চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত


প্রকাশিত: ০৬:৪৬ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

২২ ঘন্টার সফর শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজ শনিবার সকালে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। নানা দিক থেকেই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যময়। এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এমনটি বলছেন বিশ্লেষকরা। পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার মধ্য দিয়ে দু’টি দেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে এটিই আমাদের কাম্য।
 
৩০  বছর পর চীনা কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল ঢাকায় পা রাখেন শি জিনপিং। ২২ ঘণ্টার ঝটিকা সফরে দেখা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সফরে দুই দেশের মধ্যে ২৭টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। উদ্বোধন হয়েছে ছয়টি প্রকল্প।  প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের। শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছানোর পর ব্যস্ত দিন পার করেছেন শি জিনপিং। আজ শনিবার সকালে ঐতিহাসিক এ সফরের শেষ কর্মসূচি হিসাবে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এবারের বাংলাদেশ সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।  চীনের প্রেসিডেন্ট দুই দেশকে ‘ভালো প্রতিবেশি, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করেন। এরমধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি চীনের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ‘একচীন নীতি’তে জোরালো সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’

চীন বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। এই সফরের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো গতি আসবে এমনটি আশা করা যায়।  বাণিজ্যিক লেনদেন ও অবকাঠামোগত নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
 
সমুদ্র অর্থনীতি, বিসিআইএম-ইসি, সড়ক ও সেতু, রেলপথ, বিদ্যুৎ, সমুদ্র, আইসিটি, শিল্পোৎপাদন প্রভৃতি ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেল। ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য এটি। চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের মধ্য দিয়ে দুটি প্রতিবেশি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় ও মজবুত হলো। দু’দেশকেই এই সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।

এইচআর/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।