পশুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন


প্রকাশিত: ০৪:১৫ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঈদুল আজহা সমাগত। এ উপলক্ষে সারাদেশেই বসছে পশুর হাট। বিশেষ করে রাজধানীতে পশুর হাটের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে দক্ষিণে তেরটি ও উত্তরে আটটি পশুর হাট বসছে। ইতিমধ্যেই পশুর হাটে পশু আসতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে বেচাবিক্রিও। এ জন্য পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ভোগ লাঘবেও নিতে হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

পশুর হাটকে কেন্দ্র করে নানা দুর্বৃত্ত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এ হেন কাণ্ড নেই যা তারা করে না। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির সদস্যরাও সক্রিয় হয়ে উঠে। অনেক সময় পশু ব্যবসায়ীরা অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারান। এছাড়া মলম পার্টির সদস্যরাও তাদের অপতৎপরতা চালাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পশুর হাটে জালিয়াত চক্রও সক্রিয় থাকে। জাল টাকা ছড়িয়ে তারা ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে বিরাট ক্ষতির মধ্যে ফেলে। এদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে।  পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্ত করার যন্ত্র রাখতে হবে। এই চক্র যাতে হাটে ঢুকতেই না পারে সে ব্যাপারেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। পকেটমারের অপতৎপরতাও বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানেই যেন পশুর হাট বসে সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশনা থাকতে হবে। যত্রতত্র পশুর হাট বসায় রাস্তা বন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টিও দেখতে হবে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই যেন সাচ্ছন্দ্যে পশুর হাটে বেচা-কেনা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পশুর হাটে নগদ অর্থের সরবরাহ থাকে। তাই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।