের সৃষ্ট দুটো রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং তাদের সেনা নিবাসের অতীত এখনও চিন্তা ও চেতনায় জ্বল জ্বল করে, তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক চিন্তা এবং চেতনার রাজনীতি অনেক ক্ষেত্রেই হোঁচট খায় বা খেতে বাধ্য হয়। ফলে সামগ্রিকভাবেই এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে বঞ্চিত থাকে। আজকে বেগম জিয়ার মতো তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী যদি সেনাবাহিনীকেই তার ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি মনে করেন, তাহলে এ দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠেই, একইসঙ্গে একথাও কী মনে হয় না যে, বাঙালির রাজনৈতিক দুর্ভোগ আসলে এখনও শেষ হয়নি? আসলে বেগম জিয়াকে একথা কে বোঝাবে যে, ম্যাডাম, সেনাবাহিনী আপনার রাজনৈতিক বা ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি নয়, তারা আসলে দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিয়োজিত রাষ্ট্রের অধীন একটি শক্তিশালী সংস্থা, তাদের আপনি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের স্বপ্ন দ্যাখা বন্ধ করুন। জানি, এ কথা বলার সাহস আমাদের সুশীল সমাজের অন্তত নেই!!

ঢাকা ২২ নভেম্বর, মঙ্গলবার ২০১৬

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।
[email protected]

এইচআর/এনএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।