ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরেক ধাপ


প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৬

নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে গতকাল রোববার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। (প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এই স্মার্টকার্ড রাষ্ট্রপতিকে পৌঁছে দেবেন।) এরপর সিইসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তাঁর স্মার্ট কার্ড তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন।

স্মার্ট কার্ড প্রদানের জন্য দেশের ১০ কোটি নাগরিকের তথ্য নিয়ে একটি তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় ২০১৭ সালের মধ্যে নয় কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে এবং এর মাধ্যমে বিদ্যমান পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রতিস্থাপিত হবে। বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে এটি তৈরি হয়েছে। জাতীয় পরিচয়ের তথ্যভান্ডার ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষের সনদপ্রাপ্ত। এটি ট্রাভেল কার্ডসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নাগরিকদের শ্রেণি, বয়স, অবস্থা-অবস্থান ও পেশাভিত্তিক রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা, ই-টিকেটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। তবে আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়ের নম্বর এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
    
স্মার্ট কার্ড বিতরণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। এর মাধ্যমে সরকারের একটি নির্বাচনী অঙ্গীকারও পূরণ হলো। কার্ড প্রাপ্তির জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা যেন সকলেই এটি নির্বিঘ্নে পান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাপ্য সেবা নিশ্চিত না হলে এই কার্ডের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাছাড়া কার্ডে ব্যবহৃত তথ্যাদির নিরাপত্তা দিতে হবে। তথ্যের অপব্যবহার যাতে না হয় দেখতে হবে সেটিও। কোথায় কিভাবে নাগরিকরা এই কার্ড পাবে সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। নির্বারিত সময়ের মধ্যেই স্মার্ট কার্ড সবার হাতে পৌঁছে দেওয়া হোক। এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা নিশ্চিত হোক। আমরা স্মার্ট কার্ড প্রদান কার্যক্রমের সফলতা কামনা করি।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।